বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের মধ্যে প্রথমবারের মতো বৈধভাবে মোবাইল সিম কার্ড বিতরণ শুরু হয়েছে। কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের ৩৩টি আশ্রয়শিবিরের ১০ হাজার রোহিঙ্গা ধাপে ধাপে এ সিম পাবেন। এই উদ্যোগের মাধ্যমে অবৈধ সিম ব্যবহারের অবসান ও প্রযুক্তিগত নজরদারি জোরদার করা হবে বলে জানিয়েছে প্রশাসন।
সোমবার (১১ আগস্ট) দুপুরে উখিয়ার মধুরছড়া আশ্রয়শিবিরে ‘রোহিঙ্গা সিম বিতরণ কর্মসূচি’র উদ্বোধন করেন শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) ও অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ মিজানুর রহমান। প্রথম দিনে ১০০ রোহিঙ্গা নেতা সিম কার্ড পান।
কমিশনার মিজানুর রহমান জানান, “প্রথম ধাপে উখিয়া ও টেকনাফের ৩৩ আশ্রয়শিবিরে ১০ হাজার রোহিঙ্গাকে সিম দেওয়া হবে। এরপর পর্যায়ক্রমে সবাইকে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।”
এর আগে রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশি মোবাইল অপারেটরের সিম ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা ছিল। তবে এখন ১৮ বছরের বেশি বয়সী রোহিঙ্গারা বৈধভাবে নিবন্ধিত সিম পাবেন। অবৈধ সিম ব্লক করে বৈধ ব্যবহারের আওতায় আনলে মাদক ও অপরাধমূলক কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণে সহজ হবে বলে আশা করছে প্রশাসন।
রোহিঙ্গা নেতা কামাল হোসেন বলেন, “বছরের পর বছর অবৈধভাবে সিম ব্যবহার করায় শিবিরে নানা অপরাধমূলক কাজ বেড়েছে। বৈধ সিম প্রদানের উদ্যোগটি সময়োপযোগী ও প্রশংসনীয়।”
বিটিআরসি সূত্রে জানা যায়, জাতিসংঘ শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশন (ইউএনএইচসিআর)-এর ‘প্রগ্রেস আইডি’ ব্যবহার করে রোহিঙ্গাদের সিম দেওয়া হচ্ছে। দেশের চারটি মোবাইল অপারেটর—গ্রামীণফোন, রবি, বাংলালিংক ও টেলিটক—এই কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছে।
বর্তমানে উখিয়া ও টেকনাফে নিবন্ধিত রোহিঙ্গার সংখ্যা ১৪ লাখের বেশি, যার মধ্যে ২০১৭ সালের পর ৮ লাখেরও বেশি মানুষ বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন।
এই উদ্যোগের ফলে রোহিঙ্গাদের সঙ্গে বৈধ যোগাযোগব্যবস্থা গড়ে উঠবে, যা নিরাপত্তা, প্রশাসনিক তদারকি ও মানবিক সহায়তা প্রদানে নতুন মাত্রা যোগ করবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
বিষয় : রোহিঙ্গা

মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫
প্রকাশের তারিখ : ১০ নভেম্বর ২০২৫
বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের মধ্যে প্রথমবারের মতো বৈধভাবে মোবাইল সিম কার্ড বিতরণ শুরু হয়েছে। কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের ৩৩টি আশ্রয়শিবিরের ১০ হাজার রোহিঙ্গা ধাপে ধাপে এ সিম পাবেন। এই উদ্যোগের মাধ্যমে অবৈধ সিম ব্যবহারের অবসান ও প্রযুক্তিগত নজরদারি জোরদার করা হবে বলে জানিয়েছে প্রশাসন।
সোমবার (১১ আগস্ট) দুপুরে উখিয়ার মধুরছড়া আশ্রয়শিবিরে ‘রোহিঙ্গা সিম বিতরণ কর্মসূচি’র উদ্বোধন করেন শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) ও অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ মিজানুর রহমান। প্রথম দিনে ১০০ রোহিঙ্গা নেতা সিম কার্ড পান।
কমিশনার মিজানুর রহমান জানান, “প্রথম ধাপে উখিয়া ও টেকনাফের ৩৩ আশ্রয়শিবিরে ১০ হাজার রোহিঙ্গাকে সিম দেওয়া হবে। এরপর পর্যায়ক্রমে সবাইকে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।”
এর আগে রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশি মোবাইল অপারেটরের সিম ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা ছিল। তবে এখন ১৮ বছরের বেশি বয়সী রোহিঙ্গারা বৈধভাবে নিবন্ধিত সিম পাবেন। অবৈধ সিম ব্লক করে বৈধ ব্যবহারের আওতায় আনলে মাদক ও অপরাধমূলক কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণে সহজ হবে বলে আশা করছে প্রশাসন।
রোহিঙ্গা নেতা কামাল হোসেন বলেন, “বছরের পর বছর অবৈধভাবে সিম ব্যবহার করায় শিবিরে নানা অপরাধমূলক কাজ বেড়েছে। বৈধ সিম প্রদানের উদ্যোগটি সময়োপযোগী ও প্রশংসনীয়।”
বিটিআরসি সূত্রে জানা যায়, জাতিসংঘ শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশন (ইউএনএইচসিআর)-এর ‘প্রগ্রেস আইডি’ ব্যবহার করে রোহিঙ্গাদের সিম দেওয়া হচ্ছে। দেশের চারটি মোবাইল অপারেটর—গ্রামীণফোন, রবি, বাংলালিংক ও টেলিটক—এই কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছে।
বর্তমানে উখিয়া ও টেকনাফে নিবন্ধিত রোহিঙ্গার সংখ্যা ১৪ লাখের বেশি, যার মধ্যে ২০১৭ সালের পর ৮ লাখেরও বেশি মানুষ বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন।
এই উদ্যোগের ফলে রোহিঙ্গাদের সঙ্গে বৈধ যোগাযোগব্যবস্থা গড়ে উঠবে, যা নিরাপত্তা, প্রশাসনিক তদারকি ও মানবিক সহায়তা প্রদানে নতুন মাত্রা যোগ করবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

আপনার মতামত লিখুন