জেরুজালেম ম্যাজিস্ট্রেট আদালত আজ মঙ্গলবার থেকে শায়খ ইকরিমা সাবরির বিরুদ্ধে বিচারিক কার্যক্রম শুরু করেছে। তার আইনজীবী দল এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ইসরায়েলের রাষ্ট্রীয় প্রসিকিউশন অফিস সাবরির বিরুদ্ধে একটি অভিযোগপত্র দাখিল করেছে, যেখানে জুলাই ২০২৪ সাল থেকে 'উস্কানি' দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।
অভিযোগপত্রে 'সন্ত্রাসে উস্কানি' দেওয়ার বিষয়টিও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এর মূল অভিযোগ হলো:
১. শোকে অংশ নেওয়া: ২০২২ সালে জেরুজালেমের শুয়াফাত শিবির (Shafat Camp) এবং উত্তর পশ্চিম তীরের জেনিন শিবিরে দুটি শোকসভায় শায়খের দেওয়া সমবেদনা বার্তা ও বক্তব্য।
২. শোক প্রকাশ: আল-আকসা মসজিদে জুমার খুতবার সময় হামাসের সাবেক রাজনৈতিক ব্যুরো প্রধান ইসমাইল হানিয়ার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করা।
উল্লেখ্য, জুলাই ২০২৪ সালে ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসউদ পেজেশকিয়ানের অভিষেক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের সময় তেহরানে ইসরায়েলি হামলায় হানিয়া নিহত হন বলে হামাস ঘোষণা করে। ওই বছর আগস্ট মাসে শায়খ ইকরিমা সাবরি আল-আকসায় হানিয়ার জন্য শোক প্রকাশ করায় ইসরায়েলি পুলিশ তাকে ৬ মাসের জন্য আল-আকসায় প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল।
শায়খ ইকরিমা সাবরির আইনজীবী দল এই বিচারিক প্রক্রিয়াকে 'রাজনৈতিক ও ধর্মীয়' নিপীড়নের অংশ হিসেবে দেখছে। তাদের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই বিচার হলো ইসরায়েলি দখলদারিত্ব কর্তৃক শায়খের বিরুদ্ধে গত কয়েক বছর ধরে চলমান হয়রানিমূলক পদক্ষেপের একটি অংশ। এই পদক্ষেপগুলোর মধ্যে রয়েছে আল-আকসা থেকে তাকে বারবার বহিষ্কার করা, বিদেশ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারি করা এবং তার বাড়ি ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেওয়া।
তারা আরও দাবি করেছে যে, ইসরায়েলের কট্টর ডানপন্থী দল ও সংস্থাগুলোর ব্যাপক এবং সংগঠিত 'উস্কানিমূলক প্রচারণার' চাপের মুখে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ এই বিচার শুরু করতে বাধ্য হয়েছে। অতীতে ইসরায়েলের জাতীয় নিরাপত্তা মন্ত্রী ইতামার বেন গভির এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোশে আরবেলের মতো কর্মকর্তারাও সাবরির বিরুদ্ধে নিয়মিত উস্কানিমূলক মন্তব্য করেছেন। গাজায় সংহতিমূলক খুতবা দেওয়ার কারণেও ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ একাধিকবার শায়খের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে।

মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫
প্রকাশের তারিখ : ১৮ নভেম্বর ২০২৫
জেরুজালেম ম্যাজিস্ট্রেট আদালত আজ মঙ্গলবার থেকে শায়খ ইকরিমা সাবরির বিরুদ্ধে বিচারিক কার্যক্রম শুরু করেছে। তার আইনজীবী দল এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ইসরায়েলের রাষ্ট্রীয় প্রসিকিউশন অফিস সাবরির বিরুদ্ধে একটি অভিযোগপত্র দাখিল করেছে, যেখানে জুলাই ২০২৪ সাল থেকে 'উস্কানি' দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।
অভিযোগপত্রে 'সন্ত্রাসে উস্কানি' দেওয়ার বিষয়টিও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এর মূল অভিযোগ হলো:
১. শোকে অংশ নেওয়া: ২০২২ সালে জেরুজালেমের শুয়াফাত শিবির (Shafat Camp) এবং উত্তর পশ্চিম তীরের জেনিন শিবিরে দুটি শোকসভায় শায়খের দেওয়া সমবেদনা বার্তা ও বক্তব্য।
২. শোক প্রকাশ: আল-আকসা মসজিদে জুমার খুতবার সময় হামাসের সাবেক রাজনৈতিক ব্যুরো প্রধান ইসমাইল হানিয়ার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করা।
উল্লেখ্য, জুলাই ২০২৪ সালে ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসউদ পেজেশকিয়ানের অভিষেক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের সময় তেহরানে ইসরায়েলি হামলায় হানিয়া নিহত হন বলে হামাস ঘোষণা করে। ওই বছর আগস্ট মাসে শায়খ ইকরিমা সাবরি আল-আকসায় হানিয়ার জন্য শোক প্রকাশ করায় ইসরায়েলি পুলিশ তাকে ৬ মাসের জন্য আল-আকসায় প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল।
শায়খ ইকরিমা সাবরির আইনজীবী দল এই বিচারিক প্রক্রিয়াকে 'রাজনৈতিক ও ধর্মীয়' নিপীড়নের অংশ হিসেবে দেখছে। তাদের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই বিচার হলো ইসরায়েলি দখলদারিত্ব কর্তৃক শায়খের বিরুদ্ধে গত কয়েক বছর ধরে চলমান হয়রানিমূলক পদক্ষেপের একটি অংশ। এই পদক্ষেপগুলোর মধ্যে রয়েছে আল-আকসা থেকে তাকে বারবার বহিষ্কার করা, বিদেশ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারি করা এবং তার বাড়ি ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেওয়া।
তারা আরও দাবি করেছে যে, ইসরায়েলের কট্টর ডানপন্থী দল ও সংস্থাগুলোর ব্যাপক এবং সংগঠিত 'উস্কানিমূলক প্রচারণার' চাপের মুখে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ এই বিচার শুরু করতে বাধ্য হয়েছে। অতীতে ইসরায়েলের জাতীয় নিরাপত্তা মন্ত্রী ইতামার বেন গভির এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোশে আরবেলের মতো কর্মকর্তারাও সাবরির বিরুদ্ধে নিয়মিত উস্কানিমূলক মন্তব্য করেছেন। গাজায় সংহতিমূলক খুতবা দেওয়ার কারণেও ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ একাধিকবার শায়খের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে।

আপনার মতামত লিখুন