উত্তর প্রদেশের সাম্ভল জেলার শাহী জামে মসজিদ–হরিহর মন্দির মালিকানা বিরোধ আবারও আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে এসেছে। হিন্দু পক্ষের মামলাকারী এবং আন্তর্জাতিক হরিহর সেনার প্রতিষ্ঠাতা মহন্ত ঋষি রাজ গিরি ঘোষণা দিয়েছেন যে আগামী ১৯ নভেম্বর তিনি ও তার অনুসারীরা ২.৫ কিলোমিটার দীর্ঘ ‘হরিহর মন্দির পদযাত্রা’ করবেন। পদযাত্রাটি শাহী জামে মসজিদ কমপ্লেক্সের চারপাশ ঘিরে অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা গেছে।
গিরি জানান, সকাল ১০টায় কেলা দেবী মন্দির থেকে যানবাহনে মোটীনগর পর্যন্ত যাওয়া হবে এবং সেখান থেকে পায়ে হেঁটে পুরো কমপ্লেক্স পরিক্রমা করা হবে। তিনি দাবি করেন, “আমাদের বার্তা স্পষ্ট—হরিহর মন্দির ছিল, আছে এবং থাকবে। মামলাটি আদালতে চলমান, আমরা বিচারব্যবস্থাকে সম্মান করি; আমরা শুধু মন্দির এলাকাটি পরিক্রমা করবো।”
তবে অনুষ্ঠানটি সম্পর্কে স্থানীয় প্রশাসনের কাছে কোনো আনুষ্ঠানিক অনুমতি বা আলোচনা হয়নি বলে কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন। এ কারণে ২০২৪ সালের আদালত-নির্দেশিত জরিপকে ঘিরে যে সহিংসতায় পাঁচ মুসলিম যুবকের মৃত্যু হয়েছিল, সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে উদ্বেগ বাড়ছে।
এদিকে, শাহী জামে মসজিদে সংরক্ষণ কাজের অংশ হিসেবে ৮ অক্টোবর এএসআইয়ের মীরাট সার্কেলের একটি দল পরিদর্শনে গেলে তাদের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে মসজিদ পরিচালনা কমিটির দুই সদস্যের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগে বলা হয়, ‘হাফিজ’ নামে একজন কর্মচারী মোহাম্মদ কাসিফ খানকে ডেকে এনে দলটিকে মূল গম্বুজে প্রবেশে বাধা দেন। আরও এক অজ্ঞাত ব্যক্তি উত্তেজনা ছড়ানোর চেষ্টা করেন, কঠোর ভাষা ব্যবহার করেন এবং পরিবেশ উত্তপ্ত করে তোলেন। ফলে দলটি অসমাপ্ত কাজ রেখে মীরাটে ফিরে যেতে বাধ্য হয়।
প্রশাসন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে, তবে অনুমতিহীন পদযাত্রাকে ঘিরে সাম্ভলে নিরাপত্তা শঙ্কা বাড়ছে।
বিষয় : ভারত ইসলামফোবিয়া

মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫
প্রকাশের তারিখ : ১৮ নভেম্বর ২০২৫
উত্তর প্রদেশের সাম্ভল জেলার শাহী জামে মসজিদ–হরিহর মন্দির মালিকানা বিরোধ আবারও আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে এসেছে। হিন্দু পক্ষের মামলাকারী এবং আন্তর্জাতিক হরিহর সেনার প্রতিষ্ঠাতা মহন্ত ঋষি রাজ গিরি ঘোষণা দিয়েছেন যে আগামী ১৯ নভেম্বর তিনি ও তার অনুসারীরা ২.৫ কিলোমিটার দীর্ঘ ‘হরিহর মন্দির পদযাত্রা’ করবেন। পদযাত্রাটি শাহী জামে মসজিদ কমপ্লেক্সের চারপাশ ঘিরে অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা গেছে।
গিরি জানান, সকাল ১০টায় কেলা দেবী মন্দির থেকে যানবাহনে মোটীনগর পর্যন্ত যাওয়া হবে এবং সেখান থেকে পায়ে হেঁটে পুরো কমপ্লেক্স পরিক্রমা করা হবে। তিনি দাবি করেন, “আমাদের বার্তা স্পষ্ট—হরিহর মন্দির ছিল, আছে এবং থাকবে। মামলাটি আদালতে চলমান, আমরা বিচারব্যবস্থাকে সম্মান করি; আমরা শুধু মন্দির এলাকাটি পরিক্রমা করবো।”
তবে অনুষ্ঠানটি সম্পর্কে স্থানীয় প্রশাসনের কাছে কোনো আনুষ্ঠানিক অনুমতি বা আলোচনা হয়নি বলে কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন। এ কারণে ২০২৪ সালের আদালত-নির্দেশিত জরিপকে ঘিরে যে সহিংসতায় পাঁচ মুসলিম যুবকের মৃত্যু হয়েছিল, সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে উদ্বেগ বাড়ছে।
এদিকে, শাহী জামে মসজিদে সংরক্ষণ কাজের অংশ হিসেবে ৮ অক্টোবর এএসআইয়ের মীরাট সার্কেলের একটি দল পরিদর্শনে গেলে তাদের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে মসজিদ পরিচালনা কমিটির দুই সদস্যের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগে বলা হয়, ‘হাফিজ’ নামে একজন কর্মচারী মোহাম্মদ কাসিফ খানকে ডেকে এনে দলটিকে মূল গম্বুজে প্রবেশে বাধা দেন। আরও এক অজ্ঞাত ব্যক্তি উত্তেজনা ছড়ানোর চেষ্টা করেন, কঠোর ভাষা ব্যবহার করেন এবং পরিবেশ উত্তপ্ত করে তোলেন। ফলে দলটি অসমাপ্ত কাজ রেখে মীরাটে ফিরে যেতে বাধ্য হয়।
প্রশাসন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে, তবে অনুমতিহীন পদযাত্রাকে ঘিরে সাম্ভলে নিরাপত্তা শঙ্কা বাড়ছে।

আপনার মতামত লিখুন