নিজের প্রয়াত বাবাকে নিয়ে ‘মিথ্যাচারের’ অভিযোগ তুলে ফেসবুকে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তার দাবি, মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে তার বাবা মির্জা রুহুল আমিন ভারতে শরণার্থীশিবিরে অবস্থান করেছিলেন— অথচ রাজনৈতিক স্বার্থে তাকে স্বাধীনতাবিরোধী হিসেবে প্রচার করা হচ্ছে।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সোমবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক দীর্ঘ পোস্টে লিখেছেন, “আমার বাবা সম্বন্ধে মিথ্যাচার শুরু হয় গত আওয়ামী শাসনামলে। দুঃখজনকভাবে এখন এমনকি জুলাই আন্দোলনের কিছু অংশগ্রহণকারীও এই মিথ্যাচারে যুক্ত হয়েছে।”
তিনি বলেন, “আমার বাবা ১৯৭১ সালের এপ্রিল মাসে পরিবারসহ ভারতের ইসলামপুরে চলে যান এবং শরণার্থী শিবিরে মুক্তিযুদ্ধের প্রায় পুরোটা সময় অবস্থান করেন। ডিসেম্বরের শুরুতে ঠাকুরগাঁও মুক্ত হওয়ার পরই তিনি দেশে ফিরে আসেন এবং ধ্বংসস্তূপ থেকে জীবন গড়েন—যেমন কোটি মানুষ করেছে।”
মির্জা ফখরুল আরও দাবি করেন, তার বাবার বিরুদ্ধে কখনও কোনো মামলা বা স্বাধীনতাবিরোধী অভিযোগ ছিল না। বরং ঠাকুরগাঁওয়ের আধুনিক অবকাঠামো উন্নয়নের সূচনা হয়েছিল তার বাবার হাতেই।
তিনি উল্লেখ করেন, “আমার বাবার মৃত্যুর পর তার স্মৃতি রক্ষায় স্থানীয় সব রাজনৈতিক দলের নেতারা মির্জা রুহুল আমিন ফাউন্ডেশনে যুক্ত ছিলেন। এমনকি ১৯৯৭ সালে তার মৃত্যুর পর সরকারিভাবে শোক প্রকাশ করা হয়।”
তরুণ প্রজন্মকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, “দেশে এখন মিথ্যার চাষ হচ্ছে। আমি চাই, আমাদের নতুন প্রজন্ম মেধা, সততা আর নীতির প্রতিযোগিতায় এগিয়ে যাক—শঠতা নয়। মিথ্যা দিয়ে পপুলারিটি কেনা যায়, কিন্তু দেশ গড়া যায় না।”
পোস্টের শেষে তিনি কোরআনের সূরা আল–হুজুরাতের আয়াত উদ্ধৃত করেন: ‘হে মুমিনগণ, তোমরা অধিক অনুমান থেকে দূরে থাকো। নিশ্চয়ই কিছু অনুমান পাপ।’
ফখরুল তার পোস্টে “মুক্তিযুদ্ধে দিনাজপুর” বইয়ের একটি পৃষ্ঠা যুক্ত করেছেন, যেখানে উল্লেখ রয়েছে— তার বাবা তৎকালীন প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য ও মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ভারতে অবস্থানরত ছিলেন।
বিষয় : বিএনপি

মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫
প্রকাশের তারিখ : ১০ নভেম্বর ২০২৫
নিজের প্রয়াত বাবাকে নিয়ে ‘মিথ্যাচারের’ অভিযোগ তুলে ফেসবুকে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তার দাবি, মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে তার বাবা মির্জা রুহুল আমিন ভারতে শরণার্থীশিবিরে অবস্থান করেছিলেন— অথচ রাজনৈতিক স্বার্থে তাকে স্বাধীনতাবিরোধী হিসেবে প্রচার করা হচ্ছে।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সোমবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক দীর্ঘ পোস্টে লিখেছেন, “আমার বাবা সম্বন্ধে মিথ্যাচার শুরু হয় গত আওয়ামী শাসনামলে। দুঃখজনকভাবে এখন এমনকি জুলাই আন্দোলনের কিছু অংশগ্রহণকারীও এই মিথ্যাচারে যুক্ত হয়েছে।”
তিনি বলেন, “আমার বাবা ১৯৭১ সালের এপ্রিল মাসে পরিবারসহ ভারতের ইসলামপুরে চলে যান এবং শরণার্থী শিবিরে মুক্তিযুদ্ধের প্রায় পুরোটা সময় অবস্থান করেন। ডিসেম্বরের শুরুতে ঠাকুরগাঁও মুক্ত হওয়ার পরই তিনি দেশে ফিরে আসেন এবং ধ্বংসস্তূপ থেকে জীবন গড়েন—যেমন কোটি মানুষ করেছে।”
মির্জা ফখরুল আরও দাবি করেন, তার বাবার বিরুদ্ধে কখনও কোনো মামলা বা স্বাধীনতাবিরোধী অভিযোগ ছিল না। বরং ঠাকুরগাঁওয়ের আধুনিক অবকাঠামো উন্নয়নের সূচনা হয়েছিল তার বাবার হাতেই।
তিনি উল্লেখ করেন, “আমার বাবার মৃত্যুর পর তার স্মৃতি রক্ষায় স্থানীয় সব রাজনৈতিক দলের নেতারা মির্জা রুহুল আমিন ফাউন্ডেশনে যুক্ত ছিলেন। এমনকি ১৯৯৭ সালে তার মৃত্যুর পর সরকারিভাবে শোক প্রকাশ করা হয়।”
তরুণ প্রজন্মকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, “দেশে এখন মিথ্যার চাষ হচ্ছে। আমি চাই, আমাদের নতুন প্রজন্ম মেধা, সততা আর নীতির প্রতিযোগিতায় এগিয়ে যাক—শঠতা নয়। মিথ্যা দিয়ে পপুলারিটি কেনা যায়, কিন্তু দেশ গড়া যায় না।”
পোস্টের শেষে তিনি কোরআনের সূরা আল–হুজুরাতের আয়াত উদ্ধৃত করেন: ‘হে মুমিনগণ, তোমরা অধিক অনুমান থেকে দূরে থাকো। নিশ্চয়ই কিছু অনুমান পাপ।’
ফখরুল তার পোস্টে “মুক্তিযুদ্ধে দিনাজপুর” বইয়ের একটি পৃষ্ঠা যুক্ত করেছেন, যেখানে উল্লেখ রয়েছে— তার বাবা তৎকালীন প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য ও মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ভারতে অবস্থানরত ছিলেন।

আপনার মতামত লিখুন