ঢাকা    বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০২৫
ঢাকা    বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০২৫
কওমী টাইমস

রাজনৈতিক সংঘর্ষে রণক্ষেত্র নোয়াখালী, আহতদের অ্যাম্বুলেন্সেও হামলা; উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণে আনতে মাঠে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী

মসজিদের ভেতরে-বাইরে শিবির-যুবদলের দফায় দফায় সংঘর্ষে ২৫ জন আহত, এলাকায় সেনা মোতায়েন


কওমী টাইমস ডেস্ক
কওমী টাইমস ডেস্ক
প্রকাশ : ১৯ অক্টোবর ২০২৫ | প্রিন্ট সংস্করণ

মসজিদের ভেতরে-বাইরে শিবির-যুবদলের দফায় দফায় সংঘর্ষে ২৫ জন আহত, এলাকায় সেনা মোতায়েন

নোয়াখালী জেলার সদর উপজেলার কাশেমবাজার এলাকা রোববার (১৯ অক্টোবর) বিকেলে এক ভয়াবহ রাজনৈতিক সংঘর্ষের ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। স্থানীয় একটি মসজিদের অভ্যন্তরে ইসলামী ছাত্রশিবিরের কোরআন প্রতিযোগিতাকে কেন্দ্র করে মসজিদের বাইরে অবস্থানরত যুবদল নেতাকর্মীদের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। এই রক্তক্ষয়ী সংঘাতে উভয় পক্ষের কমপক্ষে ২৫ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সংঘর্ষ চলাকালে আহতদের বহনকারী অ্যাম্বুলেন্সেও হামলার অভিযোগ উঠেছে।

শনিবার (১৮ অক্টোবর) কাশেমবাজার মসজিদে ইসলামী ছাত্রশিবিরের কোরআন শিক্ষা ক্লাস চলাকালে ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতির নেতৃত্বে হামলার অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে রোববার দুপুরে ছাত্রশিবিরের পক্ষ থেকে সুধারাম মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়। এর প্রতিবাদে এবং কোরআন ক্লাসের সমর্থনে বিকেলে একই মসজিদে ‘দারসুল কোরআন’ প্রতিযোগিতার আয়োজন করে ছাত্রশিবির।

প্রত্যক্ষদর্শীর বিবরণ অনুযায়ী, আসরের নামাজের পর প্রতিযোগিতা শুরু হলে মসজিদের বাইরে নেওয়াজপুর ইউনিয়ন যুবদলের নেতাকর্মীরা জড়ো হন এবং 'জিয়ার সৈনিক' স্লোগান দিতে থাকেন। এ থেকেই উভয় পক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এবং তা দ্রুত সংঘর্ষে রূপ নেয়। সংঘর্ষের সময় ইসলামী ছাত্রশিবিরের সদস্যরা মসজিদের অভ্যন্তরে অবস্থান নেন এবং যুবদলের নেতাকর্মীরা বাইরে বিক্ষোভ চালিয়ে যান।

সংঘর্ষে আহতদের মধ্যে উভয়পক্ষের কমপক্ষে ২৫ জন নেতাকর্মী রয়েছেন।

নেওয়াজপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি কামাল উদ্দিন বাবুল অভিযোগ করেন, নামাজ শেষে মসজিদ থেকে বের হওয়ার সময় তাদের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালানো হয়। তিনি আরও দাবি করেন, আহত যুবদল নেতাকর্মীদের নিতে আসা অ্যাম্বুলেন্সেও হামলা ও ভাঙচুর করা হয়েছে। তিনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নীরব ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। আহত যুবদল ও বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে নেওয়াজপুর ইউনিয়ন বিএনপির প্রচার সম্পাদক মো. আক্তার, দফতর সম্পাদক জাহাঙ্গীর, ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি জিয়াউর রহমানসহ ৮ জন নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, সংঘর্ষের খবর পেয়ে দ্রুত পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কিছুটা বেগ পেতে হয়। বর্তমানে এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এবং যেকোনো ধরনের নতুন সংঘাত এড়াতে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে বলে তিনি জানান। এই ঘটনায় এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

বিষয় : যুবদল শিবির

আপনার মতামত লিখুন

কওমী টাইমস

বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০২৫


মসজিদের ভেতরে-বাইরে শিবির-যুবদলের দফায় দফায় সংঘর্ষে ২৫ জন আহত, এলাকায় সেনা মোতায়েন

প্রকাশের তারিখ : ১৯ অক্টোবর ২০২৫

featured Image

নোয়াখালী জেলার সদর উপজেলার কাশেমবাজার এলাকা রোববার (১৯ অক্টোবর) বিকেলে এক ভয়াবহ রাজনৈতিক সংঘর্ষের ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। স্থানীয় একটি মসজিদের অভ্যন্তরে ইসলামী ছাত্রশিবিরের কোরআন প্রতিযোগিতাকে কেন্দ্র করে মসজিদের বাইরে অবস্থানরত যুবদল নেতাকর্মীদের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। এই রক্তক্ষয়ী সংঘাতে উভয় পক্ষের কমপক্ষে ২৫ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সংঘর্ষ চলাকালে আহতদের বহনকারী অ্যাম্বুলেন্সেও হামলার অভিযোগ উঠেছে।

শনিবার (১৮ অক্টোবর) কাশেমবাজার মসজিদে ইসলামী ছাত্রশিবিরের কোরআন শিক্ষা ক্লাস চলাকালে ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতির নেতৃত্বে হামলার অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে রোববার দুপুরে ছাত্রশিবিরের পক্ষ থেকে সুধারাম মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়। এর প্রতিবাদে এবং কোরআন ক্লাসের সমর্থনে বিকেলে একই মসজিদে ‘দারসুল কোরআন’ প্রতিযোগিতার আয়োজন করে ছাত্রশিবির।

প্রত্যক্ষদর্শীর বিবরণ অনুযায়ী, আসরের নামাজের পর প্রতিযোগিতা শুরু হলে মসজিদের বাইরে নেওয়াজপুর ইউনিয়ন যুবদলের নেতাকর্মীরা জড়ো হন এবং 'জিয়ার সৈনিক' স্লোগান দিতে থাকেন। এ থেকেই উভয় পক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এবং তা দ্রুত সংঘর্ষে রূপ নেয়। সংঘর্ষের সময় ইসলামী ছাত্রশিবিরের সদস্যরা মসজিদের অভ্যন্তরে অবস্থান নেন এবং যুবদলের নেতাকর্মীরা বাইরে বিক্ষোভ চালিয়ে যান।

সংঘর্ষে আহতদের মধ্যে উভয়পক্ষের কমপক্ষে ২৫ জন নেতাকর্মী রয়েছেন।

নেওয়াজপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি কামাল উদ্দিন বাবুল অভিযোগ করেন, নামাজ শেষে মসজিদ থেকে বের হওয়ার সময় তাদের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালানো হয়। তিনি আরও দাবি করেন, আহত যুবদল নেতাকর্মীদের নিতে আসা অ্যাম্বুলেন্সেও হামলা ও ভাঙচুর করা হয়েছে। তিনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নীরব ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। আহত যুবদল ও বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে নেওয়াজপুর ইউনিয়ন বিএনপির প্রচার সম্পাদক মো. আক্তার, দফতর সম্পাদক জাহাঙ্গীর, ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি জিয়াউর রহমানসহ ৮ জন নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, সংঘর্ষের খবর পেয়ে দ্রুত পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কিছুটা বেগ পেতে হয়। বর্তমানে এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এবং যেকোনো ধরনের নতুন সংঘাত এড়াতে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে বলে তিনি জানান। এই ঘটনায় এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।


কওমী টাইমস

সম্পাদক ও প্রকাশক : মুস্তাইন বিল্লাহ
কপিরাইট © ২০২৫ কওমী টাইমস । সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত