
ঢাকাসহ সারাদেশে ৪ অক্টোবর থেকে ২২ দিনের ইলিশ আহরণ ও বিক্রি বন্ধ করা হবে। কিন্তু ঘোষণা আসার আগেই রাজধানীর বাজারগুলোতে ইলিশের দাম চড়া দেখা গেছে। ছোট-বড় সব ধরনের ইলিশ কেজিতে ১০০–৩০০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।
ঢাকায় তালতলা ও শেওড়াপাড়া বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ইলিশের দাম গত বছরের তুলনায় এবার অনেক বেশি। দাম বেড়ে নিম্নবিত্ত মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। ভোক্তারা অভিযোগ করছেন, এবছর ইলিশের বাজার সিন্ডিকেটের কারণে সব সময় চড়া রয়েছে।
বাজারে এক কেজি ওজনের ইলিশ কেজিতে ৩০০ টাকা বেড়ে ২৩০০–২৪০০ টাকা, ৭০০ গ্রামের মাছ ২০০০ টাকা, ৫০০ গ্রামের মাছ ১৬০০ টাকা এবং ৩০০ গ্রামের ইলিশ ১১০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ছোট মাছ ১৫০–২০০ গ্রাম প্রতি কেজি ৬০০–৭০০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।
তালতলা বাজারে আসা তোফাজ্জল সিকদার জানান, “গত বছর এই সময় ইলিশের দাম কম ছিল। জাটকা বাজারে সয়লাব হলেও এবছর বড় মাছ চোখে পড়ছে না। গরিব মানুষ এক কেজি ইলিশ কিনেও খেতে পারছে না। সরকারের উচিত ইলিশ সিন্ডিকেট ভাঙা।”
অন্য মাছের বাজারও কেজি দরে বেড়েছে। চাষের শিং ৩৫০–৫৫০ টাকা, দেশি শিং ১০০০–১২০০ টাকা, রুই ৪০০–৫৫০ টাকা, দেশি মাগুর ৮০০–১০০০ টাকা, মৃগেল ৩৫০–৪০০ টাকা, চাষের পাঙ্গাস ২০০–২৩৫ টাকা, চিংড়ি ৮০০–১৪০০ টাকা, বোয়াল ৬০০–৮০০ টাকা, বড় কাতল ৪০০–৫৫০ টাকা, পোয়া ৩৫০–৪০০ টাকা, পাবদা ৪০০–৪৫০ টাকা, তেলাপিয়া ২২০ টাকা, কৈ ২২০–২৩৫ টাকা, মলা ৫০০ টাকা, বাতাসি টেংরা ১৩০০ টাকা, টেংরা ৬০০–৮০০ টাকা, কাচকি ৫০০ টাকা এবং পাঁচ মিশালি ২২০ টাকা।
৪ অক্টোবর থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত দেশে ২২ দিনের বিশেষ অভিযান চালানো হবে। এই সময় ইলিশ আহরণ, পরিবহন, বিপণন ও মজুত সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ থাকবে। মৎস্য অধিদফতর জানিয়েছে, এই পদক্ষেপ ইলিশ সংরক্ষণ ও প্রজনন বৃদ্ধির লক্ষ্যে নেওয়া হয়েছে।
বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০২৫
প্রকাশের তারিখ : ০২ অক্টোবর ২০২৫
ঢাকাসহ সারাদেশে ৪ অক্টোবর থেকে ২২ দিনের ইলিশ আহরণ ও বিক্রি বন্ধ করা হবে। কিন্তু ঘোষণা আসার আগেই রাজধানীর বাজারগুলোতে ইলিশের দাম চড়া দেখা গেছে। ছোট-বড় সব ধরনের ইলিশ কেজিতে ১০০–৩০০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।
ঢাকায় তালতলা ও শেওড়াপাড়া বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ইলিশের দাম গত বছরের তুলনায় এবার অনেক বেশি। দাম বেড়ে নিম্নবিত্ত মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। ভোক্তারা অভিযোগ করছেন, এবছর ইলিশের বাজার সিন্ডিকেটের কারণে সব সময় চড়া রয়েছে।
বাজারে এক কেজি ওজনের ইলিশ কেজিতে ৩০০ টাকা বেড়ে ২৩০০–২৪০০ টাকা, ৭০০ গ্রামের মাছ ২০০০ টাকা, ৫০০ গ্রামের মাছ ১৬০০ টাকা এবং ৩০০ গ্রামের ইলিশ ১১০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ছোট মাছ ১৫০–২০০ গ্রাম প্রতি কেজি ৬০০–৭০০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।
তালতলা বাজারে আসা তোফাজ্জল সিকদার জানান, “গত বছর এই সময় ইলিশের দাম কম ছিল। জাটকা বাজারে সয়লাব হলেও এবছর বড় মাছ চোখে পড়ছে না। গরিব মানুষ এক কেজি ইলিশ কিনেও খেতে পারছে না। সরকারের উচিত ইলিশ সিন্ডিকেট ভাঙা।”
অন্য মাছের বাজারও কেজি দরে বেড়েছে। চাষের শিং ৩৫০–৫৫০ টাকা, দেশি শিং ১০০০–১২০০ টাকা, রুই ৪০০–৫৫০ টাকা, দেশি মাগুর ৮০০–১০০০ টাকা, মৃগেল ৩৫০–৪০০ টাকা, চাষের পাঙ্গাস ২০০–২৩৫ টাকা, চিংড়ি ৮০০–১৪০০ টাকা, বোয়াল ৬০০–৮০০ টাকা, বড় কাতল ৪০০–৫৫০ টাকা, পোয়া ৩৫০–৪০০ টাকা, পাবদা ৪০০–৪৫০ টাকা, তেলাপিয়া ২২০ টাকা, কৈ ২২০–২৩৫ টাকা, মলা ৫০০ টাকা, বাতাসি টেংরা ১৩০০ টাকা, টেংরা ৬০০–৮০০ টাকা, কাচকি ৫০০ টাকা এবং পাঁচ মিশালি ২২০ টাকা।
৪ অক্টোবর থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত দেশে ২২ দিনের বিশেষ অভিযান চালানো হবে। এই সময় ইলিশ আহরণ, পরিবহন, বিপণন ও মজুত সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ থাকবে। মৎস্য অধিদফতর জানিয়েছে, এই পদক্ষেপ ইলিশ সংরক্ষণ ও প্রজনন বৃদ্ধির লক্ষ্যে নেওয়া হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন