জম্মুর সাইনিক কলোনিতে এক সেনা সদস্যের নির্বিচার গুলিচালনায় প্রাণ হারিয়েছেন মুম্বাইয়ের এক তরুণী। আহত হয়েছেন আরও দুইজন নারী। ঘটনাটি বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যানকে কেন্দ্র করে ঘটেছে বলে তদন্তকারীরা জানিয়েছেন।
ভারতের জম্মু শহরের সাইনিক কলোনিতে অবস্থিত একটি ফিজিওথেরাপি সেন্টারে গুলিচালনার ঘটনায় সেনাবাহিনীর এক সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অভিযুক্তের নাম নায়েক শের সিংহ, তিনি জম্মু তাওই রেলওয়ে স্টেশনের আর্মি মুভমেন্ট কন্ট্রোল অফিসে কর্মরত ছিলেন।
পুলিশের তথ্যমতে, গত ২১ আগস্ট সিংহ ওই সেন্টারে প্রবেশ করেন। সেখানে কর্মরত এক সহকর্মীর সঙ্গে বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যাত হওয়ায় তিনি ক্ষুব্ধ হন। সহকর্মীকে না পেয়ে তিনি গুলি চালাতে শুরু করেন। এতে মুম্বাইয়ের মালাড এলাকার ৩০ বছর বয়সী মেহাজবীন আকিল শেখ গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন এবং ২৯ আগস্ট জম্মু সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান। তার ছোট বোন ২১ বছর বয়সী ফাতিমা আকিল ও লুধিয়ানার ২৮ বছর বয়সী জশপ্রীত কৌর গুরুতর আহত হয়ে চিকিৎসাধীন।
অভিযুক্ত আট রাউন্ড গুলি ছোড়েন বলে জানা গেছে, তবে ব্যবহৃত অস্ত্রটি সেনার অফিসিয়াল অস্ত্র নাকি ব্যক্তিগত—তা এখনো নিশ্চিত নয়। প্রথমে সেন্টার কর্তৃপক্ষ আহতদের সড়ক দুর্ঘটনায় আহত বলে হাসপাতালে ভর্তি করায় তদন্ত বিভ্রান্ত হয়। পরে তদন্তে সত্যতা প্রকাশ পেলে ১৮ সেপ্টেম্বর হত্যা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে এফআইআর দায়ের করা হয়।
ঘটনার প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। অভিযোগ রয়েছে, ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল। এ কারণে তিন পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে একটি বিশেষ তদন্ত দল (SIT) গঠন করা হয়েছে। বর্তমানে ক্রাইম ব্রাঞ্চ মামলাটি তদন্ত করছে এবং শের সিংহকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার কাছে অস্ত্রের উৎস সম্পর্কেও খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।
বিষয় : ভারত জম্মু কাশ্মীর

মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫
প্রকাশের তারিখ : ০১ অক্টোবর ২০২৫
জম্মুর সাইনিক কলোনিতে এক সেনা সদস্যের নির্বিচার গুলিচালনায় প্রাণ হারিয়েছেন মুম্বাইয়ের এক তরুণী। আহত হয়েছেন আরও দুইজন নারী। ঘটনাটি বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যানকে কেন্দ্র করে ঘটেছে বলে তদন্তকারীরা জানিয়েছেন।
ভারতের জম্মু শহরের সাইনিক কলোনিতে অবস্থিত একটি ফিজিওথেরাপি সেন্টারে গুলিচালনার ঘটনায় সেনাবাহিনীর এক সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অভিযুক্তের নাম নায়েক শের সিংহ, তিনি জম্মু তাওই রেলওয়ে স্টেশনের আর্মি মুভমেন্ট কন্ট্রোল অফিসে কর্মরত ছিলেন।
পুলিশের তথ্যমতে, গত ২১ আগস্ট সিংহ ওই সেন্টারে প্রবেশ করেন। সেখানে কর্মরত এক সহকর্মীর সঙ্গে বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যাত হওয়ায় তিনি ক্ষুব্ধ হন। সহকর্মীকে না পেয়ে তিনি গুলি চালাতে শুরু করেন। এতে মুম্বাইয়ের মালাড এলাকার ৩০ বছর বয়সী মেহাজবীন আকিল শেখ গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন এবং ২৯ আগস্ট জম্মু সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান। তার ছোট বোন ২১ বছর বয়সী ফাতিমা আকিল ও লুধিয়ানার ২৮ বছর বয়সী জশপ্রীত কৌর গুরুতর আহত হয়ে চিকিৎসাধীন।
অভিযুক্ত আট রাউন্ড গুলি ছোড়েন বলে জানা গেছে, তবে ব্যবহৃত অস্ত্রটি সেনার অফিসিয়াল অস্ত্র নাকি ব্যক্তিগত—তা এখনো নিশ্চিত নয়। প্রথমে সেন্টার কর্তৃপক্ষ আহতদের সড়ক দুর্ঘটনায় আহত বলে হাসপাতালে ভর্তি করায় তদন্ত বিভ্রান্ত হয়। পরে তদন্তে সত্যতা প্রকাশ পেলে ১৮ সেপ্টেম্বর হত্যা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে এফআইআর দায়ের করা হয়।
ঘটনার প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। অভিযোগ রয়েছে, ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল। এ কারণে তিন পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে একটি বিশেষ তদন্ত দল (SIT) গঠন করা হয়েছে। বর্তমানে ক্রাইম ব্রাঞ্চ মামলাটি তদন্ত করছে এবং শের সিংহকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার কাছে অস্ত্রের উৎস সম্পর্কেও খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।

আপনার মতামত লিখুন