
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘শক্তি’ আজ রাতেই ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ ও ওড়িশার উপকূলে আঘাত হানতে পারে। আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশে সরাসরি আঘাত হানবে না, তবে এর প্রভাবে দেশের কয়েকটি অঞ্চলে বৃষ্টি বৃদ্ধি পেতে পারে।
কানাডার সাসকাচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ুবিষয়ক গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনী পরিচালিত জয়েন্ট টাইফুন ওয়ার্নিং সেন্টারের (JTWC) আজ সকাল ৯টার বার্তায় বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টির কেন্দ্র বর্তমানে দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। এটি ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূলের পূর্বদিকে এবং কলকাতা থেকে প্রায় ৭০০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে রয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্রে বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় প্রায় ৬৫ কিলোমিটার এবং দমকা হাওয়াসহ ঘণ্টায় ৮৩ কিলোমিটার পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে। JTWC’র পূর্বাভাস অনুযায়ী, আজ রাতেই ঘূর্ণিঝড়টি অন্ধ্রপ্রদেশ ও ওড়িশার মধ্যবর্তী উপকূলে স্থলভাগে প্রবেশ করবে।
তবে ভারতীয় আবহাওয়া অধিদফতর এখনও ঘূর্ণিঝড়টিকে ‘গভীর নিম্নচাপ’ হিসেবেই চিহ্নিত করেছে। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, বাংলাদেশে ঘূর্ণিঝড়টি সরাসরি আঘাত হানবে না। তবে তার প্রভাবে বাংলাদেশসহ ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, ত্রিপুরা ও মেঘালয়ে আগামী ৫ অক্টোবর পর্যন্ত মাঝারি থেকে ভারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
বর্তমানে বাংলাদেশ ও ভারতে বর্ষা মৌসুম চলছে। সাধারণত বর্ষা শেষ হওয়ার আগে পূর্ণাঙ্গ ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হয় না। তাই বর্ষার মাঝেই বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় ‘শক্তি’র সৃষ্টি হওয়াকে বিশেষজ্ঞরা ব্যতিক্রমী ঘটনা হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
স্থানীয় প্রশাসন ও আবহাওয়া বিভাগ সতর্কতা জারি করেছে এবং মানুষকে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে। সমুদ্রসীমায় মৎস্যজীবীদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।
বিষয় : বাংলাদেশ ভারত আবহাওয়া ঘূর্ণিঝড় বঙ্গোপসাগর
বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০২৫
প্রকাশের তারিখ : ০২ অক্টোবর ২০২৫
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘শক্তি’ আজ রাতেই ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ ও ওড়িশার উপকূলে আঘাত হানতে পারে। আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশে সরাসরি আঘাত হানবে না, তবে এর প্রভাবে দেশের কয়েকটি অঞ্চলে বৃষ্টি বৃদ্ধি পেতে পারে।
কানাডার সাসকাচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ুবিষয়ক গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনী পরিচালিত জয়েন্ট টাইফুন ওয়ার্নিং সেন্টারের (JTWC) আজ সকাল ৯টার বার্তায় বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টির কেন্দ্র বর্তমানে দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। এটি ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূলের পূর্বদিকে এবং কলকাতা থেকে প্রায় ৭০০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে রয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্রে বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় প্রায় ৬৫ কিলোমিটার এবং দমকা হাওয়াসহ ঘণ্টায় ৮৩ কিলোমিটার পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে। JTWC’র পূর্বাভাস অনুযায়ী, আজ রাতেই ঘূর্ণিঝড়টি অন্ধ্রপ্রদেশ ও ওড়িশার মধ্যবর্তী উপকূলে স্থলভাগে প্রবেশ করবে।
তবে ভারতীয় আবহাওয়া অধিদফতর এখনও ঘূর্ণিঝড়টিকে ‘গভীর নিম্নচাপ’ হিসেবেই চিহ্নিত করেছে। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, বাংলাদেশে ঘূর্ণিঝড়টি সরাসরি আঘাত হানবে না। তবে তার প্রভাবে বাংলাদেশসহ ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, ত্রিপুরা ও মেঘালয়ে আগামী ৫ অক্টোবর পর্যন্ত মাঝারি থেকে ভারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
বর্তমানে বাংলাদেশ ও ভারতে বর্ষা মৌসুম চলছে। সাধারণত বর্ষা শেষ হওয়ার আগে পূর্ণাঙ্গ ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হয় না। তাই বর্ষার মাঝেই বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় ‘শক্তি’র সৃষ্টি হওয়াকে বিশেষজ্ঞরা ব্যতিক্রমী ঘটনা হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
স্থানীয় প্রশাসন ও আবহাওয়া বিভাগ সতর্কতা জারি করেছে এবং মানুষকে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে। সমুদ্রসীমায় মৎস্যজীবীদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন