
ইসরাইলি কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে গ্রিসে পৌঁছেছেন সুইডিশ জলবায়ু ও মানবাধিকার কর্মী গ্রেটা থুনবার্গ। এথেন্স বিমানবন্দরে প্রথমবার প্রকাশ্যে তিনি বলেন, গাজায় ইসরাইলি হামলায় গণহত্যা চলছে, যা সবাই সরাসরি দেখতে পাচ্ছে। খবর বার্তা সংস্থা আনাদোলু।
গ্রেটা থুনবার্গ গাজাগামী নৌবহর গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা অভিযানে অন্যান্য যাত্রীদের সঙ্গে আটক হন। পরে সোমবার ইসরাইল তাকে এবং অন্যান্য অধিকারকর্মীদের একটি দলকে গ্রিসে পাঠায়।
এথেন্সের এলিফথেরিওস ভেনিজেলোস বিমানবন্দরে গ্রেটাসহ অধিকারকর্মীদের ফুল দিয়ে স্বাগত জানান সমর্থকরা। স্বাগত জানানো সমর্থকদের মধ্যে অনেকের হাতে ছিল ফিলিস্তিনের পতাকা।
এ সময় থুনবার্গ জানান, ইসরাইলি কারাগারে বন্দি অবস্থায় তাদের উপর নির্যাতন চালানো হয়েছে। তিনি বলেন, “আমি কারাগারে আমাদের সাথে যে দুর্ব্যবহার এবং নির্যাতন হয়েছিল তা বিস্তারিত বলতে পারতাম, কিন্তু প্রকৃত গল্পটা অন্যরকম—এটি শুধুমাত্র ভয়ানক পরিস্থিতির একটি অংশ।
থুনবার্গ গাজায় চলমান হত্যাযজ্ঞকে “সরাসরি সম্প্রচারিত গণহত্যা” হিসেবে আখ্যায়িত করেন। তিনি বলেন, “কেউ বলতে পারবে না যে আমরা জানতাম না। আমাদের চোখের সামনে একটি জনগোষ্ঠীকে নিশ্চিহ্ন করার চেষ্টা হচ্ছে।”
তিনি আরও বলেন, “আমি কখনই বুঝতে পারি না মানুষ কীভাবে এত খারাপ হতে পারে। দশকের পর দশক ধরে নিপীড়ন ও বর্ণবাদের ধারাবাহিকতায় লক্ষ লক্ষ মানুষকে অবৈধভাবে অবরোধে রাখা হয়েছে, তাদের অনাহারে আটকানো হয়েছে।”
থুনবার্গের এই মন্তব্য আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ও মিডিয়া মহলে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, তার বক্তব্য গাজার বাস্তব পরিস্থিতি প্রকাশের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ দলিল হিসেবে বিবেচিত হবে।
বিষয় : মানবাধিকার আন্তর্জাতিক মধ্যপ্রাচ্য গাজা
বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫
প্রকাশের তারিখ : ০৭ অক্টোবর ২০২৫
ইসরাইলি কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে গ্রিসে পৌঁছেছেন সুইডিশ জলবায়ু ও মানবাধিকার কর্মী গ্রেটা থুনবার্গ। এথেন্স বিমানবন্দরে প্রথমবার প্রকাশ্যে তিনি বলেন, গাজায় ইসরাইলি হামলায় গণহত্যা চলছে, যা সবাই সরাসরি দেখতে পাচ্ছে। খবর বার্তা সংস্থা আনাদোলু।
গ্রেটা থুনবার্গ গাজাগামী নৌবহর গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা অভিযানে অন্যান্য যাত্রীদের সঙ্গে আটক হন। পরে সোমবার ইসরাইল তাকে এবং অন্যান্য অধিকারকর্মীদের একটি দলকে গ্রিসে পাঠায়।
এথেন্সের এলিফথেরিওস ভেনিজেলোস বিমানবন্দরে গ্রেটাসহ অধিকারকর্মীদের ফুল দিয়ে স্বাগত জানান সমর্থকরা। স্বাগত জানানো সমর্থকদের মধ্যে অনেকের হাতে ছিল ফিলিস্তিনের পতাকা।
এ সময় থুনবার্গ জানান, ইসরাইলি কারাগারে বন্দি অবস্থায় তাদের উপর নির্যাতন চালানো হয়েছে। তিনি বলেন, “আমি কারাগারে আমাদের সাথে যে দুর্ব্যবহার এবং নির্যাতন হয়েছিল তা বিস্তারিত বলতে পারতাম, কিন্তু প্রকৃত গল্পটা অন্যরকম—এটি শুধুমাত্র ভয়ানক পরিস্থিতির একটি অংশ।
থুনবার্গ গাজায় চলমান হত্যাযজ্ঞকে “সরাসরি সম্প্রচারিত গণহত্যা” হিসেবে আখ্যায়িত করেন। তিনি বলেন, “কেউ বলতে পারবে না যে আমরা জানতাম না। আমাদের চোখের সামনে একটি জনগোষ্ঠীকে নিশ্চিহ্ন করার চেষ্টা হচ্ছে।”
তিনি আরও বলেন, “আমি কখনই বুঝতে পারি না মানুষ কীভাবে এত খারাপ হতে পারে। দশকের পর দশক ধরে নিপীড়ন ও বর্ণবাদের ধারাবাহিকতায় লক্ষ লক্ষ মানুষকে অবৈধভাবে অবরোধে রাখা হয়েছে, তাদের অনাহারে আটকানো হয়েছে।”
থুনবার্গের এই মন্তব্য আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ও মিডিয়া মহলে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, তার বক্তব্য গাজার বাস্তব পরিস্থিতি প্রকাশের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ দলিল হিসেবে বিবেচিত হবে।
আপনার মতামত লিখুন