তেলেঙ্গানার রাজধানী হায়দ্রাবাদের পুরাতন শহর এলাকায় আসন্ন দুর্গাপূজা প্রতিমা বিসর্জন শোভাযাত্রাকে কেন্দ্র করে নজিরবিহীন নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে প্রশাসন। সম্ভাব্য যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে শোভাযাত্রার প্রধান পথগুলোর ধারে অবস্থিত বেশ কয়েকটি মসজিদ ঢেকে দেওয়া হয়েছে। এই পদক্ষেপকে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনের কঠোর সতর্কতার প্রতীক হিসেবে দেখা হচ্ছে।
মসজিদ আবৃত করার স্থানসমূহ:
আফজলগঞ্জ
পাথরঘাট্টি
সিদ্দি আম্বর বাজার
মোয়াজ্জাম জাহি মার্কেট এসব স্থানসহ মূল শোভাযাত্রার পথে থাকা সব গুরুত্বপূর্ণ মসজিদ ঢেকে দেওয়া হয়েছে। গত মাসে গণেশ প্রতিমা বিসর্জনের সময়ও প্রশাসন একই ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছিল, যা স্থানীয় স্তরে শান্তি বজায় রাখতে কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে।
নিরাপত্তা ব্যবস্থা: পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, এ বছর পুরাতন শহরের বিভিন্ন স্থানে প্রায় ২০০টি দুর্গা প্রতিমা স্থাপিত হয়েছে। বিসর্জন নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করতে প্রশাসন ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে। একজন জ্যেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, "শোভাযাত্রার পরিকল্পনা চূড়ান্ত করা হয়েছে এবং সব গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে পুলিশ পিকেট মোতায়েন করা হয়েছে। মসজিদ ঢেকে দেওয়া একটি সম্পূর্ণ প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপ।"
দুর্গাপ্রতিমাগুলো উপ্পুগুডা, লাল দরওয়াজা, গৌলিপুরা, ফালাকনুমাসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে শোভাযাত্রা করে বিসর্জনের জন্য নিয়ে যাওয়া হবে। ভিড়ের মধ্যে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে, বিশেষত বিদ্যুৎস্পৃষ্টের মতো দুর্ঘটনা এড়াতে, পরিদর্শকদের শোভাযাত্রার সব রুট পুনরায় ভালোভাবে পরীক্ষা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রাতে নিরাপত্তা জোরদার করতে সিটি আর্মড রিজার্ভ (CAR), র্যাপিড অ্যাকশন ফোর্স (RAF) এবং টাস্ক ফোর্সের মতো অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
চলতি সপ্তাহে জ্যেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তারা স্থানীয় এসএইচও (স্টেশন হাউজ অফিসার)-দের সঙ্গে একাধিক বৈঠক করেছেন এবং প্রতি বছর বিপুল সংখ্যক মানুষের সমাগম হওয়া এই বিসর্জন শোভাযাত্রার সময় সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার ওপর জোর দিয়েছেন।
বিষয় : ভারত

রোববার, ২৩ নভেম্বর ২০২৫
প্রকাশের তারিখ : ০৪ অক্টোবর ২০২৫
তেলেঙ্গানার রাজধানী হায়দ্রাবাদের পুরাতন শহর এলাকায় আসন্ন দুর্গাপূজা প্রতিমা বিসর্জন শোভাযাত্রাকে কেন্দ্র করে নজিরবিহীন নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে প্রশাসন। সম্ভাব্য যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে শোভাযাত্রার প্রধান পথগুলোর ধারে অবস্থিত বেশ কয়েকটি মসজিদ ঢেকে দেওয়া হয়েছে। এই পদক্ষেপকে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনের কঠোর সতর্কতার প্রতীক হিসেবে দেখা হচ্ছে।
মসজিদ আবৃত করার স্থানসমূহ:
আফজলগঞ্জ
পাথরঘাট্টি
সিদ্দি আম্বর বাজার
মোয়াজ্জাম জাহি মার্কেট এসব স্থানসহ মূল শোভাযাত্রার পথে থাকা সব গুরুত্বপূর্ণ মসজিদ ঢেকে দেওয়া হয়েছে। গত মাসে গণেশ প্রতিমা বিসর্জনের সময়ও প্রশাসন একই ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছিল, যা স্থানীয় স্তরে শান্তি বজায় রাখতে কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে।
নিরাপত্তা ব্যবস্থা: পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, এ বছর পুরাতন শহরের বিভিন্ন স্থানে প্রায় ২০০টি দুর্গা প্রতিমা স্থাপিত হয়েছে। বিসর্জন নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করতে প্রশাসন ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে। একজন জ্যেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, "শোভাযাত্রার পরিকল্পনা চূড়ান্ত করা হয়েছে এবং সব গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে পুলিশ পিকেট মোতায়েন করা হয়েছে। মসজিদ ঢেকে দেওয়া একটি সম্পূর্ণ প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপ।"
দুর্গাপ্রতিমাগুলো উপ্পুগুডা, লাল দরওয়াজা, গৌলিপুরা, ফালাকনুমাসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে শোভাযাত্রা করে বিসর্জনের জন্য নিয়ে যাওয়া হবে। ভিড়ের মধ্যে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে, বিশেষত বিদ্যুৎস্পৃষ্টের মতো দুর্ঘটনা এড়াতে, পরিদর্শকদের শোভাযাত্রার সব রুট পুনরায় ভালোভাবে পরীক্ষা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রাতে নিরাপত্তা জোরদার করতে সিটি আর্মড রিজার্ভ (CAR), র্যাপিড অ্যাকশন ফোর্স (RAF) এবং টাস্ক ফোর্সের মতো অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
চলতি সপ্তাহে জ্যেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তারা স্থানীয় এসএইচও (স্টেশন হাউজ অফিসার)-দের সঙ্গে একাধিক বৈঠক করেছেন এবং প্রতি বছর বিপুল সংখ্যক মানুষের সমাগম হওয়া এই বিসর্জন শোভাযাত্রার সময় সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার ওপর জোর দিয়েছেন।

আপনার মতামত লিখুন