
জাতীয় ইমাম পরিষদ দাবি করেছে, আর্থিক স্বচ্ছলতা থাকলে ইমামরা সমাজের নেতা হিসেবে স্বীকৃত হবেন, শুধুমাত্র ধর্মীয় নেতার নয়। বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে আয়োজিত “কল্যাণময় রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় ইমামদের ভূমিকা” শীর্ষক আলোচনা সভায় এই দাবি উত্থাপন করা হয়।
বক্তারা বলেন, আদর্শ সমাজ ও কল্যাণময় রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় ইমামদের ভূমিকা অপরিহার্য। তারা শুধু ধর্মীয় শিক্ষা প্রদান করেন না, বরং সমাজের নৈতিক ও সামাজিক অপরাধ—যেমন ঘুষ, দুর্নীতি, চুরি, ডাকাতি, চাঁদাবাজি—সম্পর্কেও জনগণকে সচেতন করে তোলেন।
ইমাম ও খতিবরা জুমুআর খুতবায় নামাজ, রোজা, হজ, যাকাতসহ সুদ, ঘুষ, দুর্নীতি, মাদকাসক্তি, নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ, সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ নির্মূলের বিষয়েও মানুষকে সচেতন করেন। সমাজে বিদ্যমান সমস্যা কোরআন-হাদিসের আলোকে তুলে ধরে সমাধান প্রদানের মাধ্যমে ইমামরা জনগণকে সঠিক পথে পরিচালিত করেন। এছাড়া, প্রতিটি মসজিদে সকালের মক্তব পরিচালনা করে ইমামরা নিরক্ষরতা দূর করতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।
জাতীয় ইমাম পরিষদের সভাপতি মুফতি আব্দুল্লাহ ইয়াহইয়া সভাপতিত্বে এবং মহাসচিব মুফতি আ ফ ম আকরাম হোসাইনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ ও খেলাফত মজলিসের নায়েবে আমির মাওলানা আহমদ আলী কাশেমী, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের নায়েবে আমির মাওলানা আব্দুল কাইয়ুম সোবহানী, খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আতাউল্লাহ আমিন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কৃষি ও শ্রম বিষয়ক সম্পাদক আলহাজ্ব মো. আব্দুর রহমান, মুফতি মুজিবুর রহমান হামিদী এবং মাওলানা এনামুল হক মুসা প্রমুখ।
বক্তারা জোর দিয়ে বলেন, রাষ্ট্রীয়ভাবে ইমামদের জন্য ভাতা প্রদানের মাধ্যমে তাদের আর্থিক স্বচ্ছলতা নিশ্চিত করা হলে তারা শুধুমাত্র ধর্মীয় শিক্ষাদাতা নয়, বরং সমাজের প্রকৃত নেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে সক্ষম হবেন।
সম্মেলনের মূল বক্তব্যে প্রতিফলিত হয়, একটি কল্যাণময় রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় ইমামদের অবদান অপরিসীম এবং রাষ্ট্র তাদের সহায়তা করলে সমাজে নৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ন অনেক দ্রুত সম্ভব হবে।
বিষয় : বাংলাদেশ ধর্ম ইমাম জাতীয় ইমাম পরিষদ
বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫
প্রকাশের তারিখ : ০২ অক্টোবর ২০২৫
জাতীয় ইমাম পরিষদ দাবি করেছে, আর্থিক স্বচ্ছলতা থাকলে ইমামরা সমাজের নেতা হিসেবে স্বীকৃত হবেন, শুধুমাত্র ধর্মীয় নেতার নয়। বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে আয়োজিত “কল্যাণময় রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় ইমামদের ভূমিকা” শীর্ষক আলোচনা সভায় এই দাবি উত্থাপন করা হয়।
বক্তারা বলেন, আদর্শ সমাজ ও কল্যাণময় রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় ইমামদের ভূমিকা অপরিহার্য। তারা শুধু ধর্মীয় শিক্ষা প্রদান করেন না, বরং সমাজের নৈতিক ও সামাজিক অপরাধ—যেমন ঘুষ, দুর্নীতি, চুরি, ডাকাতি, চাঁদাবাজি—সম্পর্কেও জনগণকে সচেতন করে তোলেন।
ইমাম ও খতিবরা জুমুআর খুতবায় নামাজ, রোজা, হজ, যাকাতসহ সুদ, ঘুষ, দুর্নীতি, মাদকাসক্তি, নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ, সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ নির্মূলের বিষয়েও মানুষকে সচেতন করেন। সমাজে বিদ্যমান সমস্যা কোরআন-হাদিসের আলোকে তুলে ধরে সমাধান প্রদানের মাধ্যমে ইমামরা জনগণকে সঠিক পথে পরিচালিত করেন। এছাড়া, প্রতিটি মসজিদে সকালের মক্তব পরিচালনা করে ইমামরা নিরক্ষরতা দূর করতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।
জাতীয় ইমাম পরিষদের সভাপতি মুফতি আব্দুল্লাহ ইয়াহইয়া সভাপতিত্বে এবং মহাসচিব মুফতি আ ফ ম আকরাম হোসাইনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ ও খেলাফত মজলিসের নায়েবে আমির মাওলানা আহমদ আলী কাশেমী, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের নায়েবে আমির মাওলানা আব্দুল কাইয়ুম সোবহানী, খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আতাউল্লাহ আমিন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কৃষি ও শ্রম বিষয়ক সম্পাদক আলহাজ্ব মো. আব্দুর রহমান, মুফতি মুজিবুর রহমান হামিদী এবং মাওলানা এনামুল হক মুসা প্রমুখ।
বক্তারা জোর দিয়ে বলেন, রাষ্ট্রীয়ভাবে ইমামদের জন্য ভাতা প্রদানের মাধ্যমে তাদের আর্থিক স্বচ্ছলতা নিশ্চিত করা হলে তারা শুধুমাত্র ধর্মীয় শিক্ষাদাতা নয়, বরং সমাজের প্রকৃত নেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে সক্ষম হবেন।
সম্মেলনের মূল বক্তব্যে প্রতিফলিত হয়, একটি কল্যাণময় রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় ইমামদের অবদান অপরিসীম এবং রাষ্ট্র তাদের সহায়তা করলে সমাজে নৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ন অনেক দ্রুত সম্ভব হবে।
আপনার মতামত লিখুন