ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির ঐতিহাসিক লাল কেল্লা মেট্রো স্টেশনের গেট নং ১-এর কাছে এক ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার সন্ধ্যায় (১০ নভেম্বর) ঘটা এই শক্তিশালী বিস্ফোরণে এখন পর্যন্ত নগর পুলিশ ও স্থানীয় গণমাধ্যমের তথ্যানুসারে কমপক্ষে আট (৮) জন নিহত এবং এগারো (১১) জন আহত হয়েছেন। বিস্ফোরণের কারণ এখনও নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি, তবে ঘটনার পর পুরো দিল্লিতে উচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে এবং তদন্ত চলছে।

সোমবার সন্ধ্যায় যখন দিল্লির যানজটপূর্ণ রাস্তায় সাধারণ মানুষের ভিড়, ঠিক তখনই লাল কেল্লা মেট্রো স্টেশনের কাছে একটি গাড়িতে এই শক্তিশালী বিস্ফোরণ ঘটে। দিল্লি পুলিশের মুখপাত্র সঞ্জয় ত্যাগী নিহতের সংখ্যা নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, বিস্ফোরণের কারণ জানতে তদন্ত শুরু হয়েছে।

বিস্ফোরণের তীব্রতায় ঘটনাস্থলে থাকা কমপক্ষে ছয়টি (৬) গাড়ি এবং তিনটি (৩) অটোরিকশায় আগুন ধরে যায়।

দিল্লির ডেপুটি ফায়ার চিফ এ কে মালিক নিশ্চিত করেছেন যে দমকল বাহিনীর সাতটি ইউনিট দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

স্থানীয় গণমাধ্যম এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে জানা যায়, বিস্ফোরণটি এতই শক্তিশালী ছিল যে এর শব্দ বহু দূর পর্যন্ত শোনা যায় এবং আশপাশের ভবনগুলির জানালা কেঁপে ওঠে। বহু গাড়ির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।

বিস্ফোরণের পর আহতদের দ্রুত লোকনায়ক জয়প্রকাশ নারায়ণ (এলএনজেপি) হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, যেখানে কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর বলে জানা গেছে। স্থানীয় গণমাধ্যম অনুসারে, আহতের সংখ্যা কমপক্ষে ১১ জন।

বিস্ফোরণের পরপরই পুলিশ পুরো এলাকা দ্রুত ঘিরে ফেলে। ঘটনাস্থলে দিল্লি পুলিশ এবং বম্ব ডিসপোজাল স্কোয়াডের টিম পৌঁছে তদন্ত শুরু করেছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ দিল্লির পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং পরিস্থিতি সম্পর্কে খোঁজখবর নিয়েছেন।

দিল্লি একটি ঘনবসতিপূর্ণ এবং ভারতের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন কেন্দ্র হওয়ায়, এই ধরনের বিস্ফোরণের ঘটনা রাজধানীতে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুরো শহর জুড়ে উচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। দুর্ঘটনার সঠিক কারণ, সেটি দুর্ঘটনা নাকি কোনো নাশকতামূলক কাজ— তা নিশ্চিত হতে তদন্তকারীরা জোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।