
ফিলিস্তিনের গাজায় সংঘটিত "গণহত্যা"য় জড়িত থাকার অভিযোগে ৩০ হাজার ইসরায়েলি সামরিক কর্মীর নাম, পদবি ও ঠিকানা সম্বলিত একটি কথিত 'গোপন নথি' ফাঁস হওয়ার চাঞ্চল্যকর দাবি উঠেছে। কাতারের সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার একটি অনুসন্ধানী অনুষ্ঠানে এই নথি প্রকাশ করা হয়েছে। ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী ও সরকারের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে এই দাবির বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য বা প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি।
সোমবার রাতে আল জাজিরা টেলিভিশনে প্রচারিত অনুসন্ধানী অনুষ্ঠান "মা খাফি আজম" (যা ছিল লুকানো) –এ এই গুরুত্বপূর্ণ তথ্যটি প্রকাশ করা হয়। সাংবাদিক তামার আল-মিশহাল পরিচালিত এই পর্বে দাবি করা হয়, ফাঁস হওয়া নথিতে ইসরায়েলি বিমান বাহিনীর ৩০ হাজার পাইলট, সামরিক কর্মী ও প্রযুক্তিবিদের নাম, পদবি এবং বাসস্থানের ঠিকানা রয়েছে।
অনুষ্ঠানে আল-মিশহাল নিশ্চিত করেন, নথিতে উল্লেখিত এই সামরিক কর্মীরা প্রত্যেকেই গাজা উপত্যকায় আগ্রাসী যুদ্ধে সরাসরি জড়িত ছিলেন। তাদের বিমান হামলায় উপত্যকায় হাজার হাজার বেসামরিক নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে বলে প্রতিবেদনে দাবি করা হয়। এই নথিটি যুদ্ধাপরাধের বিচারের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।
২০২৩ সালের ৮ অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা বিশ্বের সমর্থনে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় যে গণহত্যা শুরু করেছিল, তা প্রায় দুই বছর ধরে চলে। এই যুদ্ধ শেষ হয় ২০২৪ সালের ১০ অক্টোবর একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তির মাধ্যমে।
এই দীর্ঘস্থায়ী আগ্রাসনে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, কমপক্ষে ৬৮ হাজার ২১৬ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন এবং আরও প্রায় ১৭০ হাজার ৩৬১ জন আহত হয়েছেন। ইসরায়েলি আগ্রাসনে গাজার অবকাঠামোর ৯০ শতাংশ সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে যায়।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের একটি পরিকল্পনার ভিত্তিতে যুদ্ধবিরতি চুক্তিটি কার্যকর হয়েছিল। এই চুক্তিতে যুদ্ধ শেষ করা, ধাপে ধাপে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর প্রত্যাহার, বন্দি বিনিময় এবং গাজায় দ্রুত মানবিক সহায়তা প্রবেশ নিশ্চিত করার কথা ছিল।
তবে আল জাজিরার প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, চুক্তি কার্যকর হওয়ার পর তেল আবিব অন্তত ৮০ বার যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছে। ফাঁস হওয়া এই নথির প্রকাশ গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর কার্যকলাপের আন্তর্জাতিক তদন্তের দাবিকে আরও জোরালো করবে বলে মনে করা হচ্ছে।
বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০২৫
প্রকাশের তারিখ : ২১ অক্টোবর ২০২৫
ফিলিস্তিনের গাজায় সংঘটিত "গণহত্যা"য় জড়িত থাকার অভিযোগে ৩০ হাজার ইসরায়েলি সামরিক কর্মীর নাম, পদবি ও ঠিকানা সম্বলিত একটি কথিত 'গোপন নথি' ফাঁস হওয়ার চাঞ্চল্যকর দাবি উঠেছে। কাতারের সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার একটি অনুসন্ধানী অনুষ্ঠানে এই নথি প্রকাশ করা হয়েছে। ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী ও সরকারের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে এই দাবির বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য বা প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি।
সোমবার রাতে আল জাজিরা টেলিভিশনে প্রচারিত অনুসন্ধানী অনুষ্ঠান "মা খাফি আজম" (যা ছিল লুকানো) –এ এই গুরুত্বপূর্ণ তথ্যটি প্রকাশ করা হয়। সাংবাদিক তামার আল-মিশহাল পরিচালিত এই পর্বে দাবি করা হয়, ফাঁস হওয়া নথিতে ইসরায়েলি বিমান বাহিনীর ৩০ হাজার পাইলট, সামরিক কর্মী ও প্রযুক্তিবিদের নাম, পদবি এবং বাসস্থানের ঠিকানা রয়েছে।
অনুষ্ঠানে আল-মিশহাল নিশ্চিত করেন, নথিতে উল্লেখিত এই সামরিক কর্মীরা প্রত্যেকেই গাজা উপত্যকায় আগ্রাসী যুদ্ধে সরাসরি জড়িত ছিলেন। তাদের বিমান হামলায় উপত্যকায় হাজার হাজার বেসামরিক নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে বলে প্রতিবেদনে দাবি করা হয়। এই নথিটি যুদ্ধাপরাধের বিচারের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।
২০২৩ সালের ৮ অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা বিশ্বের সমর্থনে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় যে গণহত্যা শুরু করেছিল, তা প্রায় দুই বছর ধরে চলে। এই যুদ্ধ শেষ হয় ২০২৪ সালের ১০ অক্টোবর একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তির মাধ্যমে।
এই দীর্ঘস্থায়ী আগ্রাসনে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, কমপক্ষে ৬৮ হাজার ২১৬ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন এবং আরও প্রায় ১৭০ হাজার ৩৬১ জন আহত হয়েছেন। ইসরায়েলি আগ্রাসনে গাজার অবকাঠামোর ৯০ শতাংশ সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে যায়।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের একটি পরিকল্পনার ভিত্তিতে যুদ্ধবিরতি চুক্তিটি কার্যকর হয়েছিল। এই চুক্তিতে যুদ্ধ শেষ করা, ধাপে ধাপে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর প্রত্যাহার, বন্দি বিনিময় এবং গাজায় দ্রুত মানবিক সহায়তা প্রবেশ নিশ্চিত করার কথা ছিল।
তবে আল জাজিরার প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, চুক্তি কার্যকর হওয়ার পর তেল আবিব অন্তত ৮০ বার যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছে। ফাঁস হওয়া এই নথির প্রকাশ গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর কার্যকলাপের আন্তর্জাতিক তদন্তের দাবিকে আরও জোরালো করবে বলে মনে করা হচ্ছে।
আপনার মতামত লিখুন