ইন্দোনেশিয়ার পূর্ব জাভা প্রদেশে একটি আবাসিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভবন ধসে নিহতের সংখ্যা আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে ৩৭ জনে দাঁড়িয়েছে। প্রাথমিক তথ্যানুযায়ী, কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই ভবনটিতে নতুন দুটি তলা নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছিল। গত ২৯ সেপ্টেম্বর সংঘটিত এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনার পর উদ্ধার তৎপরতা এখনও চলছে। ভবন ধস এবং এত বড় প্রাণহানির ঘটনা ইন্দোনেশিয়ার নির্মাণ নিরাপত্তা বিধি ও নজরদারির ক্ষেত্রে গুরুতর প্রশ্ন উত্থাপন করেছে।
পূর্ব জাভা প্রদেশের সিদোয়ারজো শহরের একটি আবাসিক মাদ্রাসার (বোর্ডিং স্কুল) ভবন ধসে পড়ার ঘটনায় উদ্ধারকর্মীরা এখন পর্যন্ত মোট ৩৭ জন শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করেছেন। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ও উদ্ধারকারী দলের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দুর্ঘটনাস্থলে এখনও ২৬ জন শিক্ষার্থীর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। উদ্ধারকর্মীরা এ পর্যন্ত আহতসহ মোট ১০৪ জন শিক্ষার্থীকে ধ্বংসস্তূপ থেকে জীবিত উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছেন।
স্থানীয় প্রশাসনের বরাত দিয়ে কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন যে, ভবনটি ধসে পড়ার প্রধান কারণ হলো - কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া নতুন করে দুটি তলা যুক্ত করার জন্য ঢালা কংক্রিটের ভার বহন করতে না পারা। তারা জানান, যখন অবৈধভাবে এই দুটি নতুন তলার নির্মাণকাজ শুরু হয় এবং ছাদ ঢালাইয়ের জন্য কংক্রিট ঢালা হয়, ঠিক তখনই দুর্বল কাঠামোর ভবনটি ভার সহ্য করতে না পেরে ভেঙে পড়ে। এই ঘটনায় নির্মাণ নিরাপত্তার গুরুতর লঙ্ঘন স্পষ্ট হয়েছে।
ভবন ধসের এত বড় দুর্ঘটনার পরেও স্কুল কর্তৃপক্ষ এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো বিবৃতি দেয়নি। তাদের এই নীরবতা প্রশ্নবিদ্ধ। অন্যদিকে, পুলিশ ইতিমধ্যেই এই মর্মান্তিক ঘটনায় একটি ব্যাপকভিত্তিক ও গভীর তদন্ত শুরু করেছে। তদন্তের মাধ্যমে অবৈধ নির্মাণকাজের অনুমতি, তদারকির অভাব এবং এই ঘটনার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে, কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে নির্মাণ আইন ভঙ্গের অভিযোগ আনা হতে পারে।
বিষয় : ইন্দোনেশিয়া

রোববার, ২৩ নভেম্বর ২০২৫
প্রকাশের তারিখ : ০৫ অক্টোবর ২০২৫
ইন্দোনেশিয়ার পূর্ব জাভা প্রদেশে একটি আবাসিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভবন ধসে নিহতের সংখ্যা আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে ৩৭ জনে দাঁড়িয়েছে। প্রাথমিক তথ্যানুযায়ী, কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই ভবনটিতে নতুন দুটি তলা নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছিল। গত ২৯ সেপ্টেম্বর সংঘটিত এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনার পর উদ্ধার তৎপরতা এখনও চলছে। ভবন ধস এবং এত বড় প্রাণহানির ঘটনা ইন্দোনেশিয়ার নির্মাণ নিরাপত্তা বিধি ও নজরদারির ক্ষেত্রে গুরুতর প্রশ্ন উত্থাপন করেছে।
পূর্ব জাভা প্রদেশের সিদোয়ারজো শহরের একটি আবাসিক মাদ্রাসার (বোর্ডিং স্কুল) ভবন ধসে পড়ার ঘটনায় উদ্ধারকর্মীরা এখন পর্যন্ত মোট ৩৭ জন শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করেছেন। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ও উদ্ধারকারী দলের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দুর্ঘটনাস্থলে এখনও ২৬ জন শিক্ষার্থীর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। উদ্ধারকর্মীরা এ পর্যন্ত আহতসহ মোট ১০৪ জন শিক্ষার্থীকে ধ্বংসস্তূপ থেকে জীবিত উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছেন।
স্থানীয় প্রশাসনের বরাত দিয়ে কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন যে, ভবনটি ধসে পড়ার প্রধান কারণ হলো - কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া নতুন করে দুটি তলা যুক্ত করার জন্য ঢালা কংক্রিটের ভার বহন করতে না পারা। তারা জানান, যখন অবৈধভাবে এই দুটি নতুন তলার নির্মাণকাজ শুরু হয় এবং ছাদ ঢালাইয়ের জন্য কংক্রিট ঢালা হয়, ঠিক তখনই দুর্বল কাঠামোর ভবনটি ভার সহ্য করতে না পেরে ভেঙে পড়ে। এই ঘটনায় নির্মাণ নিরাপত্তার গুরুতর লঙ্ঘন স্পষ্ট হয়েছে।
ভবন ধসের এত বড় দুর্ঘটনার পরেও স্কুল কর্তৃপক্ষ এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো বিবৃতি দেয়নি। তাদের এই নীরবতা প্রশ্নবিদ্ধ। অন্যদিকে, পুলিশ ইতিমধ্যেই এই মর্মান্তিক ঘটনায় একটি ব্যাপকভিত্তিক ও গভীর তদন্ত শুরু করেছে। তদন্তের মাধ্যমে অবৈধ নির্মাণকাজের অনুমতি, তদারকির অভাব এবং এই ঘটনার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে, কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে নির্মাণ আইন ভঙ্গের অভিযোগ আনা হতে পারে।

আপনার মতামত লিখুন