ঢাকা    বুধবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৫
{ "@context": "https://schema.org", "@graph": [ { "@type": "Organization", "@id": "https://qawmitimes.com/#organization", "name": "QawmiTimes", "url": "https://qawmitimes.com/", "logo": { "@type": "ImageObject", "url": "https://qawmitimes.com/path/to/logo.png", "width": 600, "height": 60 }, "sameAs": [ "https://www.facebook.com/qawmitimes", "https://twitter.com/qawmitimes" ] }, { "@type": "WebSite", "@id": "https://qawmitimes.com/#website", "url": "https://qawmitimes.com/", "name": "QawmiTimes", "publisher": { "@id": "https://qawmitimes.com/#organization" }, "potentialAction": { "@type": "SearchAction", "target": "https://qawmitimes.com/?s={search_term_string}", "query-input": "required name=search_term_string" } }, { "@type": "WebPage", "@id": "{{PAGE_URL}}#webpage", "url": "{{PAGE_URL}}", "inLanguage": "bn‑BD", "name": "{{PAGE_TITLE}}", "isPartOf": { "@id": "https://qawmitimes.com/#website" }, "about": { "@id": "https://qawmitimes.com/#organization" }, "datePublished": "{{DATE_PUBLISHED}}", "dateModified": "{{DATE_MODIFIED}}", "breadcrumb": { "@type": "BreadcrumbList", "itemListElement": [ { "@type": "ListItem", "position": 1, "name": "Home", "item": "https://qawmitimes.com/" }, { "@type": "ListItem", "position": 2, "name": "{{CATEGORY_NAME}}", "item": "{{CATEGORY_URL}}" }, { "@type": "ListItem", "position": 3, "name": "{{PAGE_TITLE}}", "item": "{{PAGE_URL}}" } ] } } ] }
ঢাকা    বুধবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৫
কওমী টাইমস

সংবাদ সম্মেলনে আলেমদের আহ্বান— খতমে নবুয়ত রক্ষায় জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে হবে

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ১৫ নভেম্বর ২০২৫ আন্তর্জাতিক খতমে নবুয়ত মহাসম্মেলন সফল করার লক্ষ্যে সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত



সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ১৫ নভেম্বর ২০২৫ আন্তর্জাতিক খতমে নবুয়ত মহাসম্মেলন সফল করার লক্ষ্যে সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত

আসন্ন ১৫ নভেম্বর ২০২৫ ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিতব্য আন্তর্জাতিক খতমে নবুয়ত মহাসম্মেলন সফল করতে ঢাকায় সংবাদ সম্মেলন করেছে সম্মিলিত খতমে নবুওয়ত পরিষদ বাংলাদেশ। সম্মেলনে বক্তারা কাদিয়ানিদের রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম সংখ্যালঘু ঘোষণা ও ইসলামী পরিভাষার অপব্যবহার রোধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান।

আজ ৫ নভেম্বর ঢাকার প্রেসক্লাবে আগামী ১৫ নভেম্বর ২০২৫ শনিবার, ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিতব্য আন্তর্জাতিক খতমে নবুয়ত মহাসম্মেলন সফল করার লক্ষ্যে সংবাদ সম্মেলন করেছে সম্মিলিত খতমে নবুওয়ত পরিষদ বাংলাদেশ। সম্মিলিত খতমে নবুওয়ত পরিষদের আহ্বায়ক ও খতমে নবুওয়ত সংরক্ষণ কমিটির আমির আল্লামা আব্দুল হামিদ পীর সাহেব মধুপুর এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন আন্তর্জাতিক মজলিসে তাহাফ্ফুজে খতমে নবুওয়ত বাংলাদেশ এর নায়েব আমির ও বেফাকের মহাসচিব মুফতি মাহফুজুল হক।

লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করা হয়েছে—

কুরআন মজিদের শতাধিক আয়াত ও হাদীসের শতাধিক সহিহ হাদিসের ভিত্তিতে মুসলিম উম্মাহর সকলেই এ বিষয়ে ঐক্যমত পোষন করেছেন যে- হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামই শেষ নবী ও রাসূল। তাঁরপর যে কেউ নবুওয়তের দাবি করবে, সে মিথ্যুক ও প্রতারক।

কিন্তু দুঃখজনকবিষয় হলো এই সুস্পষ্ট অকাট্য আকীদার বিপরীতে আহমদিয়া বা কাদিয়ানী সম্প্রদায় মির্যা গোলাম আহমদ কাদিয়ানিকে নবী বিশ্বাস করে এবং তার উদ্ভাবিত কুফরি মতবাদকে ইসলাম বলে প্রচার করছে, যা ইসলাম ও খতমে নবুওয়তের পরিপন্থী এবং সুস্পষ্ট ভ্রান্ত বিশ্বাস।

লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয়- বাংলাদেশ বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম মুসলিম দেশ। এ দেশের নব্বই শতাংশ মানুষ বিশ্বাস করে- মির্যা গোলাম আহমদ কাদিয়ানিকে নবী মানা ইসলাম বিরোধী; তাই কাদিয়ানিরা মুসলমান হওয়ার প্রশ্নই আসে না, বরং তারা অমুসলিম কাফের । কিন্তু আজও রাষ্ট্রীয়ভাবে তাদেরকে সংখ্যালঘু অমুসলিম ঘোষণা করা হয়নি। এর ফলে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট, আইনশৃঙ্খলার অবনতিসহ নানাবিধ সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। যেমন–

১. কাদিয়ানিরা মুসলমান পরিচয়ে নিজেদের মতবাদ প্রচার করে সাধারণ মানুষকে ঈমান থেকে বিচ্যুত করছে।

২. তারা নিজেদের উপাসনালয়কে "মসজিদ" নামে চালিয়ে দিয়ে মুসলমানদের বিভ্রান্ত করছে।

৩. অনেক স্থানে কাদিয়ানি অনুসারীরা মুসলিম মসজিদের ইমাম সেজে মুসলমানদের ঈমান-আমল নষ্ট করছে।

৪. তাদের বইপত্র ইসলামী গ্রন্থ হিসেবে প্রচার করে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে।

৫. প্রকৃত পরিচয় গোপন করে মুসলমানদের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়ে পারিবারিক ও ধর্মীয় সংকট সৃষ্টি করছে।

৬. মুসলিম পরিচয়ে হজ ও চাকরির মাধ্যমে সৌদি আরবে প্রবেশ করে পবিত্র স্থানের মর্যাদা ক্ষুন্ন করছে।

৭. কাদিয়ানিরা নিজেদেরকে মুসলিম পরিচয় দিয়ে তাদের মনগড়া বিশ্বাস ও কার্যক্রমকে প্রকৃত ইসলাম বলে আখ্যা দেওয়ার মাধ্যমে সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে চরমভাবে আঘাত হানছে। যার ফলে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি মারাত্মকভাবে বিনষ্ট হচ্ছে।

বক্তব্যে আরও বলা হয়, কাদিয়ানীরা খতমে নবুওয়ত অস্বীকার করেছে এবং নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সর্বোচ্চ মর্যাদায় আঘাত করেছে। এসব কারণে ওআইসি, রাবেতা আলমে ইসলামীসহ বিশ্বের বহু বিচারিক আদালত এবং মুসলিম দেশ ইতোমধ্যে তাদের অমুসলিম সংখ্যালঘু সম্প্রদায় হিসেবে ঘোষণা করেছে। কিন্তু বাংলাদেশে এখনো তাদেরকে রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম ঘোষণা করা হয়নি। এর ফলে দেশের সাধারণ মুসলমান বিভ্রান্ত হচ্ছে, ধর্মীয় সংঘাতের ঝুঁকি বাড়ছে এবং প্রশাসনিক জটিলতা তৈরি হচ্ছে।

অতএব, এ সকল সমস্যার একমাত্র সমাধান– কাদিয়ানিদের স্বতন্ত্র পরিচয়ে সংখ্যালঘু অমুসলিম হিসেবে ঘোষণা করা। এতে মুসলমানদের ধর্ম যেমন সুরক্ষিত থাকবে, কাদিয়ানিরাও নিরাপদে নিজ ধর্ম পালন করতে পারবে এবং দেশের আইনশৃঙ্খলা ও সাম্প্রাদায়িক সম্প্রীতিও অটুট থাকবে।

সংবাদ সম্মেলন থেকে বক্তারা সরকার, প্রশাসন, গণমাধ্যম, রাজনৈতিক দল এবং নাগরিক সমাজের উদ্দেশ্যে আহ্বান জানিয়ে বলেন, খতমে নবুওয়তের বিশ্বাস কোনো দলীয় বিষয় নয়। এটি সরাসরি ঈমান এবং ইসলামের মূল ভিত্তি। 

অতএব আসুন- দলমত নির্বিশেষে আমরা আগামী ১৫ নভেম্বর আন্তর্জাতিক খতমে নবুওয়ত মহাসম্মেলনকে মহাসমুদ্রে পরিণত করি এবং আক্বীদায়ে খতমে নবুওয়ত সংরক্ষণের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দলে দলে সমবেত হয়ে মহাজাগরণ তৈরী করি।

সম্মিলিত খতমে নবুওয়ত পরিষদের পক্ষ থেকে প্রধান দাবিসমূহ:

  • কাদিয়ানীদের রাষ্ট্রীয়ভাবে সংখ্যালঘু অমুসলিম ঘোষণা করতে হবে।
  • তাদের ইসলামি পরিভাষা ব্যবহারে আইনগত নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে হবে।
  • সংবিধানে আকীদায়ে খতমে নবুয়তের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে।
  • ধর্মীয় শিক্ষা ও প্রচারে বিভ্রান্তি রোধে জাতীয় উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন আল্লামা মামুনুল হক।

বক্তারা আশা প্রকাশ করেন যে, আসন্ন আন্তর্জাতিক খতমে নবুওয়ত মহাসম্মেলনে দেশি-বিদেশি আলেম, ইসলামি চিন্তাবিদ, গবেষক, শিক্ষক, ছাত্র ও লাখো তৌহিদি জনতা অংশ নেবেন ইনশাআল্লাহ। এই সম্মেলনের মাধ্যমে জাতির ঈমান রক্ষা ও খতমে নবুয়তের আকীদা সংরক্ষণের নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে বলে তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, সম্মিলিত খতমে নবুওয়ত পরিষদের সদস্য সচিব ও আন্তর্জাতিক মজলিসে তাহাফ্ফুজে খতমে নবুওয়ত বাংলাদেশ এর মহাসচিব মাওলানা মহিউদ্দিন রব্বানী, মাওলানা আবদুর রব ইউসুফী, মাওলানা মামুনুল হক, খতমে নবুওয়ত পরিষদ বাংলাদেশ এর সভাপতি মাওলানা বাহাউদ্দীন যাকারিয়া, মাওলানা রশীদ আহমাদ, ইন্টারন্যাশনাল খতমে নবুওয়ত মুভমেন্ট বাংলাদেশ এর আমির ও সম্মিলিত পরিষদের সমন্বয়ক মূফতি শুয়াইব ইবরাহীম, ডঃ সৈয়দ এনায়েত উল্লাহ আব্বাসির পক্ষে তার প্রতিনিধি মাওঃ এহসান আব্বাসি, মুফতি মোহাম্মদ আলী আফতাব নগর, মুফতি সাখাওয়াত হোসাইন রাজী, মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিয়াজী, মাওলানা কেফায়েত উল্লাহ আজহারী, খতমে নবুওয়ত আন্দোলন বাংলাদেশ এর আমির মুফতি নুর হোসাইন নুরানী, মাওলানা উবায়দুল্লাহ কাসেমী, মুফতি আরিফ বিল্লাহ কাসেমী, মাওঃ আব্দুল আলীম নেজামী, মাওঃ এনামুল হক মুসা, মাওলানা আব্দুল মজিদ, মাওলানা আবুল কাশেম আশরাফী, মুফতি শফিক সাদী, মুফতি ইমরানুল বারী সিরাজী, মাওলানা রাশেদ বিন নূর, মাওঃ ইউনুস ঢালী, মাওলানা আব্দুল গাফফার, মাওলানা আবু ইউসুফ প্রমুখ।

বিষয় : খতমে নবুওয়ত

আপনার মতামত লিখুন

কওমী টাইমস

বুধবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৫


সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ১৫ নভেম্বর ২০২৫ আন্তর্জাতিক খতমে নবুয়ত মহাসম্মেলন সফল করার লক্ষ্যে সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত

প্রকাশের তারিখ : ০৫ নভেম্বর ২০২৫

featured Image

আসন্ন ১৫ নভেম্বর ২০২৫ ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিতব্য আন্তর্জাতিক খতমে নবুয়ত মহাসম্মেলন সফল করতে ঢাকায় সংবাদ সম্মেলন করেছে সম্মিলিত খতমে নবুওয়ত পরিষদ বাংলাদেশ। সম্মেলনে বক্তারা কাদিয়ানিদের রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম সংখ্যালঘু ঘোষণা ও ইসলামী পরিভাষার অপব্যবহার রোধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান।

আজ ৫ নভেম্বর ঢাকার প্রেসক্লাবে আগামী ১৫ নভেম্বর ২০২৫ শনিবার, ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিতব্য আন্তর্জাতিক খতমে নবুয়ত মহাসম্মেলন সফল করার লক্ষ্যে সংবাদ সম্মেলন করেছে সম্মিলিত খতমে নবুওয়ত পরিষদ বাংলাদেশ। সম্মিলিত খতমে নবুওয়ত পরিষদের আহ্বায়ক ও খতমে নবুওয়ত সংরক্ষণ কমিটির আমির আল্লামা আব্দুল হামিদ পীর সাহেব মধুপুর এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন আন্তর্জাতিক মজলিসে তাহাফ্ফুজে খতমে নবুওয়ত বাংলাদেশ এর নায়েব আমির ও বেফাকের মহাসচিব মুফতি মাহফুজুল হক।

লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করা হয়েছে—

কুরআন মজিদের শতাধিক আয়াত ও হাদীসের শতাধিক সহিহ হাদিসের ভিত্তিতে মুসলিম উম্মাহর সকলেই এ বিষয়ে ঐক্যমত পোষন করেছেন যে- হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামই শেষ নবী ও রাসূল। তাঁরপর যে কেউ নবুওয়তের দাবি করবে, সে মিথ্যুক ও প্রতারক।

কিন্তু দুঃখজনকবিষয় হলো এই সুস্পষ্ট অকাট্য আকীদার বিপরীতে আহমদিয়া বা কাদিয়ানী সম্প্রদায় মির্যা গোলাম আহমদ কাদিয়ানিকে নবী বিশ্বাস করে এবং তার উদ্ভাবিত কুফরি মতবাদকে ইসলাম বলে প্রচার করছে, যা ইসলাম ও খতমে নবুওয়তের পরিপন্থী এবং সুস্পষ্ট ভ্রান্ত বিশ্বাস।

লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয়- বাংলাদেশ বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম মুসলিম দেশ। এ দেশের নব্বই শতাংশ মানুষ বিশ্বাস করে- মির্যা গোলাম আহমদ কাদিয়ানিকে নবী মানা ইসলাম বিরোধী; তাই কাদিয়ানিরা মুসলমান হওয়ার প্রশ্নই আসে না, বরং তারা অমুসলিম কাফের । কিন্তু আজও রাষ্ট্রীয়ভাবে তাদেরকে সংখ্যালঘু অমুসলিম ঘোষণা করা হয়নি। এর ফলে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট, আইনশৃঙ্খলার অবনতিসহ নানাবিধ সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। যেমন–

১. কাদিয়ানিরা মুসলমান পরিচয়ে নিজেদের মতবাদ প্রচার করে সাধারণ মানুষকে ঈমান থেকে বিচ্যুত করছে।

২. তারা নিজেদের উপাসনালয়কে "মসজিদ" নামে চালিয়ে দিয়ে মুসলমানদের বিভ্রান্ত করছে।

৩. অনেক স্থানে কাদিয়ানি অনুসারীরা মুসলিম মসজিদের ইমাম সেজে মুসলমানদের ঈমান-আমল নষ্ট করছে।

৪. তাদের বইপত্র ইসলামী গ্রন্থ হিসেবে প্রচার করে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে।

৫. প্রকৃত পরিচয় গোপন করে মুসলমানদের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়ে পারিবারিক ও ধর্মীয় সংকট সৃষ্টি করছে।

৬. মুসলিম পরিচয়ে হজ ও চাকরির মাধ্যমে সৌদি আরবে প্রবেশ করে পবিত্র স্থানের মর্যাদা ক্ষুন্ন করছে।

৭. কাদিয়ানিরা নিজেদেরকে মুসলিম পরিচয় দিয়ে তাদের মনগড়া বিশ্বাস ও কার্যক্রমকে প্রকৃত ইসলাম বলে আখ্যা দেওয়ার মাধ্যমে সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে চরমভাবে আঘাত হানছে। যার ফলে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি মারাত্মকভাবে বিনষ্ট হচ্ছে।

বক্তব্যে আরও বলা হয়, কাদিয়ানীরা খতমে নবুওয়ত অস্বীকার করেছে এবং নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সর্বোচ্চ মর্যাদায় আঘাত করেছে। এসব কারণে ওআইসি, রাবেতা আলমে ইসলামীসহ বিশ্বের বহু বিচারিক আদালত এবং মুসলিম দেশ ইতোমধ্যে তাদের অমুসলিম সংখ্যালঘু সম্প্রদায় হিসেবে ঘোষণা করেছে। কিন্তু বাংলাদেশে এখনো তাদেরকে রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম ঘোষণা করা হয়নি। এর ফলে দেশের সাধারণ মুসলমান বিভ্রান্ত হচ্ছে, ধর্মীয় সংঘাতের ঝুঁকি বাড়ছে এবং প্রশাসনিক জটিলতা তৈরি হচ্ছে।

অতএব, এ সকল সমস্যার একমাত্র সমাধান– কাদিয়ানিদের স্বতন্ত্র পরিচয়ে সংখ্যালঘু অমুসলিম হিসেবে ঘোষণা করা। এতে মুসলমানদের ধর্ম যেমন সুরক্ষিত থাকবে, কাদিয়ানিরাও নিরাপদে নিজ ধর্ম পালন করতে পারবে এবং দেশের আইনশৃঙ্খলা ও সাম্প্রাদায়িক সম্প্রীতিও অটুট থাকবে।

সংবাদ সম্মেলন থেকে বক্তারা সরকার, প্রশাসন, গণমাধ্যম, রাজনৈতিক দল এবং নাগরিক সমাজের উদ্দেশ্যে আহ্বান জানিয়ে বলেন, খতমে নবুওয়তের বিশ্বাস কোনো দলীয় বিষয় নয়। এটি সরাসরি ঈমান এবং ইসলামের মূল ভিত্তি। 

অতএব আসুন- দলমত নির্বিশেষে আমরা আগামী ১৫ নভেম্বর আন্তর্জাতিক খতমে নবুওয়ত মহাসম্মেলনকে মহাসমুদ্রে পরিণত করি এবং আক্বীদায়ে খতমে নবুওয়ত সংরক্ষণের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দলে দলে সমবেত হয়ে মহাজাগরণ তৈরী করি।

সম্মিলিত খতমে নবুওয়ত পরিষদের পক্ষ থেকে প্রধান দাবিসমূহ:

  • কাদিয়ানীদের রাষ্ট্রীয়ভাবে সংখ্যালঘু অমুসলিম ঘোষণা করতে হবে।
  • তাদের ইসলামি পরিভাষা ব্যবহারে আইনগত নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে হবে।
  • সংবিধানে আকীদায়ে খতমে নবুয়তের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে।
  • ধর্মীয় শিক্ষা ও প্রচারে বিভ্রান্তি রোধে জাতীয় উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন আল্লামা মামুনুল হক।

বক্তারা আশা প্রকাশ করেন যে, আসন্ন আন্তর্জাতিক খতমে নবুওয়ত মহাসম্মেলনে দেশি-বিদেশি আলেম, ইসলামি চিন্তাবিদ, গবেষক, শিক্ষক, ছাত্র ও লাখো তৌহিদি জনতা অংশ নেবেন ইনশাআল্লাহ। এই সম্মেলনের মাধ্যমে জাতির ঈমান রক্ষা ও খতমে নবুয়তের আকীদা সংরক্ষণের নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে বলে তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, সম্মিলিত খতমে নবুওয়ত পরিষদের সদস্য সচিব ও আন্তর্জাতিক মজলিসে তাহাফ্ফুজে খতমে নবুওয়ত বাংলাদেশ এর মহাসচিব মাওলানা মহিউদ্দিন রব্বানী, মাওলানা আবদুর রব ইউসুফী, মাওলানা মামুনুল হক, খতমে নবুওয়ত পরিষদ বাংলাদেশ এর সভাপতি মাওলানা বাহাউদ্দীন যাকারিয়া, মাওলানা রশীদ আহমাদ, ইন্টারন্যাশনাল খতমে নবুওয়ত মুভমেন্ট বাংলাদেশ এর আমির ও সম্মিলিত পরিষদের সমন্বয়ক মূফতি শুয়াইব ইবরাহীম, ডঃ সৈয়দ এনায়েত উল্লাহ আব্বাসির পক্ষে তার প্রতিনিধি মাওঃ এহসান আব্বাসি, মুফতি মোহাম্মদ আলী আফতাব নগর, মুফতি সাখাওয়াত হোসাইন রাজী, মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিয়াজী, মাওলানা কেফায়েত উল্লাহ আজহারী, খতমে নবুওয়ত আন্দোলন বাংলাদেশ এর আমির মুফতি নুর হোসাইন নুরানী, মাওলানা উবায়দুল্লাহ কাসেমী, মুফতি আরিফ বিল্লাহ কাসেমী, মাওঃ আব্দুল আলীম নেজামী, মাওঃ এনামুল হক মুসা, মাওলানা আব্দুল মজিদ, মাওলানা আবুল কাশেম আশরাফী, মুফতি শফিক সাদী, মুফতি ইমরানুল বারী সিরাজী, মাওলানা রাশেদ বিন নূর, মাওঃ ইউনুস ঢালী, মাওলানা আব্দুল গাফফার, মাওলানা আবু ইউসুফ প্রমুখ।


কওমী টাইমস

সম্পাদক ও প্রকাশক : মোঃ মুস্তাইন বিল্লাহ
কপিরাইট © ২০২৫ কওমী টাইমস । সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত