
ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের সঙ্গে যোগাযোগ ও গোপন তথ্য আদান–প্রদানের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত এক ইরানি নাগরিকের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে দেশটির বিচার বিভাগ। মামলাটি ইরানের জাতীয় নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা সংবেদনশীলতার কারণে বিশেষভাবে আলোচিত হয়।
ইরানের কোম প্রদেশের বিচার বিভাগের প্রধান ও বিচার পরিষদের চেয়ারম্যান সৈয়দ কাজেম মুসাভি জানিয়েছেন, ফাঁসিটি কার্যকর করা হয়েছে সুপ্রিম কোর্টের অনুমোদন এবং ক্ষমার আবেদন প্রত্যাখ্যাত হওয়ার পর। অভিযুক্ত ব্যক্তি ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেন এবং একই বছরের ফেব্রুয়ারিতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মুসাভি জানান, তদন্তে প্রমাণিত হয় যে অভিযুক্ত ব্যক্তি ব্যক্তিগত ও পেশাগত কারণে মোসাদ কর্মকর্তার সঙ্গে সরাসরি সাক্ষাৎ করেন এবং অনলাইনের মাধ্যমে গোপন তথ্য ইসরায়েলের কাছে পাঠাতে শুরু করেন। জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ও বিচার বিভাগের দ্রুত ও কৌশলী পদক্ষেপের ফলে সংবেদনশীল তথ্য ফাঁসের আশঙ্কা রোধ করা সম্ভব হয়।
বিচারিক তদন্তে অভিযুক্ত ব্যক্তির স্বীকারোক্তি, গোয়েন্দা প্রমাণ এবং প্রাসঙ্গিক দলিলের ভিত্তিতে তাকে “ইসরায়েলবিরোধী কর্মকাণ্ড আইন”-এর ৬নং অনুচ্ছেদের অধীনে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। অভিযোগের মধ্যে ছিল ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে সহযোগিতা, শত্রু রাষ্ট্রের (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ) পক্ষে গোয়েন্দা কার্যক্রম ও গোপন তথ্য ফাঁসের দায়।
বিচারক মুসাভি বলেন, “জনগণের সতর্কতা ও সহযোগিতা জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষার মূল চাবিকাঠি। সন্দেহজনক কার্যকলাপ দেখলে নাগরিকদের তা অবিলম্বে গোয়েন্দা বা বিচারিক কর্তৃপক্ষকে জানাতে হবে।”
বিষয় : ইরান
বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০২৫
প্রকাশের তারিখ : ১৯ অক্টোবর ২০২৫
ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের সঙ্গে যোগাযোগ ও গোপন তথ্য আদান–প্রদানের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত এক ইরানি নাগরিকের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে দেশটির বিচার বিভাগ। মামলাটি ইরানের জাতীয় নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা সংবেদনশীলতার কারণে বিশেষভাবে আলোচিত হয়।
ইরানের কোম প্রদেশের বিচার বিভাগের প্রধান ও বিচার পরিষদের চেয়ারম্যান সৈয়দ কাজেম মুসাভি জানিয়েছেন, ফাঁসিটি কার্যকর করা হয়েছে সুপ্রিম কোর্টের অনুমোদন এবং ক্ষমার আবেদন প্রত্যাখ্যাত হওয়ার পর। অভিযুক্ত ব্যক্তি ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেন এবং একই বছরের ফেব্রুয়ারিতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মুসাভি জানান, তদন্তে প্রমাণিত হয় যে অভিযুক্ত ব্যক্তি ব্যক্তিগত ও পেশাগত কারণে মোসাদ কর্মকর্তার সঙ্গে সরাসরি সাক্ষাৎ করেন এবং অনলাইনের মাধ্যমে গোপন তথ্য ইসরায়েলের কাছে পাঠাতে শুরু করেন। জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ও বিচার বিভাগের দ্রুত ও কৌশলী পদক্ষেপের ফলে সংবেদনশীল তথ্য ফাঁসের আশঙ্কা রোধ করা সম্ভব হয়।
বিচারিক তদন্তে অভিযুক্ত ব্যক্তির স্বীকারোক্তি, গোয়েন্দা প্রমাণ এবং প্রাসঙ্গিক দলিলের ভিত্তিতে তাকে “ইসরায়েলবিরোধী কর্মকাণ্ড আইন”-এর ৬নং অনুচ্ছেদের অধীনে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। অভিযোগের মধ্যে ছিল ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে সহযোগিতা, শত্রু রাষ্ট্রের (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ) পক্ষে গোয়েন্দা কার্যক্রম ও গোপন তথ্য ফাঁসের দায়।
বিচারক মুসাভি বলেন, “জনগণের সতর্কতা ও সহযোগিতা জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষার মূল চাবিকাঠি। সন্দেহজনক কার্যকলাপ দেখলে নাগরিকদের তা অবিলম্বে গোয়েন্দা বা বিচারিক কর্তৃপক্ষকে জানাতে হবে।”
আপনার মতামত লিখুন