ফিলিস্তিনের শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গাজায় ইসরাইলের দুই বছরের অব্যাহত সামরিক হামলায় ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয় সৃষ্টি হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে শিশু ও শিক্ষার্থীরা। ধ্বংস হয়েছে শত শত স্কুল, নিহত হয়েছে হাজার হাজার শিশু। বিশ্ব শিশু অধিকার দিবসে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এই দুঃসহ বাস্তবতার চিত্র তুলে ধরা হয়েছে।
বিশ্ব শিশু অধিকার দিবস উপলক্ষে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে ফিলিস্তিনের শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরাইলের ৭ অক্টোবর ২০২৩ থেকে শুরু হওয়া দীর্ঘমেয়াদি সামরিক আগ্রাসনে গাজায় অন্তত ১৯ হাজার স্কুলপড়ুয়া শিশু নিহত হয়েছে। এছাড়া প্রায় ২৮ হাজার শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। দুই বছর ধরে চলা এই হামলায় শত শত স্কুল, কলেজ ও কিন্ডারগার্টেন সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস বা আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যার ফলে গাজার শিক্ষা কাঠামো প্রায় ভেঙে পড়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, শুধু গাজাই নয়—দখলকৃত পূর্ব জেরুজালেম ও পশ্চিম তীরেও ইসরাইলি সেনা ও অবৈধ বসতি স্থাপনকারীরা নিয়মিত ফিলিস্তিনি শিশুদের ওপর হামলা ও নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে। এতে তাদের শিক্ষা, নিরাপত্তা ও মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর মারাত্মক প্রভাব পড়ছে।
ফিলিস্তিন শিক্ষা মন্ত্রণালয় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি জরুরি পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেছে, ফিলিস্তিনি শিশুদের সুরক্ষা, শিক্ষার পরিবেশ পুনর্গঠন এবং যুদ্ধাপরাধের বিচার নিশ্চিত করা এখন সময়ের দাবি।
গাজার চলমান গণহত্যায় এখন পর্যন্ত ৬৯ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১ লাখ ৭০ হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছে—যার উল্লেখযোগ্য অংশই শিশু ও নারী।

রোববার, ২৩ নভেম্বর ২০২৫
প্রকাশের তারিখ : ২২ নভেম্বর ২০২৫
ফিলিস্তিনের শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গাজায় ইসরাইলের দুই বছরের অব্যাহত সামরিক হামলায় ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয় সৃষ্টি হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে শিশু ও শিক্ষার্থীরা। ধ্বংস হয়েছে শত শত স্কুল, নিহত হয়েছে হাজার হাজার শিশু। বিশ্ব শিশু অধিকার দিবসে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এই দুঃসহ বাস্তবতার চিত্র তুলে ধরা হয়েছে।
বিশ্ব শিশু অধিকার দিবস উপলক্ষে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে ফিলিস্তিনের শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরাইলের ৭ অক্টোবর ২০২৩ থেকে শুরু হওয়া দীর্ঘমেয়াদি সামরিক আগ্রাসনে গাজায় অন্তত ১৯ হাজার স্কুলপড়ুয়া শিশু নিহত হয়েছে। এছাড়া প্রায় ২৮ হাজার শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। দুই বছর ধরে চলা এই হামলায় শত শত স্কুল, কলেজ ও কিন্ডারগার্টেন সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস বা আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যার ফলে গাজার শিক্ষা কাঠামো প্রায় ভেঙে পড়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, শুধু গাজাই নয়—দখলকৃত পূর্ব জেরুজালেম ও পশ্চিম তীরেও ইসরাইলি সেনা ও অবৈধ বসতি স্থাপনকারীরা নিয়মিত ফিলিস্তিনি শিশুদের ওপর হামলা ও নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে। এতে তাদের শিক্ষা, নিরাপত্তা ও মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর মারাত্মক প্রভাব পড়ছে।
ফিলিস্তিন শিক্ষা মন্ত্রণালয় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি জরুরি পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেছে, ফিলিস্তিনি শিশুদের সুরক্ষা, শিক্ষার পরিবেশ পুনর্গঠন এবং যুদ্ধাপরাধের বিচার নিশ্চিত করা এখন সময়ের দাবি।
গাজার চলমান গণহত্যায় এখন পর্যন্ত ৬৯ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১ লাখ ৭০ হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছে—যার উল্লেখযোগ্য অংশই শিশু ও নারী।

আপনার মতামত লিখুন