{ "@context": "https://schema.org", "@graph": [ { "@type": "Organization", "@id": "https://qawmitimes.com/#organization", "name": "QawmiTimes", "url": "https://qawmitimes.com/", "logo": { "@type": "ImageObject", "url": "https://qawmitimes.com/path/to/logo.png", "width": 600, "height": 60 }, "sameAs": [ "https://www.facebook.com/qawmitimes", "https://twitter.com/qawmitimes" ] }, { "@type": "WebSite", "@id": "https://qawmitimes.com/#website", "url": "https://qawmitimes.com/", "name": "QawmiTimes", "publisher": { "@id": "https://qawmitimes.com/#organization" }, "potentialAction": { "@type": "SearchAction", "target": "https://qawmitimes.com/?s={search_term_string}", "query-input": "required name=search_term_string" } }, { "@type": "WebPage", "@id": "{{PAGE_URL}}#webpage", "url": "{{PAGE_URL}}", "inLanguage": "bn‑BD", "name": "{{PAGE_TITLE}}", "isPartOf": { "@id": "https://qawmitimes.com/#website" }, "about": { "@id": "https://qawmitimes.com/#organization" }, "datePublished": "{{DATE_PUBLISHED}}", "dateModified": "{{DATE_MODIFIED}}", "breadcrumb": { "@type": "BreadcrumbList", "itemListElement": [ { "@type": "ListItem", "position": 1, "name": "Home", "item": "https://qawmitimes.com/" }, { "@type": "ListItem", "position": 2, "name": "{{CATEGORY_NAME}}", "item": "{{CATEGORY_URL}}" }, { "@type": "ListItem", "position": 3, "name": "{{PAGE_TITLE}}", "item": "{{PAGE_URL}}" } ] } } ] }
প্রায় নয় মাস আগে শেখ মুজিবুর রহমানের ধানমন্ডির বাড়ি ভাঙচুরের পর শুরু হয় এক নতুন কূটনৈতিক অস্থিরতা। শেখ হাসিনার অনলাইন বক্তব্য ঘিরে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে তৈরি হয়েছে নজিরবিহীন উত্তেজনা। অন্তর্বর্তী সরকারের অভিযোগ, ভারতে অবস্থান নিয়ে তিনি মিথ্যা ও উসকানিমূলক বক্তব্য ছড়িয়ে দেশে অস্থিতিশীলতা তৈরির চেষ্টা করছেন।
২০২৫ সালের শুরু থেকে ভারতীয় আশ্রয়ে থাকা বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ঘিরে ক্রমেই জটিল হচ্ছে দুই দেশের সম্পর্ক। ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের ঐতিহাসিক বাড়ি ভাঙচুরের পর বাংলাদেশ সরকার ভারতের কাছে কড়া প্রতিবাদ জানায় এবং অভিযোগ করে—শেখ হাসিনা ভারতে থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিথ্যা তথ্য ও উসকানিমূলক বক্তব্য ছড়িয়ে পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করছেন।
ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূতকে তলব করে আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদ জানানোর পরদিনই দিল্লি থেকে পাল্টা বিবৃতি আসে। ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, শেখ হাসিনা যেসব মন্তব্য করছেন, তা তিনি করছেন “ব্যক্তিগত ক্ষমতায়”, ভারতের সরকার এতে সম্পৃক্ত নয়। একই সঙ্গে তারা সতর্ক করে দেয়, ভারতের ভাবমূর্তি নষ্ট বা বাংলাদেশের প্রশাসনিক ব্যর্থতার দায় ভারতের ওপর চাপানো দুই দেশের সম্পর্কের জন্য “ক্ষতিকর” হতে পারে।
কূটনৈতিক উত্তেজনা ও মুখোমুখি অবস্থান
এই ঘটনার পর থেকেই শেখ হাসিনাকে প্রকাশ্যে বক্তব্য দিতে দেওয়া উচিত কি না—এ নিয়ে দুই দেশের মধ্যে তীব্র মতপার্থক্য তৈরি হয়। ঢাকা বলছে, জুলাই গণহত্যার অভিযুক্ত সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে ভারত আশ্রয় দিয়েছে ঠিকই, কিন্তু বিদ্যমান প্রত্যর্পণ চুক্তি অনুযায়ী তাকে বিচারের মুখোমুখি করতে হস্তান্তর করা উচিত। ভারত তবে বলছে, শেখ হাসিনা রাজনৈতিক বন্দি নন, এবং তিনি অনলাইনে মত প্রকাশের স্বাধীনতা ভোগ করেন।
এ নিয়ে কথা হয়েছে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মধ্যেও। ব্যাংককে বিমস্টেক সম্মেলনের ফাঁকে ড. ইউনূস ভারতের কাছে যুক্তি তুলে ধরেন যে, শেখ হাসিনার বক্তব্য দেশের অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। মোদির জবাব ছিল, “আজকের সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে কারও মুখে লাগাম পরানো সম্ভব নয়।”
ভারতে শেখ হাসিনার ‘আনলকিং’ প্রক্রিয়া
প্রথমদিকে শেখ হাসিনার ওপর ছিল কঠোর নিরাপত্তা ও যোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ। কিন্তু এখন সেই নিয়ন্ত্রণ ধীরে ধীরে শিথিল হচ্ছে। বিশ্লেষকদের ভাষায়, এটি যেন এক ধরনের “রাজনৈতিক আনলকিং”।
লন্ডনভিত্তিক বিশ্লেষক প্রিয়জিৎ দেবসরকার বলেন, “কোভিড লকডাউনের মতোই শুরুতে শেখ হাসিনার নিরাপত্তা ছিল কঠোর, কিন্তু এখন ধাপে ধাপে নিষেধাজ্ঞা উঠছে।”
শেখ হাসিনা প্রথমদিকে রেকর্ডেড বার্তা দিলেও এখন সরাসরি লাইভে আসছেন। তিনি ভারতে আওয়ামী লীগের পলাতক নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন এবং সম্প্রতি তিনটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে (রয়টার্স, এএফপি, দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট) লিখিত সাক্ষাৎকারও দিয়েছেন। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের আগে হয়তো তাকে ভিডিও সাক্ষাৎকারেও দেখা যাবে।
ভারতের হিসাব: আওয়ামী লীগকে প্রাসঙ্গিক রাখা
ভারতের প্রতিরক্ষা বিশ্লেষক স্ম্রুতি পটনায়কের মতে, শেখ হাসিনাকে কথা বলার সুযোগ দেওয়ার মূল লক্ষ্য আওয়ামী লীগকে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিসরে প্রাসঙ্গিক রাখা।
তিনি বলেন, “ঐকমত্য কমিশন সংস্কার থেকে শুরু করে জুলাই সনদ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের কোনো ভূমিকা নেই। অথচ ভারতের ঐতিহাসিকভাবে ঘনিষ্ঠ সেই দলটিকে একেবারে নিস্তব্ধ থাকতে দেওয়া ভারতের পক্ষে সম্ভব নয়।”
ঢাকায় ভারতের সাবেক হাইকমিশনার রিভা গাঙ্গুলি দাসও মনে করেন, শেখ হাসিনার বক্তব্যগুলো দলীয় মনোবল চাঙ্গা রাখার কৌশল। “দলটির শীর্ষ নেতৃত্ব দেশে নেই। শেখ হাসিনার বক্তব্য তাদের সংগঠিত রাখছে, আর ভারত এতে বাধা দিচ্ছে না।”
‘দুই দিকের লাভ’ দেখছে দিল্লি
ভারতের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞ বলদাস ঘোষালের মতে, শেখ হাসিনার সাক্ষাৎকারগুলো দিল্লির জন্য কৌশলগতভাবে উপকারী। “বাংলাদেশে পাকিস্তানি কর্মকর্তাদের সফর, ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল নিয়ে উসকানিমূলক বক্তব্য—এসবের প্রতিক্রিয়ায় ভারত এখন ‘পাল্টা আক্রমণাত্মক’ অবস্থানে। শেখ হাসিনার বক্তব্যের মাধ্যমে তারা বাংলাদেশের প্রতিক্রিয়া যাচাই করছে এবং নিজেদের প্রভাব ধরে রাখছে।”
বিশ্লেষকদের ধারণা, শেখ হাসিনাকে মুখ খুলতে দেওয়ার মাধ্যমে ভারত একদিকে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে, অন্যদিকে আওয়ামী লীগের প্রতি তাদের সমর্থনের বার্তাও পাঠাচ্ছে।
ভারতে শেখ হাসিনার অবস্থান এখন শুধু রাজনৈতিক আশ্রয় নয়, বরং দুই প্রতিবেশীর কূটনৈতিক সম্পর্কের এক সূক্ষ্ম ভারসাম্যের প্রতীক। তাকে ঘিরে দিল্লির ‘আনলকিং’ প্রক্রিয়া হয়তো ভারতীয় রাজনৈতিক কৌশলের অংশ, কিন্তু এর পরিণতি দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার ওপর গভীর প্রভাব ফেলতে পারে।
বিষয় : রাজনীতি বাংলাদেশ ভারত কূটনীতি শেখ হাসিনা

বুধবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৫
প্রকাশের তারিখ : ০৫ নভেম্বর ২০২৫
প্রায় নয় মাস আগে শেখ মুজিবুর রহমানের ধানমন্ডির বাড়ি ভাঙচুরের পর শুরু হয় এক নতুন কূটনৈতিক অস্থিরতা। শেখ হাসিনার অনলাইন বক্তব্য ঘিরে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে তৈরি হয়েছে নজিরবিহীন উত্তেজনা। অন্তর্বর্তী সরকারের অভিযোগ, ভারতে অবস্থান নিয়ে তিনি মিথ্যা ও উসকানিমূলক বক্তব্য ছড়িয়ে দেশে অস্থিতিশীলতা তৈরির চেষ্টা করছেন।
২০২৫ সালের শুরু থেকে ভারতীয় আশ্রয়ে থাকা বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ঘিরে ক্রমেই জটিল হচ্ছে দুই দেশের সম্পর্ক। ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের ঐতিহাসিক বাড়ি ভাঙচুরের পর বাংলাদেশ সরকার ভারতের কাছে কড়া প্রতিবাদ জানায় এবং অভিযোগ করে—শেখ হাসিনা ভারতে থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিথ্যা তথ্য ও উসকানিমূলক বক্তব্য ছড়িয়ে পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করছেন।
ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূতকে তলব করে আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদ জানানোর পরদিনই দিল্লি থেকে পাল্টা বিবৃতি আসে। ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, শেখ হাসিনা যেসব মন্তব্য করছেন, তা তিনি করছেন “ব্যক্তিগত ক্ষমতায়”, ভারতের সরকার এতে সম্পৃক্ত নয়। একই সঙ্গে তারা সতর্ক করে দেয়, ভারতের ভাবমূর্তি নষ্ট বা বাংলাদেশের প্রশাসনিক ব্যর্থতার দায় ভারতের ওপর চাপানো দুই দেশের সম্পর্কের জন্য “ক্ষতিকর” হতে পারে।
কূটনৈতিক উত্তেজনা ও মুখোমুখি অবস্থান
এই ঘটনার পর থেকেই শেখ হাসিনাকে প্রকাশ্যে বক্তব্য দিতে দেওয়া উচিত কি না—এ নিয়ে দুই দেশের মধ্যে তীব্র মতপার্থক্য তৈরি হয়। ঢাকা বলছে, জুলাই গণহত্যার অভিযুক্ত সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে ভারত আশ্রয় দিয়েছে ঠিকই, কিন্তু বিদ্যমান প্রত্যর্পণ চুক্তি অনুযায়ী তাকে বিচারের মুখোমুখি করতে হস্তান্তর করা উচিত। ভারত তবে বলছে, শেখ হাসিনা রাজনৈতিক বন্দি নন, এবং তিনি অনলাইনে মত প্রকাশের স্বাধীনতা ভোগ করেন।
এ নিয়ে কথা হয়েছে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মধ্যেও। ব্যাংককে বিমস্টেক সম্মেলনের ফাঁকে ড. ইউনূস ভারতের কাছে যুক্তি তুলে ধরেন যে, শেখ হাসিনার বক্তব্য দেশের অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। মোদির জবাব ছিল, “আজকের সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে কারও মুখে লাগাম পরানো সম্ভব নয়।”
ভারতে শেখ হাসিনার ‘আনলকিং’ প্রক্রিয়া
প্রথমদিকে শেখ হাসিনার ওপর ছিল কঠোর নিরাপত্তা ও যোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ। কিন্তু এখন সেই নিয়ন্ত্রণ ধীরে ধীরে শিথিল হচ্ছে। বিশ্লেষকদের ভাষায়, এটি যেন এক ধরনের “রাজনৈতিক আনলকিং”।
লন্ডনভিত্তিক বিশ্লেষক প্রিয়জিৎ দেবসরকার বলেন, “কোভিড লকডাউনের মতোই শুরুতে শেখ হাসিনার নিরাপত্তা ছিল কঠোর, কিন্তু এখন ধাপে ধাপে নিষেধাজ্ঞা উঠছে।”
শেখ হাসিনা প্রথমদিকে রেকর্ডেড বার্তা দিলেও এখন সরাসরি লাইভে আসছেন। তিনি ভারতে আওয়ামী লীগের পলাতক নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন এবং সম্প্রতি তিনটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে (রয়টার্স, এএফপি, দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট) লিখিত সাক্ষাৎকারও দিয়েছেন। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের আগে হয়তো তাকে ভিডিও সাক্ষাৎকারেও দেখা যাবে।
ভারতের হিসাব: আওয়ামী লীগকে প্রাসঙ্গিক রাখা
ভারতের প্রতিরক্ষা বিশ্লেষক স্ম্রুতি পটনায়কের মতে, শেখ হাসিনাকে কথা বলার সুযোগ দেওয়ার মূল লক্ষ্য আওয়ামী লীগকে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিসরে প্রাসঙ্গিক রাখা।
তিনি বলেন, “ঐকমত্য কমিশন সংস্কার থেকে শুরু করে জুলাই সনদ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের কোনো ভূমিকা নেই। অথচ ভারতের ঐতিহাসিকভাবে ঘনিষ্ঠ সেই দলটিকে একেবারে নিস্তব্ধ থাকতে দেওয়া ভারতের পক্ষে সম্ভব নয়।”
ঢাকায় ভারতের সাবেক হাইকমিশনার রিভা গাঙ্গুলি দাসও মনে করেন, শেখ হাসিনার বক্তব্যগুলো দলীয় মনোবল চাঙ্গা রাখার কৌশল। “দলটির শীর্ষ নেতৃত্ব দেশে নেই। শেখ হাসিনার বক্তব্য তাদের সংগঠিত রাখছে, আর ভারত এতে বাধা দিচ্ছে না।”
‘দুই দিকের লাভ’ দেখছে দিল্লি
ভারতের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞ বলদাস ঘোষালের মতে, শেখ হাসিনার সাক্ষাৎকারগুলো দিল্লির জন্য কৌশলগতভাবে উপকারী। “বাংলাদেশে পাকিস্তানি কর্মকর্তাদের সফর, ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল নিয়ে উসকানিমূলক বক্তব্য—এসবের প্রতিক্রিয়ায় ভারত এখন ‘পাল্টা আক্রমণাত্মক’ অবস্থানে। শেখ হাসিনার বক্তব্যের মাধ্যমে তারা বাংলাদেশের প্রতিক্রিয়া যাচাই করছে এবং নিজেদের প্রভাব ধরে রাখছে।”
বিশ্লেষকদের ধারণা, শেখ হাসিনাকে মুখ খুলতে দেওয়ার মাধ্যমে ভারত একদিকে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে, অন্যদিকে আওয়ামী লীগের প্রতি তাদের সমর্থনের বার্তাও পাঠাচ্ছে।
ভারতে শেখ হাসিনার অবস্থান এখন শুধু রাজনৈতিক আশ্রয় নয়, বরং দুই প্রতিবেশীর কূটনৈতিক সম্পর্কের এক সূক্ষ্ম ভারসাম্যের প্রতীক। তাকে ঘিরে দিল্লির ‘আনলকিং’ প্রক্রিয়া হয়তো ভারতীয় রাজনৈতিক কৌশলের অংশ, কিন্তু এর পরিণতি দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার ওপর গভীর প্রভাব ফেলতে পারে।

আপনার মতামত লিখুন