সম্প্রতি ইংল্যান্ডের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর পিসহেভেনের এক মসজিদে অগ্নিসন্ত্রাসের ঘটনায় উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে। এ প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়্যার স্টারমার মসজিদটি পরিদর্শন করে মুসলিমদের সুরক্ষায় অতিরিক্ত ১০ মিলিয়ন পাউন্ড (প্রায় ১৩.৩ মিলিয়ন ডলার) বরাদ্দের ঘোষণা দেন।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়্যার স্টারমার ২৩ অক্টোবর বৃহস্পতিবার পিসহেভেন মসজিদ পরিদর্শন করেন—যে মসজিদে চলতি মাসের শুরুতে অগ্নিসন্ত্রাস চালানো হয়েছিল। ওই ঘটনায় মসজিদের সামনের প্রবেশপথ ও একটি গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়, যদিও কেউ আহত হয়নি। স্থানীয় পুলিশ ঘটনাটিকে ঘৃণামূলক অপরাধ (হেইট ক্রাইম) হিসেবে তদন্ত করছে।
মসজিদ পরিদর্শনের সময় স্টারমার বলেন, “আমাদের এমন এক ব্রিটেন চাই যেখানে প্রত্যেকে শান্তিতে ও নিরাপত্তায় বাস করতে পারে। কোনো সম্প্রদায়ের ওপর আক্রমণ মানে গোটা জাতির ওপর আক্রমণ।” তিনি আরও জানান, অতিরিক্ত এই তহবিল দিয়ে মসজিদ ও মুসলিম ধর্মীয় কেন্দ্রগুলোতে সিসিটিভি, অ্যালার্ম সিস্টেম, নিরাপত্তা বেড়া ও প্রহরী নিয়োগসহ প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হবে।
সরকারি এক বিবৃতিতে বলা হয়, এই অতিরিক্ত তহবিলের মাধ্যমে চলতি বছরের আগেই বরাদ্দ থাকা ২৯.৪ মিলিয়ন পাউন্ডের সঙ্গে নতুন নিরাপত্তা প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে সাউথপোর্ট, হাল ও সান্ডারল্যান্ডে একাধিক মসজিদে হামলার ঘটনায় স্থানীয় মুসলমানরা আতঙ্কে রয়েছেন।
ব্রিটেনের সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, মার্চ ২০২৫ পর্যন্ত এক বছরে ধর্মীয় ঘৃণাজনিত অপরাধের ৪৪ শতাংশই মুসলিমদের লক্ষ্য করে ঘটেছে; যা আগের বছরের তুলনায় ১৯ শতাংশ বেশি।
স্টারমার বলেন, “আমরা এমন এক দেশ গড়তে চাই যেখানে কেউ ঘৃণা বা সহিংসতার ভয় ছাড়াই উপাসনা করতে পারে। উপাসনালয়ে নিরাপত্তা প্রয়োজন হওয়াটাই দুঃখজনক বাস্তবতা।”

বুধবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৫
প্রকাশের তারিখ : ২৬ অক্টোবর ২০২৫
সম্প্রতি ইংল্যান্ডের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর পিসহেভেনের এক মসজিদে অগ্নিসন্ত্রাসের ঘটনায় উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে। এ প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়্যার স্টারমার মসজিদটি পরিদর্শন করে মুসলিমদের সুরক্ষায় অতিরিক্ত ১০ মিলিয়ন পাউন্ড (প্রায় ১৩.৩ মিলিয়ন ডলার) বরাদ্দের ঘোষণা দেন।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়্যার স্টারমার ২৩ অক্টোবর বৃহস্পতিবার পিসহেভেন মসজিদ পরিদর্শন করেন—যে মসজিদে চলতি মাসের শুরুতে অগ্নিসন্ত্রাস চালানো হয়েছিল। ওই ঘটনায় মসজিদের সামনের প্রবেশপথ ও একটি গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়, যদিও কেউ আহত হয়নি। স্থানীয় পুলিশ ঘটনাটিকে ঘৃণামূলক অপরাধ (হেইট ক্রাইম) হিসেবে তদন্ত করছে।
মসজিদ পরিদর্শনের সময় স্টারমার বলেন, “আমাদের এমন এক ব্রিটেন চাই যেখানে প্রত্যেকে শান্তিতে ও নিরাপত্তায় বাস করতে পারে। কোনো সম্প্রদায়ের ওপর আক্রমণ মানে গোটা জাতির ওপর আক্রমণ।” তিনি আরও জানান, অতিরিক্ত এই তহবিল দিয়ে মসজিদ ও মুসলিম ধর্মীয় কেন্দ্রগুলোতে সিসিটিভি, অ্যালার্ম সিস্টেম, নিরাপত্তা বেড়া ও প্রহরী নিয়োগসহ প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হবে।
সরকারি এক বিবৃতিতে বলা হয়, এই অতিরিক্ত তহবিলের মাধ্যমে চলতি বছরের আগেই বরাদ্দ থাকা ২৯.৪ মিলিয়ন পাউন্ডের সঙ্গে নতুন নিরাপত্তা প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে সাউথপোর্ট, হাল ও সান্ডারল্যান্ডে একাধিক মসজিদে হামলার ঘটনায় স্থানীয় মুসলমানরা আতঙ্কে রয়েছেন।
ব্রিটেনের সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, মার্চ ২০২৫ পর্যন্ত এক বছরে ধর্মীয় ঘৃণাজনিত অপরাধের ৪৪ শতাংশই মুসলিমদের লক্ষ্য করে ঘটেছে; যা আগের বছরের তুলনায় ১৯ শতাংশ বেশি।
স্টারমার বলেন, “আমরা এমন এক দেশ গড়তে চাই যেখানে কেউ ঘৃণা বা সহিংসতার ভয় ছাড়াই উপাসনা করতে পারে। উপাসনালয়ে নিরাপত্তা প্রয়োজন হওয়াটাই দুঃখজনক বাস্তবতা।”

আপনার মতামত লিখুন