ভারত আফগানিস্তানে ১৬ টন ওষুধ ও চিকিৎসা সরঞ্জাম পাঠিয়েছে। তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, এটি নিছক মানবিক সহায়তা নয়—বরং তালেবান সরকারকে ঘনিষ্ঠ করার কৌশল, যার লক্ষ্য পাকিস্তানের ওপর কৌশলগত চাপ বজায় রাখা।
আফগানিস্তানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় রবিবার নিশ্চিত করেছে, ভারত দেশটিতে ১৬ টনের বেশি ওষুধ ও ডায়াগনস্টিক কিট পাঠিয়েছে, যা ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গু ও লিশম্যানিয়াসিসের মতো সংক্রামক রোগ মোকাবিলায় ব্যবহৃত হবে।
তালেবান সরকারের জনস্বাস্থ্য মুখপাত্র শরাফত জামান আমারখিল এই সহায়তাকে “মানবিক উদ্যোগ” হিসেবে স্বাগত জানালেও দক্ষিণ এশিয়া বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভারতের এই পদক্ষেপ রাজনৈতিক বার্তাবাহী।
ভারত দীর্ঘদিন ধরে আফগানিস্তানের উন্নয়ন ও স্বাস্থ্য খাতে সহায়তা দিয়ে আসছে। তবে ২০২১ সালে তালেবান ক্ষমতায় ফেরার পর কাবুলে পশ্চিমা প্রভাব কমে গেলে নয়াদিল্লি সেই শূন্যতা পূরণের চেষ্টা করছে বলে পর্যবেক্ষকদের অভিমত।
তাদের মতে, আফগানিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক মজবুত করে ভারত একদিকে পাকিস্তানের প্রভাব বলয় সংকুচিত করতে চাইছে, অন্যদিকে মধ্য এশিয়ার প্রবেশদ্বার হিসেবে আফগানিস্তানকে ব্যবহার করতে চায়।
সম্প্রতি আফগান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুতাক্কির নয়াদিল্লি সফরের সময় ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্করের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা, বাণিজ্য ও জনস্বাস্থ্য নিয়ে আলোচনা হয়। ওই সফরেই ভারত ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত আফগানদের জন্য অ্যাম্বুলেন্স ও খাদ্য সহায়তার ঘোষণা দেয়।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এসব পদক্ষেপে নয়াদিল্লি মানবিক সহযোগিতার মুখোশে আফগানিস্তানে প্রভাব বিস্তারের পথ তৈরি করছে। “ভারতের সহায়তা এখন আর কেবল সাহায্য নয়, এটি দক্ষিণ এশীয় শক্তির ভারসাম্যে প্রভাব বিস্তারের একটি কৌশল,” বলেন এক কাবুলভিত্তিক গবেষক।
বিষয় : আফগানিস্তান ভারত

সোমবার, ০৩ নভেম্বর ২০২৫
প্রকাশের তারিখ : ০২ নভেম্বর ২০২৫
ভারত আফগানিস্তানে ১৬ টন ওষুধ ও চিকিৎসা সরঞ্জাম পাঠিয়েছে। তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, এটি নিছক মানবিক সহায়তা নয়—বরং তালেবান সরকারকে ঘনিষ্ঠ করার কৌশল, যার লক্ষ্য পাকিস্তানের ওপর কৌশলগত চাপ বজায় রাখা।
আফগানিস্তানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় রবিবার নিশ্চিত করেছে, ভারত দেশটিতে ১৬ টনের বেশি ওষুধ ও ডায়াগনস্টিক কিট পাঠিয়েছে, যা ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গু ও লিশম্যানিয়াসিসের মতো সংক্রামক রোগ মোকাবিলায় ব্যবহৃত হবে।
তালেবান সরকারের জনস্বাস্থ্য মুখপাত্র শরাফত জামান আমারখিল এই সহায়তাকে “মানবিক উদ্যোগ” হিসেবে স্বাগত জানালেও দক্ষিণ এশিয়া বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভারতের এই পদক্ষেপ রাজনৈতিক বার্তাবাহী।
ভারত দীর্ঘদিন ধরে আফগানিস্তানের উন্নয়ন ও স্বাস্থ্য খাতে সহায়তা দিয়ে আসছে। তবে ২০২১ সালে তালেবান ক্ষমতায় ফেরার পর কাবুলে পশ্চিমা প্রভাব কমে গেলে নয়াদিল্লি সেই শূন্যতা পূরণের চেষ্টা করছে বলে পর্যবেক্ষকদের অভিমত।
তাদের মতে, আফগানিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক মজবুত করে ভারত একদিকে পাকিস্তানের প্রভাব বলয় সংকুচিত করতে চাইছে, অন্যদিকে মধ্য এশিয়ার প্রবেশদ্বার হিসেবে আফগানিস্তানকে ব্যবহার করতে চায়।
সম্প্রতি আফগান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুতাক্কির নয়াদিল্লি সফরের সময় ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্করের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা, বাণিজ্য ও জনস্বাস্থ্য নিয়ে আলোচনা হয়। ওই সফরেই ভারত ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত আফগানদের জন্য অ্যাম্বুলেন্স ও খাদ্য সহায়তার ঘোষণা দেয়।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এসব পদক্ষেপে নয়াদিল্লি মানবিক সহযোগিতার মুখোশে আফগানিস্তানে প্রভাব বিস্তারের পথ তৈরি করছে। “ভারতের সহায়তা এখন আর কেবল সাহায্য নয়, এটি দক্ষিণ এশীয় শক্তির ভারসাম্যে প্রভাব বিস্তারের একটি কৌশল,” বলেন এক কাবুলভিত্তিক গবেষক।

আপনার মতামত লিখুন