নিউইয়র্ক টাইমসের (NYT) সম্পাদকীয় বিভাগের পক্ষপাতমূলক প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে ৩০০ জনেরও বেশি লেখক, অধ্যাপক ও বিশিষ্ট ব্যক্তি সংবাদপত্রটির “Görüş” বা মতামত বিভাগে লেখা বন্ধের ঘোষণা দিয়েছেন। তারা বলেছেন, ফিলিস্তিনবিরোধী মনোভাব দূর করা ও সাংবাদিকতার নৈতিক মান পুনঃপ্রতিষ্ঠা না করা পর্যন্ত তারা আর কোনো লেখা পাঠাবেন না।
তুরস্কের আঙ্কারা থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে ৩০০-রও বেশি লেখক, গবেষক ও বুদ্ধিজীবী নিউইয়র্ক টাইমসকে (NYT) ফিলিস্তিনবিরোধী পক্ষপাতদুষ্ট সংবাদ পরিবেশনের অভিযোগে বয়কটের ঘোষণা দেন। তারা অভিযোগ করেন, “গাজায় ইসরায়েলের ধারাবাহিক বিমান হামলা, গণহত্যা ও মানবিক সংকট চলার মধ্যেও পশ্চিমা গণমাধ্যম, বিশেষ করে NYT, ইসরায়েলের অপরাধ আড়াল করে আসছে।”
বিবৃতিতে বলা হয়, “ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের মিথ্যা বিবৃতি পুনঃপ্রকাশ করা, ইসরায়েলপন্থী লবি গোষ্ঠীর চাপে খবর গোপন বা বিকৃত করা, এবং সাংবাদিকদের ‘গণহত্যা’, ‘জাতিগত নিধন’, ‘অধিকৃত ভূমি’—এর মতো শব্দ ব্যবহার করতে নিষেধ করা—এসবই নিউইয়র্ক টাইমসের সংবাদ নীতির গভীর সংকটের প্রমাণ।”
বক্তারা তিনটি শর্ত তুলে ধরেন, যা পূরণ না হলে তারা NYT-তে লেখা পুনরায় শুরু করবেন না:
১. সংবাদ বিভাগকে ফিলিস্তিনবিরোধী পক্ষপাত পর্যালোচনা করে নতুন সম্পাদনা নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে;
২. ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের হামাস-সংক্রান্ত “Screams Without Words” নামের বিভ্রান্তিকর প্রতিবেদন প্রত্যাহার করতে হবে;
৩. প্রকাশনা কর্তৃপক্ষকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানাতে হবে—ইসরায়েলের ওপর অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা আরোপের জন্য।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, “যেভাবে অস্ত্র নির্মাতারা যুদ্ধযন্ত্রের অংশ, তেমনি গণমাধ্যমও এই যুদ্ধকে টিকিয়ে রাখার নৈতিক দায় বহন করছে। আমরা সেই দায় থেকে নিজেদের মুক্ত করতে চাই।”
এই প্রতিবাদকে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমজগতে একটি গুরুত্বপূর্ণ নৈতিক পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে, যা পশ্চিমা সংবাদমাধ্যমের দ্বৈত মানদণ্ড নিয়ে পুনরায় বিতর্ক উস্কে দিয়েছে।

বৃহস্পতিবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৫
প্রকাশের তারিখ : ২৯ অক্টোবর ২০২৫
নিউইয়র্ক টাইমসের (NYT) সম্পাদকীয় বিভাগের পক্ষপাতমূলক প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে ৩০০ জনেরও বেশি লেখক, অধ্যাপক ও বিশিষ্ট ব্যক্তি সংবাদপত্রটির “Görüş” বা মতামত বিভাগে লেখা বন্ধের ঘোষণা দিয়েছেন। তারা বলেছেন, ফিলিস্তিনবিরোধী মনোভাব দূর করা ও সাংবাদিকতার নৈতিক মান পুনঃপ্রতিষ্ঠা না করা পর্যন্ত তারা আর কোনো লেখা পাঠাবেন না।
তুরস্কের আঙ্কারা থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে ৩০০-রও বেশি লেখক, গবেষক ও বুদ্ধিজীবী নিউইয়র্ক টাইমসকে (NYT) ফিলিস্তিনবিরোধী পক্ষপাতদুষ্ট সংবাদ পরিবেশনের অভিযোগে বয়কটের ঘোষণা দেন। তারা অভিযোগ করেন, “গাজায় ইসরায়েলের ধারাবাহিক বিমান হামলা, গণহত্যা ও মানবিক সংকট চলার মধ্যেও পশ্চিমা গণমাধ্যম, বিশেষ করে NYT, ইসরায়েলের অপরাধ আড়াল করে আসছে।”
বিবৃতিতে বলা হয়, “ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের মিথ্যা বিবৃতি পুনঃপ্রকাশ করা, ইসরায়েলপন্থী লবি গোষ্ঠীর চাপে খবর গোপন বা বিকৃত করা, এবং সাংবাদিকদের ‘গণহত্যা’, ‘জাতিগত নিধন’, ‘অধিকৃত ভূমি’—এর মতো শব্দ ব্যবহার করতে নিষেধ করা—এসবই নিউইয়র্ক টাইমসের সংবাদ নীতির গভীর সংকটের প্রমাণ।”
বক্তারা তিনটি শর্ত তুলে ধরেন, যা পূরণ না হলে তারা NYT-তে লেখা পুনরায় শুরু করবেন না:
১. সংবাদ বিভাগকে ফিলিস্তিনবিরোধী পক্ষপাত পর্যালোচনা করে নতুন সম্পাদনা নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে;
২. ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের হামাস-সংক্রান্ত “Screams Without Words” নামের বিভ্রান্তিকর প্রতিবেদন প্রত্যাহার করতে হবে;
৩. প্রকাশনা কর্তৃপক্ষকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানাতে হবে—ইসরায়েলের ওপর অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা আরোপের জন্য।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, “যেভাবে অস্ত্র নির্মাতারা যুদ্ধযন্ত্রের অংশ, তেমনি গণমাধ্যমও এই যুদ্ধকে টিকিয়ে রাখার নৈতিক দায় বহন করছে। আমরা সেই দায় থেকে নিজেদের মুক্ত করতে চাই।”
এই প্রতিবাদকে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমজগতে একটি গুরুত্বপূর্ণ নৈতিক পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে, যা পশ্চিমা সংবাদমাধ্যমের দ্বৈত মানদণ্ড নিয়ে পুনরায় বিতর্ক উস্কে দিয়েছে।

আপনার মতামত লিখুন