আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২-এ হাজতখানায় দাঁড়িয়ে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন সাবেক তথ্যমন্ত্রী ও জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু। ২৪ জুলাই কুষ্টিয়ায় ছয়জনকে হত্যার মামলায় তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের প্রেক্ষিতে ট্রাইব্যুনাল পৃথক দুই মামলায় বিচার শুরু করার আদেশ দিয়েছে।
রোববার চেয়ারম্যান বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২-এ হাজতখানায় উপস্থিত হন হাসানুল হক ইনু। বিচারক জানালে, তার বিরুদ্ধে আটটি অভিযোগ আনা হয়েছে, এবং যদি তিনি দোষ স্বীকার করেন, তাহলে বিচার প্রক্রিয়া শেষ হবে। জবাবে ইনু বলেন, “আমি সম্পূর্ণ নির্দোষ। আল্লাহর পর বিচার নিষ্পত্তির প্রতিনিধি আপনি, আপনি ন্যায়বিচার করবেন।”
ট্রাইব্যুনাল তার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের পৃথক দুই মামলার বিচার শুরু করার পাশাপাশি ৪ আসামি—ইনু ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফসহ—গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। পরবর্তী শুনানি ৩০ নভেম্বর নির্ধারিত হয়েছে।
বিচারকরা ইনুকে বলেন, প্রসিকিউশন তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ পড়বে, এবং দোষ স্বীকার করলে বিচার প্রক্রিয়া সহজ হবে। ইনু জবাবে বলেন, “আমি কিছু অভিযোগ শুনেছি, বাকিগুলো শুনিনি। তবে আপনারা আমার আবেদন গ্রহণ করছেন না।” ট্রাইব্যুনাল তার আবেদন প্রত্যাখ্যান করে, এবং নির্দেশ দেয় সব কিছু আইনজীবীর মাধ্যমে জানাতে।
ইনু আরও বলেন, “প্রধান উপদেষ্টা দেশের গায়েবি মামলা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। এ ধরনের মামলা ও রাজনৈতিক আক্রোশের শিকার আমি হয়েছি। আমার বিরুদ্ধে সিএমএম কোর্টে ৬০টি মামলা চলমান, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালেও গায়েবি অভিযোগ এনেছে প্রসিকিউশন।”
সর্বশেষ ট্রাইব্যুনাল ইনুর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু করার আদেশ দেন। মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ৩০ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে।

সোমবার, ০৩ নভেম্বর ২০২৫
প্রকাশের তারিখ : ০২ নভেম্বর ২০২৫
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২-এ হাজতখানায় দাঁড়িয়ে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন সাবেক তথ্যমন্ত্রী ও জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু। ২৪ জুলাই কুষ্টিয়ায় ছয়জনকে হত্যার মামলায় তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের প্রেক্ষিতে ট্রাইব্যুনাল পৃথক দুই মামলায় বিচার শুরু করার আদেশ দিয়েছে।
রোববার চেয়ারম্যান বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২-এ হাজতখানায় উপস্থিত হন হাসানুল হক ইনু। বিচারক জানালে, তার বিরুদ্ধে আটটি অভিযোগ আনা হয়েছে, এবং যদি তিনি দোষ স্বীকার করেন, তাহলে বিচার প্রক্রিয়া শেষ হবে। জবাবে ইনু বলেন, “আমি সম্পূর্ণ নির্দোষ। আল্লাহর পর বিচার নিষ্পত্তির প্রতিনিধি আপনি, আপনি ন্যায়বিচার করবেন।”
ট্রাইব্যুনাল তার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের পৃথক দুই মামলার বিচার শুরু করার পাশাপাশি ৪ আসামি—ইনু ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফসহ—গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। পরবর্তী শুনানি ৩০ নভেম্বর নির্ধারিত হয়েছে।
বিচারকরা ইনুকে বলেন, প্রসিকিউশন তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ পড়বে, এবং দোষ স্বীকার করলে বিচার প্রক্রিয়া সহজ হবে। ইনু জবাবে বলেন, “আমি কিছু অভিযোগ শুনেছি, বাকিগুলো শুনিনি। তবে আপনারা আমার আবেদন গ্রহণ করছেন না।” ট্রাইব্যুনাল তার আবেদন প্রত্যাখ্যান করে, এবং নির্দেশ দেয় সব কিছু আইনজীবীর মাধ্যমে জানাতে।
ইনু আরও বলেন, “প্রধান উপদেষ্টা দেশের গায়েবি মামলা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। এ ধরনের মামলা ও রাজনৈতিক আক্রোশের শিকার আমি হয়েছি। আমার বিরুদ্ধে সিএমএম কোর্টে ৬০টি মামলা চলমান, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালেও গায়েবি অভিযোগ এনেছে প্রসিকিউশন।”
সর্বশেষ ট্রাইব্যুনাল ইনুর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু করার আদেশ দেন। মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ৩০ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে।

আপনার মতামত লিখুন