
জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস গাজায় যুদ্ধবিরতি ও বন্দি-বিনিময় সংক্রান্ত চুক্তিকে “গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ” হিসেবে অভিহিত করেছেন। তিনি চুক্তি বাস্তবায়নে জাতিসংঘের সম্পৃক্ততা ও মানবিক সহায়তা, পুনরুদ্ধার ও পুনর্গঠন উদ্যোগ ত্বরান্বিত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন এবং সংশ্লিষ্ট সবাইকে চুক্তির শর্ত পূর্ণভাবে মানার আহ্বান জানান।
জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস গাজায় ইসরাইল–হামাস যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তি চুক্তির ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুতেরেস তার বার্তায় উল্লেখ করেছেন, এই চুক্তি দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধানের পথে একটি বিশ্বাসযোগ্য রাজনৈতিক পথ তৈরির জন্য গুরুত্বপূর্ণ এক সুযোগ তৈরি করেছে—যা দীর্ঘমেয়াদী শান্তির দরজা খুলতে পারে। খবরটি জানায় আল জাজিরা।
গুতেরেস বিশেষ করে মধ্যস্থতাকারী দেশগুলো—যুক্তরাষ্ট্র, কাতার, মিশর ও তুরস্ককে চুক্তি আনার কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখায় ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, জাতিসংঘ চুক্তি বাস্তবায়নে সহায়তা এবং গাজার মানুষের জন্য প্রয়োজনীয় সহায়তা পৌঁছে দিতে, পাশাপাশি পুনরুদ্ধার ও পুনর্গঠন কার্যক্রম জোরদার করতে প্রস্তুত রয়েছে।
মহাসচিবের পোস্টে কয়েকটি প্রধান আহ্বান ও দিকনির্দেশ ভাঁজ করা হয়—
• সকল বন্দিকে মর্যাদাপূর্ণভাবে মুক্তি দিতে হবে।
• একটি স্থায়ী ও অবিচ্ছিন্ন যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করতে হবে।
• গাজায় মানবিক সরঞ্জাম, খাদ্য ও প্রয়োজনীয় বাণিজ্যিক উপকরণ অবিলম্বে প্রবেশ নিশ্চিত করতে হবে।
• চুক্তির পক্ষসমূহ ও সংশ্লিষ্ট সকলকে চুক্তির শর্তাবলী সম্পূর্ণরূপে মেনে চলার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।
গুতেরেস আরও সতর্ক করেছেন যে, কেবল এক কথায় চুক্তি ঘোষণা করেই কাজ শেষ হবে না—চুক্তির কার্যকর বাস্তবায়ন, তাত্ক্ষণিক মানবিক প্রবেশপথ খুলে দেওয়া ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করা প্রয়োজন, যাতে গাজার সাধারণ জনগণ দ্রুত প্রতিকূল পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পান এবং পুনর্বাসন সম্ভব হয়। তিনি জাতিসংঘের সক্ষমতা ও অংশীদারদের সঙ্গে সমন্বয়ে এ কার্যক্রম পরিচালনা করবে বলে জানিয়েছেন।
এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা করেন যে, তাঁর দেওয়া ২০ দফা পরিকল্পনার প্রথম পর্যায় বাস্তবায়নে ইসরাইল ও হামাস সম্মত হয়েছে—যা বদ্ধ সঙ্কটের এক গুরুত্বপূর্ণ মোড় হিসেবে দেখা হচ্ছে। গুতেরেস এই প্রক্রিয়ায় জাতিসংঘ বিনিয়োগ করে চুক্তির নির্ভুল বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে আগ্রহী বলে জানান।
বিশ্লেষকরা বলছেন, চুক্তি বাস্তবায়নের প্রকৃত সাফল্য নির্ভর করবে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষণ, নিরাপত্তা ও তহবিলের স্থায়ী প্রবাহ, এবং স্থানীয় তথা আঞ্চলিক নেতাদের রাজনীতি ও রাজনৈতিক সদিচ্ছার ওপর। গুতেরেসের আহ্বান উৎসাহ যোগাতে পারে—তবে মাঠে দ্রুত ও বৈদ্যুতিকভাবে সহায়তা পৌঁছানোই এখন অগ্রাধিকারের বিষয়।
বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫
প্রকাশের তারিখ : ০৯ অক্টোবর ২০২৫
জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস গাজায় যুদ্ধবিরতি ও বন্দি-বিনিময় সংক্রান্ত চুক্তিকে “গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ” হিসেবে অভিহিত করেছেন। তিনি চুক্তি বাস্তবায়নে জাতিসংঘের সম্পৃক্ততা ও মানবিক সহায়তা, পুনরুদ্ধার ও পুনর্গঠন উদ্যোগ ত্বরান্বিত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন এবং সংশ্লিষ্ট সবাইকে চুক্তির শর্ত পূর্ণভাবে মানার আহ্বান জানান।
জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস গাজায় ইসরাইল–হামাস যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তি চুক্তির ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুতেরেস তার বার্তায় উল্লেখ করেছেন, এই চুক্তি দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধানের পথে একটি বিশ্বাসযোগ্য রাজনৈতিক পথ তৈরির জন্য গুরুত্বপূর্ণ এক সুযোগ তৈরি করেছে—যা দীর্ঘমেয়াদী শান্তির দরজা খুলতে পারে। খবরটি জানায় আল জাজিরা।
গুতেরেস বিশেষ করে মধ্যস্থতাকারী দেশগুলো—যুক্তরাষ্ট্র, কাতার, মিশর ও তুরস্ককে চুক্তি আনার কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখায় ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, জাতিসংঘ চুক্তি বাস্তবায়নে সহায়তা এবং গাজার মানুষের জন্য প্রয়োজনীয় সহায়তা পৌঁছে দিতে, পাশাপাশি পুনরুদ্ধার ও পুনর্গঠন কার্যক্রম জোরদার করতে প্রস্তুত রয়েছে।
মহাসচিবের পোস্টে কয়েকটি প্রধান আহ্বান ও দিকনির্দেশ ভাঁজ করা হয়—
• সকল বন্দিকে মর্যাদাপূর্ণভাবে মুক্তি দিতে হবে।
• একটি স্থায়ী ও অবিচ্ছিন্ন যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করতে হবে।
• গাজায় মানবিক সরঞ্জাম, খাদ্য ও প্রয়োজনীয় বাণিজ্যিক উপকরণ অবিলম্বে প্রবেশ নিশ্চিত করতে হবে।
• চুক্তির পক্ষসমূহ ও সংশ্লিষ্ট সকলকে চুক্তির শর্তাবলী সম্পূর্ণরূপে মেনে চলার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।
গুতেরেস আরও সতর্ক করেছেন যে, কেবল এক কথায় চুক্তি ঘোষণা করেই কাজ শেষ হবে না—চুক্তির কার্যকর বাস্তবায়ন, তাত্ক্ষণিক মানবিক প্রবেশপথ খুলে দেওয়া ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করা প্রয়োজন, যাতে গাজার সাধারণ জনগণ দ্রুত প্রতিকূল পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পান এবং পুনর্বাসন সম্ভব হয়। তিনি জাতিসংঘের সক্ষমতা ও অংশীদারদের সঙ্গে সমন্বয়ে এ কার্যক্রম পরিচালনা করবে বলে জানিয়েছেন।
এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা করেন যে, তাঁর দেওয়া ২০ দফা পরিকল্পনার প্রথম পর্যায় বাস্তবায়নে ইসরাইল ও হামাস সম্মত হয়েছে—যা বদ্ধ সঙ্কটের এক গুরুত্বপূর্ণ মোড় হিসেবে দেখা হচ্ছে। গুতেরেস এই প্রক্রিয়ায় জাতিসংঘ বিনিয়োগ করে চুক্তির নির্ভুল বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে আগ্রহী বলে জানান।
বিশ্লেষকরা বলছেন, চুক্তি বাস্তবায়নের প্রকৃত সাফল্য নির্ভর করবে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষণ, নিরাপত্তা ও তহবিলের স্থায়ী প্রবাহ, এবং স্থানীয় তথা আঞ্চলিক নেতাদের রাজনীতি ও রাজনৈতিক সদিচ্ছার ওপর। গুতেরেসের আহ্বান উৎসাহ যোগাতে পারে—তবে মাঠে দ্রুত ও বৈদ্যুতিকভাবে সহায়তা পৌঁছানোই এখন অগ্রাধিকারের বিষয়।
আপনার মতামত লিখুন