
মাদারীপুর-৩ আসনে বিএনপির দুই মনোনয়নপ্রত্যাশীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে সহকারী পুলিশ সুপার, কালকিনি থানার ওসি ও আরও অন্তত ১৩ জন আহত হয়েছেন। সোমবার দুপুরে কালকিনি উপজেলা চত্বরে এ ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সোমবার (৬ অক্টোবর) দুপুরে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী মেজর রেজাউল করিম (অব.) শোডাউনসহ প্রায় দুই শতাধিক কর্মী নিয়ে কালকিনি উপজেলা চত্বরে প্রবেশ করেন। তিনি শহীদ মিনার মঞ্চে দাঁড়িয়ে বক্তব্য দিতে শুরু করলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাইফ উল আরেফিন তাকে বক্তব্য না দিতে অনুরোধ করেন এবং পরবর্তীতে তাকে নিজের কক্ষে নিয়ে যান।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রেজাউল করিমের সমর্থকদের সঙ্গে বিএনপির আরেক মনোনয়নপ্রত্যাশী, কেন্দ্রীয় সহ-গণশিক্ষা সম্পাদক আসিনুর রহমান খোকন তালুকদারের সমর্থকদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। পরে কালকিনি পৌর ছাত্রদলের প্রচার সম্পাদক এইচএম তুহিনের নেতৃত্বে দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়।
অল্প সময়ের মধ্যেই উভয়পক্ষ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে সংঘর্ষ আরও তীব্র আকার ধারণ করে। এসময় সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) চাতক চাকমা ও কালকিনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল রানাসহ অন্তত ১৫ জন আহত হন। আহতদের কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
সহকারী পুলিশ সুপার চাতক চাকমা সাংবাদিকদের বলেন,“পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে আমি নিজেও আহত হয়েছি। বর্তমানে অবস্থা নিয়ন্ত্রণে আছে, তবে আবারও সংঘর্ষের আশঙ্কা রয়েছে। পুলিশ সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে আছে।”
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইফ উল আরেফিন বলেন,“রেজাউল সাহেব লোকজন নিয়ে মিছিল করছিলেন। আমি গিয়ে তাকে অনুরোধ করে কক্ষে নিয়ে আসি। কিছুক্ষণ পর বাইরে থেকে কিছু লোক এসে হামলা চালায়। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে।”
এদিকে সংঘর্ষের বিষয়ে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও দুই মনোনয়নপ্রত্যাশী মেজর রেজাউল করিম (অব.) ও আসিনুর রহমান খোকন তালুকদারের সঙ্গে যোগাযোগ সম্ভব হয়নি।
বর্তমানে কালকিনি ও আশপাশের এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে।
বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০২৫
প্রকাশের তারিখ : ০৬ অক্টোবর ২০২৫
মাদারীপুর-৩ আসনে বিএনপির দুই মনোনয়নপ্রত্যাশীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে সহকারী পুলিশ সুপার, কালকিনি থানার ওসি ও আরও অন্তত ১৩ জন আহত হয়েছেন। সোমবার দুপুরে কালকিনি উপজেলা চত্বরে এ ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সোমবার (৬ অক্টোবর) দুপুরে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী মেজর রেজাউল করিম (অব.) শোডাউনসহ প্রায় দুই শতাধিক কর্মী নিয়ে কালকিনি উপজেলা চত্বরে প্রবেশ করেন। তিনি শহীদ মিনার মঞ্চে দাঁড়িয়ে বক্তব্য দিতে শুরু করলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাইফ উল আরেফিন তাকে বক্তব্য না দিতে অনুরোধ করেন এবং পরবর্তীতে তাকে নিজের কক্ষে নিয়ে যান।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রেজাউল করিমের সমর্থকদের সঙ্গে বিএনপির আরেক মনোনয়নপ্রত্যাশী, কেন্দ্রীয় সহ-গণশিক্ষা সম্পাদক আসিনুর রহমান খোকন তালুকদারের সমর্থকদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। পরে কালকিনি পৌর ছাত্রদলের প্রচার সম্পাদক এইচএম তুহিনের নেতৃত্বে দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়।
অল্প সময়ের মধ্যেই উভয়পক্ষ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে সংঘর্ষ আরও তীব্র আকার ধারণ করে। এসময় সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) চাতক চাকমা ও কালকিনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল রানাসহ অন্তত ১৫ জন আহত হন। আহতদের কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
সহকারী পুলিশ সুপার চাতক চাকমা সাংবাদিকদের বলেন,“পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে আমি নিজেও আহত হয়েছি। বর্তমানে অবস্থা নিয়ন্ত্রণে আছে, তবে আবারও সংঘর্ষের আশঙ্কা রয়েছে। পুলিশ সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে আছে।”
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইফ উল আরেফিন বলেন,“রেজাউল সাহেব লোকজন নিয়ে মিছিল করছিলেন। আমি গিয়ে তাকে অনুরোধ করে কক্ষে নিয়ে আসি। কিছুক্ষণ পর বাইরে থেকে কিছু লোক এসে হামলা চালায়। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে।”
এদিকে সংঘর্ষের বিষয়ে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও দুই মনোনয়নপ্রত্যাশী মেজর রেজাউল করিম (অব.) ও আসিনুর রহমান খোকন তালুকদারের সঙ্গে যোগাযোগ সম্ভব হয়নি।
বর্তমানে কালকিনি ও আশপাশের এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন