ইসরায়েলি পত্রিকা ইদিয়োথ আহরোনোথ–এর মতে, সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে ফিলিস্তিন ইস্যুতে কঠোর অবস্থান তুলে ধরেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে এমন একটি আনুষ্ঠানিক ও বাধ্যতামূলক নিশ্চয়তা চান, যা আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে দুই রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধান বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে আলোচনার সূচনা ও সমাপ্তি নিশ্চিত করবে।
পত্রিকা জানায়, ট্রাম্প ও যুবরাজের সাম্প্রতিক যৌথ সংবাদ সম্মেলনের বক্তব্যেও দুই রাষ্ট্র সমাধানের দিকে “পরিষ্কার অগ্রগতির ইঙ্গিত” পাওয়া গেছে। তবে ইসরায়েলি কর্মকর্তারা এসব ঘোষণা “অবাধ্যতামূলক” বলেই ব্যাখ্যা করেছেন।
মঙ্গলবার ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠিত ওই সংবাদ সম্মেলনে সৌদি যুবরাজ বলেন,
“আমরা ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণের পথ বিবেচনা করছি, তবে অবশ্যই এমন কাঠামোয় যা ফিলিস্তিন-ইসরায়েল বিরোধের শান্তিপূর্ণ দুই রাষ্ট্র সমাধানকে নিশ্চিত করে।”
ট্রাম্প প্রশাসন দীর্ঘদিন ধরে সৌদি–ইসরায়েল সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণের পক্ষে জোরালো আগ্রহ দেখিয়ে আসছে, কিন্তু রিয়াদ স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে—ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার নিশ্চয়তা ছাড়া তারা কোনো চুক্তিতে অগ্রসর হবে না।
ইদিয়োথ আহরোনোথ আরও বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের আনুষ্ঠানিক নিশ্চয়তা পাওয়া গেলে সৌদি আরবের ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার রূপরেখা “আরও বাস্তবসম্মত ও কার্যকর” হবে। ইসরায়েল অবশ্য অতীতের মতো এবারও স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের ধারণা প্রত্যাখ্যান করেছে।
বিষয় : সৌদি আরব মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র

রোববার, ২৩ নভেম্বর ২০২৫
প্রকাশের তারিখ : ২০ নভেম্বর ২০২৫
ইসরায়েলি পত্রিকা ইদিয়োথ আহরোনোথ–এর মতে, সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে ফিলিস্তিন ইস্যুতে কঠোর অবস্থান তুলে ধরেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে এমন একটি আনুষ্ঠানিক ও বাধ্যতামূলক নিশ্চয়তা চান, যা আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে দুই রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধান বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে আলোচনার সূচনা ও সমাপ্তি নিশ্চিত করবে।
পত্রিকা জানায়, ট্রাম্প ও যুবরাজের সাম্প্রতিক যৌথ সংবাদ সম্মেলনের বক্তব্যেও দুই রাষ্ট্র সমাধানের দিকে “পরিষ্কার অগ্রগতির ইঙ্গিত” পাওয়া গেছে। তবে ইসরায়েলি কর্মকর্তারা এসব ঘোষণা “অবাধ্যতামূলক” বলেই ব্যাখ্যা করেছেন।
মঙ্গলবার ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠিত ওই সংবাদ সম্মেলনে সৌদি যুবরাজ বলেন,
“আমরা ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণের পথ বিবেচনা করছি, তবে অবশ্যই এমন কাঠামোয় যা ফিলিস্তিন-ইসরায়েল বিরোধের শান্তিপূর্ণ দুই রাষ্ট্র সমাধানকে নিশ্চিত করে।”
ট্রাম্প প্রশাসন দীর্ঘদিন ধরে সৌদি–ইসরায়েল সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণের পক্ষে জোরালো আগ্রহ দেখিয়ে আসছে, কিন্তু রিয়াদ স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে—ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার নিশ্চয়তা ছাড়া তারা কোনো চুক্তিতে অগ্রসর হবে না।
ইদিয়োথ আহরোনোথ আরও বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের আনুষ্ঠানিক নিশ্চয়তা পাওয়া গেলে সৌদি আরবের ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার রূপরেখা “আরও বাস্তবসম্মত ও কার্যকর” হবে। ইসরায়েল অবশ্য অতীতের মতো এবারও স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের ধারণা প্রত্যাখ্যান করেছে।

আপনার মতামত লিখুন