নোয়াখালীর চাটখিল থেকে প্রধানমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ পরিচিতি জাহাঙ্গীর আলম ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে বিদেশে প্রায় ১০০ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। সিআইডির প্রাথমিক তদন্তে দেখা গেছে, ২০১০ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে অবৈধভাবে অর্থ লেনদেন ও পাচার করা হয়েছে। মামলাটি নোয়াখালীর চাটখিল থানায় দায়ের করা হয়েছে এবং তদন্ত চলছে।
শুক্রবার রাতে চাটখিল থানায় মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ পরিদর্শক মেহেদী হাসানের অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, জাহাঙ্গীর আলম নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার নিম্ন-মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান। তিনি তার কর্মজীবন শুরু করেন জাতীয় সংসদ সচিবালয়ে দৈনিক মজুরিভিত্তিক কর্মচারী হিসেবে। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের গঠনের পর অল্প সময়ের জন্য প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে চাকরি পান।
সিআইডির ফাইনান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিটের অনুসন্ধানে দেখা গেছে, ২০১০ সালে তিনি ‘স্কাই রি অ্যারেঞ্জ লিমিটেড’ নামে একটি কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করেন এবং বিকাশের ডিস্ট্রিবিউশন ব্যবসা শুরু করেন। তবে ব্যবসার আড়ালে তিনি ও তার পরিবার একাধিক ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে বিপুল অঙ্কের সন্দেহজনক অর্থ লেনদেন করে।
২০১০ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে বিভিন্ন ব্যাংকে প্রতিষ্ঠানটির নামে প্রায় ৫৬৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে দেখা গেছে, এই লেনদেনের উল্লেখযোগ্য অংশ নগদ জমা হয়েছে এবং বৈধ উৎস নেই। জাহাঙ্গীর আলমের স্ত্রী কামরুন নাহার ও ভাই মনির হোসেনের সহায়তায় দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ অর্থ লেনদেন ও বিদেশে অর্থ পাচারে জড়িত ছিলেন।
২০২৪ সালের জুনে তারা যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান এবং বর্তমানে ভার্জিনিয়ায় অবস্থান করছেন। প্রাথমিক তদন্তে প্রমাণ পাওয়া গেছে, জাহাঙ্গীর আলম ও তার পরিবার যৌথভাবে প্রায় ১০০ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছেন।
চাটখিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জানান, অভিযোগটি থানায় গ্রহণ করা হয়েছে এবং আইনি প্রক্রিয়া অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সিআইডি তদন্ত অব্যাহত রেখেছে এবং সম্পূর্ণ প্রমাণ সংগ্রহের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের শনাক্ত ও দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিষয় : আইনশৃঙ্খলা সিআইডি অর্থপাচার চাটখিল

সোমবার, ০৩ নভেম্বর ২০২৫
প্রকাশের তারিখ : ০২ নভেম্বর ২০২৫
নোয়াখালীর চাটখিল থেকে প্রধানমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ পরিচিতি জাহাঙ্গীর আলম ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে বিদেশে প্রায় ১০০ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। সিআইডির প্রাথমিক তদন্তে দেখা গেছে, ২০১০ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে অবৈধভাবে অর্থ লেনদেন ও পাচার করা হয়েছে। মামলাটি নোয়াখালীর চাটখিল থানায় দায়ের করা হয়েছে এবং তদন্ত চলছে।
শুক্রবার রাতে চাটখিল থানায় মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ পরিদর্শক মেহেদী হাসানের অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, জাহাঙ্গীর আলম নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার নিম্ন-মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান। তিনি তার কর্মজীবন শুরু করেন জাতীয় সংসদ সচিবালয়ে দৈনিক মজুরিভিত্তিক কর্মচারী হিসেবে। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের গঠনের পর অল্প সময়ের জন্য প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে চাকরি পান।
সিআইডির ফাইনান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিটের অনুসন্ধানে দেখা গেছে, ২০১০ সালে তিনি ‘স্কাই রি অ্যারেঞ্জ লিমিটেড’ নামে একটি কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করেন এবং বিকাশের ডিস্ট্রিবিউশন ব্যবসা শুরু করেন। তবে ব্যবসার আড়ালে তিনি ও তার পরিবার একাধিক ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে বিপুল অঙ্কের সন্দেহজনক অর্থ লেনদেন করে।
২০১০ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে বিভিন্ন ব্যাংকে প্রতিষ্ঠানটির নামে প্রায় ৫৬৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে দেখা গেছে, এই লেনদেনের উল্লেখযোগ্য অংশ নগদ জমা হয়েছে এবং বৈধ উৎস নেই। জাহাঙ্গীর আলমের স্ত্রী কামরুন নাহার ও ভাই মনির হোসেনের সহায়তায় দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ অর্থ লেনদেন ও বিদেশে অর্থ পাচারে জড়িত ছিলেন।
২০২৪ সালের জুনে তারা যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান এবং বর্তমানে ভার্জিনিয়ায় অবস্থান করছেন। প্রাথমিক তদন্তে প্রমাণ পাওয়া গেছে, জাহাঙ্গীর আলম ও তার পরিবার যৌথভাবে প্রায় ১০০ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছেন।
চাটখিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জানান, অভিযোগটি থানায় গ্রহণ করা হয়েছে এবং আইনি প্রক্রিয়া অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সিআইডি তদন্ত অব্যাহত রেখেছে এবং সম্পূর্ণ প্রমাণ সংগ্রহের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের শনাক্ত ও দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আপনার মতামত লিখুন