
ইমারাতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানের (তালেবান প্রশাসন) মাদকবিরোধী অভিযান আরও জোরদার হচ্ছে। এর অংশ হিসেবে সম্প্রতি আফগানিস্তানের কুন্দুজ প্রদেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে গত এক বছরে উদ্ধার করা বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য প্রকাশ্যে আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করেছে তালেবান প্রশাসন। আফগান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ধ্বংস করা এসব মাদকের মধ্যে ছিল আফিম, হাশিশ, ক্রিস্টাল মেথ এবং হাজার হাজার নেশাজাতীয় ট্যাবলেট। দেশ থেকে মাদকদ্রব্যের চাষ, পাচার ও বাণিজ্য সম্পূর্ণরূপে নির্মূল করার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে সরকার।
আফগানিস্তানের তালেবান প্রশাসন দেশব্যাপী মাদকবিরোধী অভিযানকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। এই ঘোষণার ধারাবাহিকতায় বুধবার (২২ অক্টোবর) আফগান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একটি বিবৃতি প্রকাশ করে জানায়, কুন্দুজ প্রদেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে বিগত এক বছরে উদ্ধার হওয়া বিপুল পরিমাণ মাদক আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ধ্বংস করা মাদকের পরিমাণ ছিল বিশাল এবং এর মধ্যে বিভিন্ন প্রকারের নিষিদ্ধ নেশাজাতীয় দ্রব্য ছিল। এই মাদকের মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য ছিল ১,২৬৪ কেজি আফিম, ১১০ কেজি হাশিশ, ৯৫ কেজি ক্রিস্টাল মেথ (Crystal Meth), ৪২ কেজি হেরোইন। এছাড়া, ২৫ হাজারেরও বেশি নেশাজাতীয় ট্যাবলেট এবং ৪৫৯ লিটার মদ্যপানীয়সহ অন্যান্য নিষিদ্ধ পদার্থও ধ্বংস করা হয়।
আফগানিস্তানের অর্থনীতিতে মাদকের ভূমিকা বহু পুরোনো। দেশটি একসময় বিশ্বের বৃহত্তম আফিম উৎপাদনকারী দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম ছিল। তালেবান ক্ষমতা গ্রহণের পর তাদের ধর্মীয় আদর্শের ভিত্তিতে মাদক চাষ ও পাচারের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে। বিবৃতিতে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে যে, আফগান সরকার মাদকদ্রব্যের চাষ, পাচার ও বাণিজ্য সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করেছে এবং এ বিষয়ে কঠোর পদক্ষেপ অব্যাহত থাকবে।
তালেবান সরকারের এই পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক মহলে কিছুটা ইতিবাচক দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে, তবে একইসঙ্গে আফিম চাষের ওপর নির্ভরশীল গ্রামীণ অর্থনীতির ভবিষ্যৎ এবং বিকল্প জীবিকার অভাব নিয়ে উদ্বেগও সৃষ্টি করেছে। তবে তালেবান প্রশাসনের বক্তব্য, তারা দেশের তরুণ সমাজকে মাদকের ভয়াবহ ছোবল থেকে রক্ষা করতে বদ্ধপরিকর এবং মাদক ব্যবসা সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করতে তারা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। সরকারের এই উদ্যোগ প্রমাণ করে যে, তারা মাদক নির্মূলের অঙ্গীকার পূরণে কঠোরতা অবলম্বন করছে।
বিষয় : আফগানিস্তান
বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০২৫
প্রকাশের তারিখ : ২২ অক্টোবর ২০২৫
ইমারাতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানের (তালেবান প্রশাসন) মাদকবিরোধী অভিযান আরও জোরদার হচ্ছে। এর অংশ হিসেবে সম্প্রতি আফগানিস্তানের কুন্দুজ প্রদেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে গত এক বছরে উদ্ধার করা বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য প্রকাশ্যে আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করেছে তালেবান প্রশাসন। আফগান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ধ্বংস করা এসব মাদকের মধ্যে ছিল আফিম, হাশিশ, ক্রিস্টাল মেথ এবং হাজার হাজার নেশাজাতীয় ট্যাবলেট। দেশ থেকে মাদকদ্রব্যের চাষ, পাচার ও বাণিজ্য সম্পূর্ণরূপে নির্মূল করার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে সরকার।
আফগানিস্তানের তালেবান প্রশাসন দেশব্যাপী মাদকবিরোধী অভিযানকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। এই ঘোষণার ধারাবাহিকতায় বুধবার (২২ অক্টোবর) আফগান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একটি বিবৃতি প্রকাশ করে জানায়, কুন্দুজ প্রদেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে বিগত এক বছরে উদ্ধার হওয়া বিপুল পরিমাণ মাদক আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ধ্বংস করা মাদকের পরিমাণ ছিল বিশাল এবং এর মধ্যে বিভিন্ন প্রকারের নিষিদ্ধ নেশাজাতীয় দ্রব্য ছিল। এই মাদকের মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য ছিল ১,২৬৪ কেজি আফিম, ১১০ কেজি হাশিশ, ৯৫ কেজি ক্রিস্টাল মেথ (Crystal Meth), ৪২ কেজি হেরোইন। এছাড়া, ২৫ হাজারেরও বেশি নেশাজাতীয় ট্যাবলেট এবং ৪৫৯ লিটার মদ্যপানীয়সহ অন্যান্য নিষিদ্ধ পদার্থও ধ্বংস করা হয়।
আফগানিস্তানের অর্থনীতিতে মাদকের ভূমিকা বহু পুরোনো। দেশটি একসময় বিশ্বের বৃহত্তম আফিম উৎপাদনকারী দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম ছিল। তালেবান ক্ষমতা গ্রহণের পর তাদের ধর্মীয় আদর্শের ভিত্তিতে মাদক চাষ ও পাচারের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে। বিবৃতিতে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে যে, আফগান সরকার মাদকদ্রব্যের চাষ, পাচার ও বাণিজ্য সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করেছে এবং এ বিষয়ে কঠোর পদক্ষেপ অব্যাহত থাকবে।
তালেবান সরকারের এই পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক মহলে কিছুটা ইতিবাচক দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে, তবে একইসঙ্গে আফিম চাষের ওপর নির্ভরশীল গ্রামীণ অর্থনীতির ভবিষ্যৎ এবং বিকল্প জীবিকার অভাব নিয়ে উদ্বেগও সৃষ্টি করেছে। তবে তালেবান প্রশাসনের বক্তব্য, তারা দেশের তরুণ সমাজকে মাদকের ভয়াবহ ছোবল থেকে রক্ষা করতে বদ্ধপরিকর এবং মাদক ব্যবসা সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করতে তারা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। সরকারের এই উদ্যোগ প্রমাণ করে যে, তারা মাদক নির্মূলের অঙ্গীকার পূরণে কঠোরতা অবলম্বন করছে।
আপনার মতামত লিখুন