ঢাকা    বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০২৫
ঢাকা    বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০২৫
কওমী টাইমস

শাহজালাল বিমানবন্দরে অগ্নিকাণ্ডের পর সম্ভাব্য হামলার আশঙ্কায় পুলিশ সদর দপ্তরের জরুরি নির্দেশনা

সারা দেশে গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি পুলিশ সদর দপ্তরের


কওমী টাইমস ডেস্ক
কওমী টাইমস ডেস্ক
প্রকাশ : ১৯ অক্টোবর ২০২৫ | প্রিন্ট সংস্করণ

সারা দেশে গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি পুলিশ সদর দপ্তরের

সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায়  ধারাবাহিক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার প্রেক্ষিতে সরকার ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর মধ্যে উদ্বেগ বেড়েছে। বিশেষত হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পর, সম্ভাব্য নাশকতা বা সন্ত্রাসী হামলার আশঙ্কা উড়িয়ে দিতে পারছে না পুলিশ সদর দপ্তর। এমন পরিস্থিতিতে দেশের সব পুলিশ ইউনিটকে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং একই সঙ্গে সারা দেশে কেপিআইগুলোতে নজরদারি ও টহল বাড়ানো হয়েছে।

শাহজালাল বিমানবন্দরে অগ্নিকাণ্ডের রেশ কাটতে না কাটতেই পুলিশ সদর দপ্তর থেকে একটি জরুরি নির্দেশনা জারি করা হয়। দেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতির গুরুত্ব বিবেচনা করে এই নির্দেশনায় সব মেট্রোপলিটন, রেঞ্জ ও জেলা পুলিশ ইউনিটকে তাদের আওতাধীন সকল কেপিআই স্থাপনায় অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করতে বলা হয়েছে। এই নির্দেশনার মূল লক্ষ্য হলো যেকোনো ধরনের সম্ভাব্য হামলা বা নাশকতা কার্যকরভাবে প্রতিরোধ করা।

পুলিশ সদর দপ্তর সূত্রের বরাতে জানা যায়, বিমানবন্দরের মতো গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় আগুন লাগার ঘটনাকে শুধু দুর্ঘটনা হিসেবে দেখা হচ্ছে না, বরং এটি একটি বৃহত্তর হামলার পূর্বাভাস হতে পারে এমন আশঙ্কা মাথায় রেখে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। মাঠ পর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তারা মৌখিকভাবে এই নির্দেশনা পেয়েছেন এবং তাৎক্ষণিকভাবে তা কার্যকর করতে শুরু করেছেন।

চট্টগ্রাম রেঞ্জ পুলিশের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন যে, নির্দেশনা পাওয়ার পর থেকেই তাদের এলাকায় টহল সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। একই সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে নতুন করে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে এবং সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। জেলা পর্যায়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদেরও তাদের নিজ নিজ এলাকার গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোতে নিয়মিত তদারকি ও পরিদর্শন নিশ্চিত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম জানিয়েছেন, গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোর নিরাপত্তা জোরদারে সারা বছরই নির্দেশনা থাকে। তবে বর্তমান প্রেক্ষাপটে সেই সতর্কতাকে সর্বোচ্চ পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তিনি আরও উল্লেখ করেন, কেপিআই এলাকার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশসহ অন্যান্য গোয়েন্দা ও নিরাপত্তা সংস্থাগুলো সমন্বিতভাবে কাজ করছে।

উল্লেখ্য, 'কি পয়েন্ট ইনস্টলেশন' বা কেপিআই হলো দেশের অত্যাবশ্যকীয় অবকাঠামো ও স্থাপনা, যা জাতীয় নিরাপত্তা ও অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। বর্তমানে সারা দেশে বঙ্গভবন, গণভবন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, জাতীয় সংসদ, বিমানবন্দর, সচিবালয়, বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি), কারাগার এবং বিদ্যুৎকেন্দ্রসহ মোট ৫৮৭টি কেপিআই রয়েছে। এই সকল স্থাপনার নিরাপত্তা কার্যক্রম তদারকির জন্য সরকারের একটি সুনির্দিষ্ট নীতিমালা ও শক্তিশালী কমিটি বিদ্যমান।

বিষয় : পুলিশ

আপনার মতামত লিখুন

কওমী টাইমস

বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০২৫


সারা দেশে গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি পুলিশ সদর দপ্তরের

প্রকাশের তারিখ : ১৯ অক্টোবর ২০২৫

featured Image

সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায়  ধারাবাহিক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার প্রেক্ষিতে সরকার ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর মধ্যে উদ্বেগ বেড়েছে। বিশেষত হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পর, সম্ভাব্য নাশকতা বা সন্ত্রাসী হামলার আশঙ্কা উড়িয়ে দিতে পারছে না পুলিশ সদর দপ্তর। এমন পরিস্থিতিতে দেশের সব পুলিশ ইউনিটকে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং একই সঙ্গে সারা দেশে কেপিআইগুলোতে নজরদারি ও টহল বাড়ানো হয়েছে।

শাহজালাল বিমানবন্দরে অগ্নিকাণ্ডের রেশ কাটতে না কাটতেই পুলিশ সদর দপ্তর থেকে একটি জরুরি নির্দেশনা জারি করা হয়। দেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতির গুরুত্ব বিবেচনা করে এই নির্দেশনায় সব মেট্রোপলিটন, রেঞ্জ ও জেলা পুলিশ ইউনিটকে তাদের আওতাধীন সকল কেপিআই স্থাপনায় অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করতে বলা হয়েছে। এই নির্দেশনার মূল লক্ষ্য হলো যেকোনো ধরনের সম্ভাব্য হামলা বা নাশকতা কার্যকরভাবে প্রতিরোধ করা।

পুলিশ সদর দপ্তর সূত্রের বরাতে জানা যায়, বিমানবন্দরের মতো গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় আগুন লাগার ঘটনাকে শুধু দুর্ঘটনা হিসেবে দেখা হচ্ছে না, বরং এটি একটি বৃহত্তর হামলার পূর্বাভাস হতে পারে এমন আশঙ্কা মাথায় রেখে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। মাঠ পর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তারা মৌখিকভাবে এই নির্দেশনা পেয়েছেন এবং তাৎক্ষণিকভাবে তা কার্যকর করতে শুরু করেছেন।

চট্টগ্রাম রেঞ্জ পুলিশের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন যে, নির্দেশনা পাওয়ার পর থেকেই তাদের এলাকায় টহল সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। একই সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে নতুন করে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে এবং সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। জেলা পর্যায়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদেরও তাদের নিজ নিজ এলাকার গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোতে নিয়মিত তদারকি ও পরিদর্শন নিশ্চিত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম জানিয়েছেন, গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোর নিরাপত্তা জোরদারে সারা বছরই নির্দেশনা থাকে। তবে বর্তমান প্রেক্ষাপটে সেই সতর্কতাকে সর্বোচ্চ পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তিনি আরও উল্লেখ করেন, কেপিআই এলাকার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশসহ অন্যান্য গোয়েন্দা ও নিরাপত্তা সংস্থাগুলো সমন্বিতভাবে কাজ করছে।

উল্লেখ্য, 'কি পয়েন্ট ইনস্টলেশন' বা কেপিআই হলো দেশের অত্যাবশ্যকীয় অবকাঠামো ও স্থাপনা, যা জাতীয় নিরাপত্তা ও অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। বর্তমানে সারা দেশে বঙ্গভবন, গণভবন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, জাতীয় সংসদ, বিমানবন্দর, সচিবালয়, বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি), কারাগার এবং বিদ্যুৎকেন্দ্রসহ মোট ৫৮৭টি কেপিআই রয়েছে। এই সকল স্থাপনার নিরাপত্তা কার্যক্রম তদারকির জন্য সরকারের একটি সুনির্দিষ্ট নীতিমালা ও শক্তিশালী কমিটি বিদ্যমান।


কওমী টাইমস

সম্পাদক ও প্রকাশক : মুস্তাইন বিল্লাহ
কপিরাইট © ২০২৫ কওমী টাইমস । সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত