আফগানিস্তানে প্রায় ৪৮ ঘণ্টা ধরে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন থাকার পর অবশেষে ইন্টারনেট ও টেলিযোগাযোগ পরিষেবা আংশিকভাবে ফিরে এসেছে। এই দীর্ঘ সংযোগ বিচ্ছিন্নতা দেশের সাধারণ নাগরিক, ব্যবসা-বাণিজ্য এবং আন্তর্জাতিক যোগাযোগকে স্তব্ধ করে দিয়েছিল। তবে, এই অচলাবস্থা নিরসনে আফগান কর্তৃপক্ষের 'বিশেষ নির্দেশের' কথা জানা গেলেও, ইন্টারনেট পর্যবেক্ষণকারী সংস্থাগুলো জানিয়েছে সংযোগ ফিরেছে 'আংশিকভাবে'।
তবে, এই পরিষেবা ফিরে আসা নিয়ে কিছুটা অস্পষ্টতা রয়েছে। আন্তর্জাতিক ইন্টারনেট পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা নেটব্লকস (Netblocks) জানিয়েছে, দেশজুড়ে সংযোগ "কিয়দংশে" বা "আংশিকভাবে" ফিরে আসতে শুরু করেছে। এই তথ্য কর্তৃপক্ষের 'সম্পূর্ণ পুনঃপ্রতিষ্ঠার' দাবির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়, যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার ক্ষেত্রে সন্দেহের অবকাশ সৃষ্টি করছে।
এর আগে স্থানীয় গণমাধ্যমে খবর এসেছিল যে কর্তৃপক্ষ কয়েক সপ্তাহ ধরে দেশের কিছু নির্দিষ্ট শহরে ফাইবার অপটিক ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে রেখেছিল। এই ৪৮ ঘণ্টার ব্যাপক অচলাবস্থার পর ইন্টারনেট বিচ্ছিন্নতার কারণ নিয়ে কর্তৃপক্ষ ও পর্যবেক্ষণ সংস্থাগুলোর মধ্যে ভিন্নমত দেখা যাচ্ছে।
কর্তৃপক্ষ দেশজুড়ে ইন্টারনেট নিষিদ্ধ করার দাবি সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেছে। তাদের দাবি ছিল, এই বিচ্ছিন্নতা পুরোনো ফাইবার অপটিক তারের জীর্ণতা এবং সেগুলো পরিবর্তনের কাজের কারণে হয়েছিল। তবে, টানা ৪৮ ঘণ্টা ধরে দেশব্যাপী এমন দীর্ঘ বিচ্ছিন্নতা কেবল পুরোনো তারের সমস্যার ফল কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। বিশেষ করে যখন নির্ভরযোগ্য সূত্রগুলো 'কর্তৃপক্ষের বিশেষ নির্দেশে' সংযোগ ফেরার কথা বলছে, তখন এই ঘটনাটি নিরাপত্তা বা নিয়ন্ত্রণের অংশ হিসেবে দেখা হচ্ছে। এই দীর্ঘ বিচ্ছিন্নতা আফগানিস্তানে ডিজিটাল অধিকার এবং তথ্যের অবাধ প্রবাহ নিয়ে আন্তর্জাতিক উদ্বেগ আরও বাড়িয়ে তুলেছে।
বিষয় : আফগানিস্তান

বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫
প্রকাশের তারিখ : ০১ অক্টোবর ২০২৫
আফগানিস্তানে প্রায় ৪৮ ঘণ্টা ধরে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন থাকার পর অবশেষে ইন্টারনেট ও টেলিযোগাযোগ পরিষেবা আংশিকভাবে ফিরে এসেছে। এই দীর্ঘ সংযোগ বিচ্ছিন্নতা দেশের সাধারণ নাগরিক, ব্যবসা-বাণিজ্য এবং আন্তর্জাতিক যোগাযোগকে স্তব্ধ করে দিয়েছিল। তবে, এই অচলাবস্থা নিরসনে আফগান কর্তৃপক্ষের 'বিশেষ নির্দেশের' কথা জানা গেলেও, ইন্টারনেট পর্যবেক্ষণকারী সংস্থাগুলো জানিয়েছে সংযোগ ফিরেছে 'আংশিকভাবে'।
তবে, এই পরিষেবা ফিরে আসা নিয়ে কিছুটা অস্পষ্টতা রয়েছে। আন্তর্জাতিক ইন্টারনেট পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা নেটব্লকস (Netblocks) জানিয়েছে, দেশজুড়ে সংযোগ "কিয়দংশে" বা "আংশিকভাবে" ফিরে আসতে শুরু করেছে। এই তথ্য কর্তৃপক্ষের 'সম্পূর্ণ পুনঃপ্রতিষ্ঠার' দাবির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়, যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার ক্ষেত্রে সন্দেহের অবকাশ সৃষ্টি করছে।
এর আগে স্থানীয় গণমাধ্যমে খবর এসেছিল যে কর্তৃপক্ষ কয়েক সপ্তাহ ধরে দেশের কিছু নির্দিষ্ট শহরে ফাইবার অপটিক ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে রেখেছিল। এই ৪৮ ঘণ্টার ব্যাপক অচলাবস্থার পর ইন্টারনেট বিচ্ছিন্নতার কারণ নিয়ে কর্তৃপক্ষ ও পর্যবেক্ষণ সংস্থাগুলোর মধ্যে ভিন্নমত দেখা যাচ্ছে।
কর্তৃপক্ষ দেশজুড়ে ইন্টারনেট নিষিদ্ধ করার দাবি সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেছে। তাদের দাবি ছিল, এই বিচ্ছিন্নতা পুরোনো ফাইবার অপটিক তারের জীর্ণতা এবং সেগুলো পরিবর্তনের কাজের কারণে হয়েছিল। তবে, টানা ৪৮ ঘণ্টা ধরে দেশব্যাপী এমন দীর্ঘ বিচ্ছিন্নতা কেবল পুরোনো তারের সমস্যার ফল কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। বিশেষ করে যখন নির্ভরযোগ্য সূত্রগুলো 'কর্তৃপক্ষের বিশেষ নির্দেশে' সংযোগ ফেরার কথা বলছে, তখন এই ঘটনাটি নিরাপত্তা বা নিয়ন্ত্রণের অংশ হিসেবে দেখা হচ্ছে। এই দীর্ঘ বিচ্ছিন্নতা আফগানিস্তানে ডিজিটাল অধিকার এবং তথ্যের অবাধ প্রবাহ নিয়ে আন্তর্জাতিক উদ্বেগ আরও বাড়িয়ে তুলেছে।

আপনার মতামত লিখুন