
গাজা যুদ্ধ বন্ধে আজ সোমবার (৬ অক্টোবর) কায়রোতে আলোচনায় বসছে হামাস ও ইসরাইলের প্রতিনিধি দল। এ সময়ও ইসরাইল গাজায় হামলা চালাচ্ছে, একদিনে মারা গেছে আরো ২৪ জন ফিলিস্তিনি। চলমান সহিংসতার ফলে হাজার হাজার মানুষ ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়েছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আহ্বান সত্ত্বেও গাজায় হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরাইল। দখলদার বাহিনীর হামলায় সোমবার একদিনে ২৪ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়। ইসরাইল ঘোষণা করেছে, গাজায় এখনো কোনো যুদ্ধবিরতি নেই। তবে ইসরাইলি সেনাপ্রধান জানিয়েছেন, সামরিক অভিযানে কিছুটা পরিবর্তন আনা হয়েছে।
গাজা শহরের বিভিন্ন আবাসিক এলাকা লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে। বিশেষ করে তাল আল-হাওয়া এলাকা, শাতি শরণার্থী শিবির এবং নাসর এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
বার্তা সংস্থা আনাদোলু জানায়, রাফাহর উত্তর-পশ্চিমে শাকুশ এলাকায় মার্কিন-ইসরাইলি ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রের কাছে সাহায্যের জন্য অপেক্ষা করা ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলা চালিয়ে চারজনকে হত্যা করা হয়েছে। ২৭শে মে থেকে ইসরাইল গাজার হিউম্যানিটেরিয়ান ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে ত্রাণ বিতরণ পরিচালনা করছে। ফিলিস্তিনিরা এসব কেন্দ্রকে ‘মৃত্যুর ফাঁদ’ হিসেবে উল্লেখ করেছে।
অবরুদ্ধ গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, অনাহারে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরাইলের হামলায় কমপক্ষে ৬৭ হাজার ১৩৯ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ১ লাখ ৬৯ হাজার ৫৮৩ জন। এছাড়া হাজার হাজার মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গাজায় ইসরাইলের গণহত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলোসহ বিভিন্ন পর্যবেক্ষক এই সংঘাতকে মানবিক সংকট হিসেবে বিবেচনা করছেন এবং অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি ও ত্রাণ পৌঁছানোর আহ্বান জানাচ্ছে।
বিষয় : আন্তর্জাতিক মধ্যপ্রাচ্য ইসরাইল হামাস গাজা যুদ্ধ
বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫
প্রকাশের তারিখ : ০৬ অক্টোবর ২০২৫
গাজা যুদ্ধ বন্ধে আজ সোমবার (৬ অক্টোবর) কায়রোতে আলোচনায় বসছে হামাস ও ইসরাইলের প্রতিনিধি দল। এ সময়ও ইসরাইল গাজায় হামলা চালাচ্ছে, একদিনে মারা গেছে আরো ২৪ জন ফিলিস্তিনি। চলমান সহিংসতার ফলে হাজার হাজার মানুষ ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়েছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আহ্বান সত্ত্বেও গাজায় হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরাইল। দখলদার বাহিনীর হামলায় সোমবার একদিনে ২৪ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়। ইসরাইল ঘোষণা করেছে, গাজায় এখনো কোনো যুদ্ধবিরতি নেই। তবে ইসরাইলি সেনাপ্রধান জানিয়েছেন, সামরিক অভিযানে কিছুটা পরিবর্তন আনা হয়েছে।
গাজা শহরের বিভিন্ন আবাসিক এলাকা লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে। বিশেষ করে তাল আল-হাওয়া এলাকা, শাতি শরণার্থী শিবির এবং নাসর এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
বার্তা সংস্থা আনাদোলু জানায়, রাফাহর উত্তর-পশ্চিমে শাকুশ এলাকায় মার্কিন-ইসরাইলি ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রের কাছে সাহায্যের জন্য অপেক্ষা করা ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলা চালিয়ে চারজনকে হত্যা করা হয়েছে। ২৭শে মে থেকে ইসরাইল গাজার হিউম্যানিটেরিয়ান ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে ত্রাণ বিতরণ পরিচালনা করছে। ফিলিস্তিনিরা এসব কেন্দ্রকে ‘মৃত্যুর ফাঁদ’ হিসেবে উল্লেখ করেছে।
অবরুদ্ধ গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, অনাহারে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরাইলের হামলায় কমপক্ষে ৬৭ হাজার ১৩৯ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ১ লাখ ৬৯ হাজার ৫৮৩ জন। এছাড়া হাজার হাজার মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গাজায় ইসরাইলের গণহত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলোসহ বিভিন্ন পর্যবেক্ষক এই সংঘাতকে মানবিক সংকট হিসেবে বিবেচনা করছেন এবং অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি ও ত্রাণ পৌঁছানোর আহ্বান জানাচ্ছে।
আপনার মতামত লিখুন