ঢাকা   বুধবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৫
ঢাকা   বুধবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৫
কওমী টাইমস

অস্ত্রবিরতির পর গাজায় আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষা বাহিনী মোতায়েন নিয়ে ইসরায়েল ও আরব দেশগুলোর মধ্যে গভীর মতপার্থক্য

ইসরায়েল গাজা পুনর্গঠনে জাতিসংঘের ভূমিকা খর্ব করতে চায়


কওমী টাইমস ডেস্ক
কওমী টাইমস ডেস্ক
প্রকাশ : ২৯ অক্টোবর ২০২৫ | প্রিন্ট সংস্করণ

ইসরায়েল গাজা পুনর্গঠনে জাতিসংঘের ভূমিকা খর্ব করতে চায়

গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতির পর নিরাপত্তা ও পুনর্গঠনের জন্য একটি আন্তর্জাতিক বাহিনী মোতায়েনের পরিকল্পনা নিয়ে নতুন বিরোধ সৃষ্টি হয়েছে। ইসরায়েল জাতিসংঘের (UN) ভূমিকা সীমিত রাখতে চাইছে, যেখানে আরব দেশগুলো এই বাহিনীকে পূর্ণাঙ্গ জাতিসংঘ ম্যান্ডেটের অধীনে গঠনের দাবি তুলেছে।

ইসরায়েলি চ্যানেল i24-এর এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, গাজায় আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষা বাহিনী মোতায়েনের প্রক্রিয়ায় ইসরায়েল ও বেশ কয়েকটি আরব দেশের মধ্যে গুরুতর মতপার্থক্য দেখা দিয়েছে। এই বাহিনীটি ১০ অক্টোবরের অস্ত্রবিরতি চুক্তির অংশ হিসেবে গঠনের কথা রয়েছে, যা দুই বছরের বিধ্বংসী সংঘাতের পর কার্যকর হয়।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, আরব দেশগুলো জোর দিচ্ছে যে বাহিনীটি জাতিসংঘ সনদের ৬ষ্ঠ ও ৭ম অধ্যায়ের আওতায় প্রতিষ্ঠিত হোক, যাতে এটি আনুষ্ঠানিকভাবে একটি জাতিসংঘ বাহিনী হিসেবে স্বীকৃত হয়। তবে ইসরায়েল চায়, নিরাপত্তা পরিষদের ভূমিকা কেবল মোতায়েনের অনুমোদন ও তদারকির মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকুক—অর্থাৎ বাহিনীটি যেন জাতিসংঘের সরাসরি নিয়ন্ত্রণে না থাকে।

সূত্রগুলো জানায়, যুক্তরাষ্ট্র প্রক্রিয়াটিকে এগিয়ে নিতে ইসরায়েলকে কিছুটা নমনীয় হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে, তবে ওয়াশিংটন ইসরায়েলের “নিরাপত্তা উদ্বেগ” বুঝতে চেষ্টা করছে। একই সঙ্গে, ইসরায়েল উদ্বিগ্ন যে ভবিষ্যতে যুক্তরাষ্ট্র তাদের ওপর আরও বেশি চাপ সৃষ্টি করতে পারে।

প্রস্তাবিত বাহিনীতে আজারবাইজান, ইন্দোনেশিয়া, পাকিস্তানসহ কিছু মুসলিম দেশের সেনা অন্তর্ভুক্ত হতে পারে। তবে বাহিনীর চূড়ান্ত কাঠামো এখনো নির্ধারিত হয়নি। অন্যদিকে, ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের অংশগ্রহণ নিয়েও দ্বন্দ্ব রয়েছে—যেখানে আরব দেশগুলো তাদের অন্তর্ভুক্তির পক্ষে, কিন্তু ইসরায়েল বিষয়টিতে অনাগ্রহী।

দুই বছরের ইসরায়েলি হামলায় গাজায় ৬৮ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১ লাখ ৭০ হাজারেরও বেশি আহত হয়েছে। প্রায় ৯০ শতাংশ বেসামরিক অবকাঠামো ধ্বংস হয়েছে, যার আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ ৭০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি বলে ধারণা করা হচ্ছে।

বিষয় : জাতিসংঘ গাজা ফিলিস্তিন

আপনার মতামত লিখুন

কওমী টাইমস

বুধবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৫


ইসরায়েল গাজা পুনর্গঠনে জাতিসংঘের ভূমিকা খর্ব করতে চায়

প্রকাশের তারিখ : ২৯ অক্টোবর ২০২৫

featured Image

গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতির পর নিরাপত্তা ও পুনর্গঠনের জন্য একটি আন্তর্জাতিক বাহিনী মোতায়েনের পরিকল্পনা নিয়ে নতুন বিরোধ সৃষ্টি হয়েছে। ইসরায়েল জাতিসংঘের (UN) ভূমিকা সীমিত রাখতে চাইছে, যেখানে আরব দেশগুলো এই বাহিনীকে পূর্ণাঙ্গ জাতিসংঘ ম্যান্ডেটের অধীনে গঠনের দাবি তুলেছে।

ইসরায়েলি চ্যানেল i24-এর এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, গাজায় আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষা বাহিনী মোতায়েনের প্রক্রিয়ায় ইসরায়েল ও বেশ কয়েকটি আরব দেশের মধ্যে গুরুতর মতপার্থক্য দেখা দিয়েছে। এই বাহিনীটি ১০ অক্টোবরের অস্ত্রবিরতি চুক্তির অংশ হিসেবে গঠনের কথা রয়েছে, যা দুই বছরের বিধ্বংসী সংঘাতের পর কার্যকর হয়।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, আরব দেশগুলো জোর দিচ্ছে যে বাহিনীটি জাতিসংঘ সনদের ৬ষ্ঠ ও ৭ম অধ্যায়ের আওতায় প্রতিষ্ঠিত হোক, যাতে এটি আনুষ্ঠানিকভাবে একটি জাতিসংঘ বাহিনী হিসেবে স্বীকৃত হয়। তবে ইসরায়েল চায়, নিরাপত্তা পরিষদের ভূমিকা কেবল মোতায়েনের অনুমোদন ও তদারকির মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকুক—অর্থাৎ বাহিনীটি যেন জাতিসংঘের সরাসরি নিয়ন্ত্রণে না থাকে।

সূত্রগুলো জানায়, যুক্তরাষ্ট্র প্রক্রিয়াটিকে এগিয়ে নিতে ইসরায়েলকে কিছুটা নমনীয় হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে, তবে ওয়াশিংটন ইসরায়েলের “নিরাপত্তা উদ্বেগ” বুঝতে চেষ্টা করছে। একই সঙ্গে, ইসরায়েল উদ্বিগ্ন যে ভবিষ্যতে যুক্তরাষ্ট্র তাদের ওপর আরও বেশি চাপ সৃষ্টি করতে পারে।

প্রস্তাবিত বাহিনীতে আজারবাইজান, ইন্দোনেশিয়া, পাকিস্তানসহ কিছু মুসলিম দেশের সেনা অন্তর্ভুক্ত হতে পারে। তবে বাহিনীর চূড়ান্ত কাঠামো এখনো নির্ধারিত হয়নি। অন্যদিকে, ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের অংশগ্রহণ নিয়েও দ্বন্দ্ব রয়েছে—যেখানে আরব দেশগুলো তাদের অন্তর্ভুক্তির পক্ষে, কিন্তু ইসরায়েল বিষয়টিতে অনাগ্রহী।

দুই বছরের ইসরায়েলি হামলায় গাজায় ৬৮ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১ লাখ ৭০ হাজারেরও বেশি আহত হয়েছে। প্রায় ৯০ শতাংশ বেসামরিক অবকাঠামো ধ্বংস হয়েছে, যার আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ ৭০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি বলে ধারণা করা হচ্ছে।


কওমী টাইমস

সম্পাদক ও প্রকাশক : মুস্তাইন বিল্লাহ
কপিরাইট © ২০২৫ কওমী টাইমস । সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত