সিলেটের জকিগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)-এর একটি দল বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে স্থানীয় কৃষকদের সবজি ক্ষেত ও স্থাপনা ভাঙচুর করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়দের প্রতিরোধ ও বিজিবির হস্তক্ষেপে বিএসএফ সদস্যরা পিছু হটতে বাধ্য হয়।
রোববার (২ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে জকিগঞ্জ উপজেলার মানিকপুর ইউনিয়নের রসুলপুর সীমান্তে এ ঘটনা ঘটে। কুশিয়ারা নদীর তীরবর্তী এলাকায় বিএসএফ সদস্যরা সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশের ভেতরে প্রবেশ করে বলে জানান স্থানীয়রা।
গ্রামবাসীদের অভিযোগ, বিএসএফ সদস্যরা কয়েকটি সবজি ক্ষেত, বাঁশ-ভেড়া কোঠা এবং ছোট স্থাপনা ভেঙে ফেলে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত গ্রামবাসীরা জানায়, বিএসএফের অনুপ্রবেশের খবর পেয়ে তারা দলবদ্ধ হয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন, ফলে বিএসএফ সদস্যরা দ্রুত সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতে ফিরে যায়।
রসুলপুর গ্রামের বাসিন্দা হাসেম আলী বলেন, “ভারতীয়দের প্রবেশের খবর পেয়ে আমরা গ্রামের মানুষ একত্রিত হই। আমাদের প্রতিবাদে তারা সীমান্ত পেরিয়ে ফিরে যায়। এখন আমরা সতর্ক অবস্থায় আছি।”
এ বিষয়ে জকিগঞ্জ ব্যাটালিয়নের (১৯ বিজিবি) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. জুবায়ের আনোয়ার বলেন, “বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বিএসএফের প্রবেশের ঘটনায় আমরা তাৎক্ষণিকভাবে প্রতিবাদ জানিয়েছি। ভবিষ্যতে যেন এমন ঘটনা আর না ঘটে, সে বিষয়ে বিএসএফকে কঠোরভাবে সতর্ক করা হয়েছে।”
তিনি আরও জানান, ঘটনাটির পর বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং উভয় পক্ষ সীমান্তে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার বিষয়ে সম্মত হয়েছে।
সীমান্ত এলাকায় বিএসএফের এ ধরনের অনুপ্রবেশ নতুন নয়, তবে স্থানীয়দের মতে, এবার ঘটনার তীব্রতা ও সময়কাল আগের তুলনায় বেশি ছিল। বিজিবি জানিয়েছে, এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে সীমান্তে টহল জোরদার করা হয়েছে।

সোমবার, ০৩ নভেম্বর ২০২৫
প্রকাশের তারিখ : ০২ নভেম্বর ২০২৫
সিলেটের জকিগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)-এর একটি দল বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে স্থানীয় কৃষকদের সবজি ক্ষেত ও স্থাপনা ভাঙচুর করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়দের প্রতিরোধ ও বিজিবির হস্তক্ষেপে বিএসএফ সদস্যরা পিছু হটতে বাধ্য হয়।
রোববার (২ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে জকিগঞ্জ উপজেলার মানিকপুর ইউনিয়নের রসুলপুর সীমান্তে এ ঘটনা ঘটে। কুশিয়ারা নদীর তীরবর্তী এলাকায় বিএসএফ সদস্যরা সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশের ভেতরে প্রবেশ করে বলে জানান স্থানীয়রা।
গ্রামবাসীদের অভিযোগ, বিএসএফ সদস্যরা কয়েকটি সবজি ক্ষেত, বাঁশ-ভেড়া কোঠা এবং ছোট স্থাপনা ভেঙে ফেলে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত গ্রামবাসীরা জানায়, বিএসএফের অনুপ্রবেশের খবর পেয়ে তারা দলবদ্ধ হয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন, ফলে বিএসএফ সদস্যরা দ্রুত সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতে ফিরে যায়।
রসুলপুর গ্রামের বাসিন্দা হাসেম আলী বলেন, “ভারতীয়দের প্রবেশের খবর পেয়ে আমরা গ্রামের মানুষ একত্রিত হই। আমাদের প্রতিবাদে তারা সীমান্ত পেরিয়ে ফিরে যায়। এখন আমরা সতর্ক অবস্থায় আছি।”
এ বিষয়ে জকিগঞ্জ ব্যাটালিয়নের (১৯ বিজিবি) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. জুবায়ের আনোয়ার বলেন, “বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বিএসএফের প্রবেশের ঘটনায় আমরা তাৎক্ষণিকভাবে প্রতিবাদ জানিয়েছি। ভবিষ্যতে যেন এমন ঘটনা আর না ঘটে, সে বিষয়ে বিএসএফকে কঠোরভাবে সতর্ক করা হয়েছে।”
তিনি আরও জানান, ঘটনাটির পর বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং উভয় পক্ষ সীমান্তে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার বিষয়ে সম্মত হয়েছে।
সীমান্ত এলাকায় বিএসএফের এ ধরনের অনুপ্রবেশ নতুন নয়, তবে স্থানীয়দের মতে, এবার ঘটনার তীব্রতা ও সময়কাল আগের তুলনায় বেশি ছিল। বিজিবি জানিয়েছে, এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে সীমান্তে টহল জোরদার করা হয়েছে।

আপনার মতামত লিখুন