
নোবেল শান্তি পুরস্কার ঘোষণার একদিন আগে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রচারণা দল ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে নরওয়ের ওপর রাজনৈতিক চাপ বাড়ানো হয়েছে। শুক্রবার ঘোষিত হতে যাওয়া পুরস্কারে নিজেকে ‘শান্তির প্রেসিডেন্ট’ হিসেবে উপস্থাপন করছেন ট্রাম্প। খবর ব্লুমবার্গের।
ব্লুমবার্গের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠা এবং সম্ভাব্য শান্তি চুক্তিতে নিজের ভূমিকা দাবি করে ট্রাম্প নোবেল শান্তি পুরস্কারের দাবিদার হিসেবে নিজেকে তুলে ধরছেন।
তার ছেলে এরিক ট্রাম্প সামাজিক মাধ্যমে অনুসারীদের আহ্বান জানিয়েছেন, ট্রাম্পের শান্তি পুরস্কার পাওয়ার দাবিকে সমর্থন করতে। পাশাপাশি ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারণা দল সামাজিক মাধ্যমজুড়ে তাকে “Peace President” হিসেবে প্রচার করছে।
নরওয়ের রাজধানী অসলোভিত্তিক স্বাধীন নোবেল কমিটি জানিয়েছে, তারা কোনো রাজনৈতিক বা কূটনৈতিক চাপের কাছে নতি স্বীকার করবে না। কমিটির চেয়ারম্যান জর্গেন ওয়াটনে ফ্রাইডনেস বলেন, “পুরস্কার নির্বাচনের সিদ্ধান্ত ইতিমধ্যে চূড়ান্ত হয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যে সম্ভাব্য শান্তি চুক্তি ভবিষ্যতের পুরস্কারে বিবেচিত হতে পারে।”
নরওয়ের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসপেন বার্থ এইডও জানান, সরকার নোবেল কমিটির সিদ্ধান্তে কোনোভাবে প্রভাব খাটায় না।
তবে ট্রাম্পের আক্রমণাত্মক প্রচারণা নরওয়েকে কূটনৈতিকভাবে বিব্রত অবস্থায় ফেলেছে। দেশটির ২ ট্রিলিয়ন ডলারের সার্বভৌম সম্পদ তহবিলের প্রায় ৪০ শতাংশ বিনিয়োগ যুক্তরাষ্ট্রে হওয়ায় অর্থনৈতিক চাপের আশঙ্কাও দেখা দিয়েছে।
বুকমেকারদের তথ্যমতে, নোবেল শান্তি পুরস্কারের সম্ভাব্য প্রার্থীদের তালিকায় বর্তমানে ট্রাম্প শীর্ষে আছেন। তার পরেই রয়েছেন সুদানের মানবিক সংস্থা ইআরআর এবং প্রয়াত রুশ বিরোধী নেতা অ্যালেক্সি নাভালনির স্ত্রী ইউলিয়া নাভালনায়া।
তবে অতীতের অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে, বুকমেকারদের পূর্বাভাস প্রায়ই ভুল প্রমাণিত হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০২৫ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কারের মনোনয়ন শেষ হয়েছে গত ৩১ জানুয়ারি—ঠিক ট্রাম্পের পুনরায় হোয়াইট হাউসে ফিরে আসার কয়েক সপ্তাহ পরেই। এর আগে ২০০৯ সালে দায়িত্ব গ্রহণের অল্প সময়ের মধ্যেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এই পুরস্কার পান, যা তখনও আন্তর্জাতিক বিতর্কের জন্ম দিয়েছিল।
বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫
প্রকাশের তারিখ : ০৯ অক্টোবর ২০২৫
নোবেল শান্তি পুরস্কার ঘোষণার একদিন আগে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রচারণা দল ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে নরওয়ের ওপর রাজনৈতিক চাপ বাড়ানো হয়েছে। শুক্রবার ঘোষিত হতে যাওয়া পুরস্কারে নিজেকে ‘শান্তির প্রেসিডেন্ট’ হিসেবে উপস্থাপন করছেন ট্রাম্প। খবর ব্লুমবার্গের।
ব্লুমবার্গের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠা এবং সম্ভাব্য শান্তি চুক্তিতে নিজের ভূমিকা দাবি করে ট্রাম্প নোবেল শান্তি পুরস্কারের দাবিদার হিসেবে নিজেকে তুলে ধরছেন।
তার ছেলে এরিক ট্রাম্প সামাজিক মাধ্যমে অনুসারীদের আহ্বান জানিয়েছেন, ট্রাম্পের শান্তি পুরস্কার পাওয়ার দাবিকে সমর্থন করতে। পাশাপাশি ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারণা দল সামাজিক মাধ্যমজুড়ে তাকে “Peace President” হিসেবে প্রচার করছে।
নরওয়ের রাজধানী অসলোভিত্তিক স্বাধীন নোবেল কমিটি জানিয়েছে, তারা কোনো রাজনৈতিক বা কূটনৈতিক চাপের কাছে নতি স্বীকার করবে না। কমিটির চেয়ারম্যান জর্গেন ওয়াটনে ফ্রাইডনেস বলেন, “পুরস্কার নির্বাচনের সিদ্ধান্ত ইতিমধ্যে চূড়ান্ত হয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যে সম্ভাব্য শান্তি চুক্তি ভবিষ্যতের পুরস্কারে বিবেচিত হতে পারে।”
নরওয়ের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসপেন বার্থ এইডও জানান, সরকার নোবেল কমিটির সিদ্ধান্তে কোনোভাবে প্রভাব খাটায় না।
তবে ট্রাম্পের আক্রমণাত্মক প্রচারণা নরওয়েকে কূটনৈতিকভাবে বিব্রত অবস্থায় ফেলেছে। দেশটির ২ ট্রিলিয়ন ডলারের সার্বভৌম সম্পদ তহবিলের প্রায় ৪০ শতাংশ বিনিয়োগ যুক্তরাষ্ট্রে হওয়ায় অর্থনৈতিক চাপের আশঙ্কাও দেখা দিয়েছে।
বুকমেকারদের তথ্যমতে, নোবেল শান্তি পুরস্কারের সম্ভাব্য প্রার্থীদের তালিকায় বর্তমানে ট্রাম্প শীর্ষে আছেন। তার পরেই রয়েছেন সুদানের মানবিক সংস্থা ইআরআর এবং প্রয়াত রুশ বিরোধী নেতা অ্যালেক্সি নাভালনির স্ত্রী ইউলিয়া নাভালনায়া।
তবে অতীতের অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে, বুকমেকারদের পূর্বাভাস প্রায়ই ভুল প্রমাণিত হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০২৫ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কারের মনোনয়ন শেষ হয়েছে গত ৩১ জানুয়ারি—ঠিক ট্রাম্পের পুনরায় হোয়াইট হাউসে ফিরে আসার কয়েক সপ্তাহ পরেই। এর আগে ২০০৯ সালে দায়িত্ব গ্রহণের অল্প সময়ের মধ্যেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এই পুরস্কার পান, যা তখনও আন্তর্জাতিক বিতর্কের জন্ম দিয়েছিল।
আপনার মতামত লিখুন