ঢাকা   রোববার, ০২ নভেম্বর ২০২৫
ঢাকা   রোববার, ০২ নভেম্বর ২০২৫
কওমী টাইমস

‘আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা’র নামে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন কৌশল—ভারত পেলো প্রশংসা, কিন্তু কে পেলো নিশ্চয়তা?

চীনের চোখ রাঙানি ঠেকাতে ভারত–আমেরিকার হাত মেলানো: ১০ বছরের প্রতিরক্ষা নাটক!


কওমী টাইমস ডেস্ক
কওমী টাইমস ডেস্ক
প্রকাশ : ৩১ অক্টোবর ২০২৫ | প্রিন্ট সংস্করণ

চীনের চোখ রাঙানি ঠেকাতে ভারত–আমেরিকার হাত মেলানো: ১০ বছরের প্রতিরক্ষা নাটক!

চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাবের ভয়ে দক্ষিণ চীন সাগর থেকে ভারত মহাসাগর—সবখানেই যুক্তরাষ্ট্র এখন ‘বন্ধুত্ব’ খুঁজছে। মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে অনুষ্ঠিত আসিয়ান সম্মেলনের ফাঁকে ভারত–মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রীরা ১০ বছরের এক “অলৌকিক প্রতিরক্ষা চুক্তি” স্বাক্ষর করেছেন, যা সমালোচকদের চোখে আঞ্চলিক ভারসাম্যের নামে একধরনের ‘কৌশলগত প্রদর্শনী’।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ ভারতের রাজনাথ সিংয়ের সঙ্গে কুয়ালালামপুরে বসে স্বাক্ষর করলেন এক দশক মেয়াদি প্রতিরক্ষা কাঠামো চুক্তি। এক্স-এ হেগসেথ গর্বভরে লিখলেন, “আমাদের প্রতিরক্ষা সম্পর্ক কখনও এত শক্তিশালী ছিল না।” বিশ্লেষকরা বলছেন, এই কথার মানে—‘চীনের ভয়ে একসাথে থাকা এখন প্রয়োজন হয়ে পড়েছে।’

রাজনাথ সিংও চুপ থাকেননি। তিনিও এক্স-এ জানালেন, “এটি হবে নতুন যুগের সূচনা।” কিন্তু কেউ বলছে না, এই নতুন যুগে ভারতের স্বাধীন কৌশলনীতি কোথায় দাঁড়াবে—ওয়াশিংটনের ছায়ার নিচে, নাকি তার পাশে?

এর মধ্যেই হেগসেথ ফিলিপাইন, ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক সারলেন, স্বাক্ষর করলেন একগাদা ‘মেমোরান্ডাম’ ও ‘চুক্তি’। কাগজে শান্তি, বাস্তবে সামরিক মহড়া—এই হলো মার্কিন নীতির পুরনো ফর্মুলা।

যুক্তরাষ্ট্র বলছে, “ইন্দো–প্রশান্ত অঞ্চল মুক্ত ও উন্মুক্ত রাখতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।” কিন্তু আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা ঠোঁট বাঁকিয়ে বলছেন—“মুক্ত মানে কি আমেরিকার অনুমতি নিয়ে চলা?”

বিষয় : ভারত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র

আপনার মতামত লিখুন

কওমী টাইমস

রোববার, ০২ নভেম্বর ২০২৫


চীনের চোখ রাঙানি ঠেকাতে ভারত–আমেরিকার হাত মেলানো: ১০ বছরের প্রতিরক্ষা নাটক!

প্রকাশের তারিখ : ৩১ অক্টোবর ২০২৫

featured Image

চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাবের ভয়ে দক্ষিণ চীন সাগর থেকে ভারত মহাসাগর—সবখানেই যুক্তরাষ্ট্র এখন ‘বন্ধুত্ব’ খুঁজছে। মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে অনুষ্ঠিত আসিয়ান সম্মেলনের ফাঁকে ভারত–মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রীরা ১০ বছরের এক “অলৌকিক প্রতিরক্ষা চুক্তি” স্বাক্ষর করেছেন, যা সমালোচকদের চোখে আঞ্চলিক ভারসাম্যের নামে একধরনের ‘কৌশলগত প্রদর্শনী’।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ ভারতের রাজনাথ সিংয়ের সঙ্গে কুয়ালালামপুরে বসে স্বাক্ষর করলেন এক দশক মেয়াদি প্রতিরক্ষা কাঠামো চুক্তি। এক্স-এ হেগসেথ গর্বভরে লিখলেন, “আমাদের প্রতিরক্ষা সম্পর্ক কখনও এত শক্তিশালী ছিল না।” বিশ্লেষকরা বলছেন, এই কথার মানে—‘চীনের ভয়ে একসাথে থাকা এখন প্রয়োজন হয়ে পড়েছে।’

রাজনাথ সিংও চুপ থাকেননি। তিনিও এক্স-এ জানালেন, “এটি হবে নতুন যুগের সূচনা।” কিন্তু কেউ বলছে না, এই নতুন যুগে ভারতের স্বাধীন কৌশলনীতি কোথায় দাঁড়াবে—ওয়াশিংটনের ছায়ার নিচে, নাকি তার পাশে?

এর মধ্যেই হেগসেথ ফিলিপাইন, ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক সারলেন, স্বাক্ষর করলেন একগাদা ‘মেমোরান্ডাম’ ও ‘চুক্তি’। কাগজে শান্তি, বাস্তবে সামরিক মহড়া—এই হলো মার্কিন নীতির পুরনো ফর্মুলা।

যুক্তরাষ্ট্র বলছে, “ইন্দো–প্রশান্ত অঞ্চল মুক্ত ও উন্মুক্ত রাখতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।” কিন্তু আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা ঠোঁট বাঁকিয়ে বলছেন—“মুক্ত মানে কি আমেরিকার অনুমতি নিয়ে চলা?”


কওমী টাইমস

সম্পাদক ও প্রকাশক : মুস্তাইন বিল্লাহ
কপিরাইট © ২০২৫ কওমী টাইমস । সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত