
নেত্রকোণার মোহনগঞ্জ উপজেলার খুরশিমূল গ্রামে শারদীয় দুর্গাপূজার মণ্ডপে একদল দুষ্কৃতিকারীর হামলায় অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। হামলার শিকারদের মধ্যে পূজা কমিটির সভাপতিও রয়েছেন। স্থানীয়রা এ ঘটনায় ক্ষোভ ও বিচার দাবি করেছেন।
বুধবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে নেত্রকোণার মোহনগঞ্জ উপজেলার খুরশিমূল বাজারের পাশে এক বাড়িতে স্থাপিত দুর্গাপূজা মণ্ডপে এই হামলার ঘটনা ঘটে। পূজামণ্ডপ কমিটির সদস্যরা জানান, স্থানীয় কিছু যুবক মণ্ডপে প্রবেশ করে মাইকে গান বাজিয়ে নাচানাচি শুরু করে। কমিটির সদস্যরা বাধা দিলে তারা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়।
পূজা কমিটির সভাপতি অসিত চন্দ্র দাস বলেন, সিয়াধার গ্রামের তুর্জয় (২৫), মেহেদী হাসান (২৪) এবং পেরিচর গ্রামের মুন্না (২৬), রানা ও অন্তরসহ প্রায় ১০–১২ জন এই হামলায় জড়িত। তিনি জানান, বাঁশের লাঠির আঘাতে তাঁর হাতের হাড় ভেঙে গেছে এবং তিনি মারাত্মকভাবে আহত হয়েছেন।
আহত অজয় দাস বলেন, “আমি ওদের চিনি, তাই হাতজোড় করে অনুরোধ করেছিলাম উৎসবের মধ্যে বিশৃঙ্খলা না করতে। কিন্তু তারা উল্টো আমার মাথায় আঘাত করে রক্তাক্ত করে।”
আহতদের মধ্যে আরও রয়েছেন—অনন্ত চন্দ্র দাস (২০), সুমন চন্দ্র দাস (২১), সত্যজিত চক্রবর্তী (২৭), নিরব দাস (১৭), পরিতোষ চন্দ্র দাস (২১), জয় দাস (২৫) ও সৈকত দাস (২২)।
খুরশিমূল গ্রামের স্থানীয় জনপ্রতিনিধি আলয় দে বলেন, “আমরা সনাতন ধর্মের অনুসারী হওয়ায় বারবার এ ধরনের নির্যাতনের শিকার হচ্ছি। আমরা এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।”
এ ঘটনায় মোহনগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে এবং সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে এবং যথাসময়ে প্রতিমা বিসর্জন হবে বলে তিনি নিশ্চিত করেন।
এই হামলার ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লেও, প্রশাসন জানিয়েছে তারা দায়ীদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনবে।
বিষয় : অপরাধ দুর্গাপূজা বাংলাদেশ ধর্ম নেত্রকোণা
বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫
প্রকাশের তারিখ : ০২ অক্টোবর ২০২৫
নেত্রকোণার মোহনগঞ্জ উপজেলার খুরশিমূল গ্রামে শারদীয় দুর্গাপূজার মণ্ডপে একদল দুষ্কৃতিকারীর হামলায় অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। হামলার শিকারদের মধ্যে পূজা কমিটির সভাপতিও রয়েছেন। স্থানীয়রা এ ঘটনায় ক্ষোভ ও বিচার দাবি করেছেন।
বুধবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে নেত্রকোণার মোহনগঞ্জ উপজেলার খুরশিমূল বাজারের পাশে এক বাড়িতে স্থাপিত দুর্গাপূজা মণ্ডপে এই হামলার ঘটনা ঘটে। পূজামণ্ডপ কমিটির সদস্যরা জানান, স্থানীয় কিছু যুবক মণ্ডপে প্রবেশ করে মাইকে গান বাজিয়ে নাচানাচি শুরু করে। কমিটির সদস্যরা বাধা দিলে তারা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়।
পূজা কমিটির সভাপতি অসিত চন্দ্র দাস বলেন, সিয়াধার গ্রামের তুর্জয় (২৫), মেহেদী হাসান (২৪) এবং পেরিচর গ্রামের মুন্না (২৬), রানা ও অন্তরসহ প্রায় ১০–১২ জন এই হামলায় জড়িত। তিনি জানান, বাঁশের লাঠির আঘাতে তাঁর হাতের হাড় ভেঙে গেছে এবং তিনি মারাত্মকভাবে আহত হয়েছেন।
আহত অজয় দাস বলেন, “আমি ওদের চিনি, তাই হাতজোড় করে অনুরোধ করেছিলাম উৎসবের মধ্যে বিশৃঙ্খলা না করতে। কিন্তু তারা উল্টো আমার মাথায় আঘাত করে রক্তাক্ত করে।”
আহতদের মধ্যে আরও রয়েছেন—অনন্ত চন্দ্র দাস (২০), সুমন চন্দ্র দাস (২১), সত্যজিত চক্রবর্তী (২৭), নিরব দাস (১৭), পরিতোষ চন্দ্র দাস (২১), জয় দাস (২৫) ও সৈকত দাস (২২)।
খুরশিমূল গ্রামের স্থানীয় জনপ্রতিনিধি আলয় দে বলেন, “আমরা সনাতন ধর্মের অনুসারী হওয়ায় বারবার এ ধরনের নির্যাতনের শিকার হচ্ছি। আমরা এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।”
এ ঘটনায় মোহনগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে এবং সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে এবং যথাসময়ে প্রতিমা বিসর্জন হবে বলে তিনি নিশ্চিত করেন।
এই হামলার ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লেও, প্রশাসন জানিয়েছে তারা দায়ীদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনবে।
আপনার মতামত লিখুন