লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে ইসরাইলি বিমান হামলায় চারজন নিহত ও অন্তত তিনজন আহত হয়েছেন। শনিবার গভীর রাতে নাবাতিয়েহ জেলায় চালানো এ ড্রোন হামলাকে হিজবুল্লাহ ও ইসরাইলের মধ্যে বিদ্যমান যুদ্ধবিরতি চুক্তির লঙ্ঘন বলে জানিয়েছে লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। খবর বার্তা সংস্থা আনাদোলু।
লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাতে আনাদোলু জানায়, শনিবার মধ্যরাতে নাবাতিয়েহ জেলার দোহা–কাফারমান সড়কে একটি গাড়িতে ইসরাইলি ড্রোন আঘাত হানে। গাড়িটিতে থাকা চারজন ঘটনাস্থলেই নিহত হন। হামলার সময় পাশ দিয়ে যাওয়া দুই মোটরসাইকেল আরোহীসহ অন্তত তিনজন আহত হন।
স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, হামলার পর আশপাশের আবাসিক ভবনগুলোর জানালার কাঁচ ভেঙে যায় এবং এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে চলমান নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতি ঠেকাতে কর্তৃপক্ষ জরুরি বৈঠক আহ্বান করেছে।
ইসরাইলি সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে হামলার দায় স্বীকার করেছে। তাদের দাবি, লক্ষ্যবস্তু ছিল হিজবুল্লাহর জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা। ইসরাইলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরাইল কাৎজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক পোস্টে বলেন, “হিজবুল্লাহ আগুন নিয়ে খেলছে। যদি তাদের নিরস্ত্রীকরণ সম্পূর্ণভাবে বাস্তবায়িত না হয়, তাহলে হামলা আরও তীব্র করা হবে।”
তবে এ ঘটনায় হিজবুল্লাহ বা লেবাননের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে লেবানন–ইসরাইল সীমান্তে উত্তেজনা বেড়েছে। ২০২৪ সালের নভেম্বর থেকে কার্যকর যুদ্ধবিরতি থাকা সত্ত্বেও তেলআবিব দক্ষিণ লেবাননের বিভিন্ন শহরে হামলা জোরদার করেছে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এ ধরনের হামলা সীমান্তে নতুন করে সংঘাতের আশঙ্কা বাড়িয়ে তুলছে, যা অঞ্চলের স্থিতিশীলতাকে আরও অনিশ্চিত করে তুলতে পারে।

সোমবার, ০৩ নভেম্বর ২০২৫
প্রকাশের তারিখ : ০২ নভেম্বর ২০২৫
লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে ইসরাইলি বিমান হামলায় চারজন নিহত ও অন্তত তিনজন আহত হয়েছেন। শনিবার গভীর রাতে নাবাতিয়েহ জেলায় চালানো এ ড্রোন হামলাকে হিজবুল্লাহ ও ইসরাইলের মধ্যে বিদ্যমান যুদ্ধবিরতি চুক্তির লঙ্ঘন বলে জানিয়েছে লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। খবর বার্তা সংস্থা আনাদোলু।
লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাতে আনাদোলু জানায়, শনিবার মধ্যরাতে নাবাতিয়েহ জেলার দোহা–কাফারমান সড়কে একটি গাড়িতে ইসরাইলি ড্রোন আঘাত হানে। গাড়িটিতে থাকা চারজন ঘটনাস্থলেই নিহত হন। হামলার সময় পাশ দিয়ে যাওয়া দুই মোটরসাইকেল আরোহীসহ অন্তত তিনজন আহত হন।
স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, হামলার পর আশপাশের আবাসিক ভবনগুলোর জানালার কাঁচ ভেঙে যায় এবং এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে চলমান নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতি ঠেকাতে কর্তৃপক্ষ জরুরি বৈঠক আহ্বান করেছে।
ইসরাইলি সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে হামলার দায় স্বীকার করেছে। তাদের দাবি, লক্ষ্যবস্তু ছিল হিজবুল্লাহর জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা। ইসরাইলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরাইল কাৎজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক পোস্টে বলেন, “হিজবুল্লাহ আগুন নিয়ে খেলছে। যদি তাদের নিরস্ত্রীকরণ সম্পূর্ণভাবে বাস্তবায়িত না হয়, তাহলে হামলা আরও তীব্র করা হবে।”
তবে এ ঘটনায় হিজবুল্লাহ বা লেবাননের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে লেবানন–ইসরাইল সীমান্তে উত্তেজনা বেড়েছে। ২০২৪ সালের নভেম্বর থেকে কার্যকর যুদ্ধবিরতি থাকা সত্ত্বেও তেলআবিব দক্ষিণ লেবাননের বিভিন্ন শহরে হামলা জোরদার করেছে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এ ধরনের হামলা সীমান্তে নতুন করে সংঘাতের আশঙ্কা বাড়িয়ে তুলছে, যা অঞ্চলের স্থিতিশীলতাকে আরও অনিশ্চিত করে তুলতে পারে।

আপনার মতামত লিখুন