তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তানের (টিটিপি) হয়ে লড়াই করতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন এক বাংলাদেশি যুবক। নিহতের নাম ফয়সাল হোসেন মোড়ল (২১)। তিনি মাদারীপুর সদর উপজেলার কালিকাপুর ইউনিয়নের ছোট দুধখালী গ্রামের আউয়াল মোড়লের ছেলে।
গত শুক্রবার রাতে পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের কারাক জেলায় সেনাবাহিনীর অভিযানে ১৭ জন টিটিপি সদস্য নিহত হন। নিহতদের মধ্যে ছিলেন বাংলাদেশি ফয়সাল হোসেন। পাকিস্তানি গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, তার কাছ থেকে পরিচয়পত্র, টাকা ও ব্যক্তিগত সামগ্রী উদ্ধার করা হয়েছে।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, দুই বছর আগে ফয়সাল দুবাই যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। পরিবার অর্থের জোগান দিতে না পারায় তিনি হঠাৎ নিখোঁজ হন। ছয় মাস পর বড় ভাই আরমান মোড়লকে ফোনে জানিয়ে দেন, তিনি কোনোভাবে দুবাই পৌঁছেছেন এবং ভালো আছেন। তবে বিস্তারিত তথ্য এড়িয়ে যেতেন।
ফয়সালের চাচা আব্দুল হালিম মোড়ল জানান, গত ঈদুল আজহার সময় গোয়েন্দা পুলিশের এক কর্মকর্তা তাদের বাড়িতে গিয়ে জানান, ফয়সাল আফগানিস্তানে রয়েছে। সোমবার সকালে তারা পাকিস্তানে ভাতিজার মৃত্যুর খবর পান।
স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, দেশে থাকতে ধর্মীয় রীতিনীতি মেনে চলতেন ফয়সাল। তিনি বাজার-হাটে ঘুরে তাসবিহ, টুপি, আতরসহ ধর্মীয় সরঞ্জাম বিক্রি করতেন। ২০২৪ সালের মার্চে দেশ ছাড়ার পর আর দেশে ফেরেননি।
ঘটনার পর পরিবার শোকাহত হলেও কোনো বক্তব্য দিতে চাইছে না। ফয়সালের বাবার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
বিষয় : আন্তর্জাতিক বাংলাদেশ পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদ

শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫
প্রকাশের তারিখ : ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তানের (টিটিপি) হয়ে লড়াই করতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন এক বাংলাদেশি যুবক। নিহতের নাম ফয়সাল হোসেন মোড়ল (২১)। তিনি মাদারীপুর সদর উপজেলার কালিকাপুর ইউনিয়নের ছোট দুধখালী গ্রামের আউয়াল মোড়লের ছেলে।
গত শুক্রবার রাতে পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের কারাক জেলায় সেনাবাহিনীর অভিযানে ১৭ জন টিটিপি সদস্য নিহত হন। নিহতদের মধ্যে ছিলেন বাংলাদেশি ফয়সাল হোসেন। পাকিস্তানি গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, তার কাছ থেকে পরিচয়পত্র, টাকা ও ব্যক্তিগত সামগ্রী উদ্ধার করা হয়েছে।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, দুই বছর আগে ফয়সাল দুবাই যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। পরিবার অর্থের জোগান দিতে না পারায় তিনি হঠাৎ নিখোঁজ হন। ছয় মাস পর বড় ভাই আরমান মোড়লকে ফোনে জানিয়ে দেন, তিনি কোনোভাবে দুবাই পৌঁছেছেন এবং ভালো আছেন। তবে বিস্তারিত তথ্য এড়িয়ে যেতেন।
ফয়সালের চাচা আব্দুল হালিম মোড়ল জানান, গত ঈদুল আজহার সময় গোয়েন্দা পুলিশের এক কর্মকর্তা তাদের বাড়িতে গিয়ে জানান, ফয়সাল আফগানিস্তানে রয়েছে। সোমবার সকালে তারা পাকিস্তানে ভাতিজার মৃত্যুর খবর পান।
স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, দেশে থাকতে ধর্মীয় রীতিনীতি মেনে চলতেন ফয়সাল। তিনি বাজার-হাটে ঘুরে তাসবিহ, টুপি, আতরসহ ধর্মীয় সরঞ্জাম বিক্রি করতেন। ২০২৪ সালের মার্চে দেশ ছাড়ার পর আর দেশে ফেরেননি।
ঘটনার পর পরিবার শোকাহত হলেও কোনো বক্তব্য দিতে চাইছে না। ফয়সালের বাবার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

আপনার মতামত লিখুন