
গাজায় টানা কয়েক মাসের রক্তক্ষয়ী সংঘাতের অবসান ঘটতে যাচ্ছে। ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি ঘোষণার পর দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসসহ বিভিন্ন এলাকায় মানুষ রাস্তায় নেমে উদযাপন করছে। ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া গাজার মানুষদের মুখে দীর্ঘদিন পর ফুটেছে স্বস্তির হাসি।
দীর্ঘ রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর গাজায় অবশেষে শান্তির আলো দেখতে পাচ্ছে ফিলিস্তিনিরা। বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) যুদ্ধবিরতি চুক্তির ঘোষণায় উল্লাসে মেতে ওঠে দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসের মানুষ। আল জাজিরা জানিয়েছে, খবরটি প্রকাশ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয়রা পতাকা হাতে রাস্তায় নেমে আসে এবং আনন্দ মিছিল শুরু করে।
ইসরাইলি হামলার ভয়াবহতা থেকে মুক্তি পাওয়ার আশায় অনেকেই কেঁদে ফেলেছেন স্বস্তির অশ্রু। গাজার বাসিন্দা আব্দুল মাজিদ আবদ রাব্বো বলেন, “এই যুদ্ধবিরতির জন্য আল্লাহকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। রক্তপাত ও হত্যাযজ্ঞের অবসান হবে—গাজার সবাই অনেক খুশি।”
আরেক বাসিন্দা খালেদ শাত বলেন, “এই মুহূর্তটি আমাদের জন্য ঐতিহাসিক। আমরা যে উচ্ছ্বাস দেখছি, তা গণহত্যার ছায়া থেকে মুক্তির আনন্দ। বহু প্রতীক্ষিত এক স্বস্তির সময় এটি।”
গাজায় আল জাজিরা–এর সংবাদদাতা হানি মাহমুদ জানিয়েছেন, উপত্যকার যুদ্ধবিধ্বস্ত জনগোষ্ঠী এখন দারুণ স্বস্তি অনুভব করছে। “এটি সত্যিই এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত,” বলেন তিনি, “মানুষ এখন কেবল জানতে চায়, খাদ্য ও চিকিৎসা সহায়তা কবে পৌঁছাবে।”
গত কয়েক মাস ধরে ইসরাইলের অবরোধের কারণে গাজায় দেখা দেয় ভয়াবহ মানবিক সংকট—খাদ্য ও ওষুধের অভাবে মৃত্যুর মিছিল দীর্ঘ হয়েছে। যুদ্ধবিরতি কার্যকর হলে মানবিক সহায়তা দ্রুত পুনরায় শুরু হবে বলে আশা করছেন স্থানীয়রা।
এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সামাজিকমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে জানিয়েছেন, গাজা যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তির বিষয়ে তাঁর প্রস্তাবিত ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনার প্রথম ধাপ বাস্তবায়নে সম্মত হয়েছে ইসরাইল ও হামাস।
ট্রাম্পের নেতৃত্বে এই শান্তি উদ্যোগকে অনেক বিশ্লেষক “দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধের অবসানের একটি বিরল সুযোগ” হিসেবে দেখছেন। তবে তারা সতর্ক করেছেন—চুক্তির বাস্তবায়ন নির্ভর করবে দুই পক্ষের রাজনৈতিক সদিচ্ছা ও আন্তর্জাতিক তদারকির ওপর।
দীর্ঘ সংঘাত, দুর্ভিক্ষ ও অবরোধের পর এই যুদ্ধবিরতি গাজার মানুষের জন্য নতুন আশার বার্তা—যেখানে রক্তের বদলে আবার জীবন ফিরিয়ে আনার প্রত্যাশা করছে সবাই।
বিষয় : আন্তর্জাতিক মধ্যপ্রাচ্য ইসরাইল গাজা যুদ্ধবিরতি
বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫
প্রকাশের তারিখ : ০৯ অক্টোবর ২০২৫
গাজায় টানা কয়েক মাসের রক্তক্ষয়ী সংঘাতের অবসান ঘটতে যাচ্ছে। ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি ঘোষণার পর দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসসহ বিভিন্ন এলাকায় মানুষ রাস্তায় নেমে উদযাপন করছে। ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া গাজার মানুষদের মুখে দীর্ঘদিন পর ফুটেছে স্বস্তির হাসি।
দীর্ঘ রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর গাজায় অবশেষে শান্তির আলো দেখতে পাচ্ছে ফিলিস্তিনিরা। বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) যুদ্ধবিরতি চুক্তির ঘোষণায় উল্লাসে মেতে ওঠে দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসের মানুষ। আল জাজিরা জানিয়েছে, খবরটি প্রকাশ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয়রা পতাকা হাতে রাস্তায় নেমে আসে এবং আনন্দ মিছিল শুরু করে।
ইসরাইলি হামলার ভয়াবহতা থেকে মুক্তি পাওয়ার আশায় অনেকেই কেঁদে ফেলেছেন স্বস্তির অশ্রু। গাজার বাসিন্দা আব্দুল মাজিদ আবদ রাব্বো বলেন, “এই যুদ্ধবিরতির জন্য আল্লাহকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। রক্তপাত ও হত্যাযজ্ঞের অবসান হবে—গাজার সবাই অনেক খুশি।”
আরেক বাসিন্দা খালেদ শাত বলেন, “এই মুহূর্তটি আমাদের জন্য ঐতিহাসিক। আমরা যে উচ্ছ্বাস দেখছি, তা গণহত্যার ছায়া থেকে মুক্তির আনন্দ। বহু প্রতীক্ষিত এক স্বস্তির সময় এটি।”
গাজায় আল জাজিরা–এর সংবাদদাতা হানি মাহমুদ জানিয়েছেন, উপত্যকার যুদ্ধবিধ্বস্ত জনগোষ্ঠী এখন দারুণ স্বস্তি অনুভব করছে। “এটি সত্যিই এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত,” বলেন তিনি, “মানুষ এখন কেবল জানতে চায়, খাদ্য ও চিকিৎসা সহায়তা কবে পৌঁছাবে।”
গত কয়েক মাস ধরে ইসরাইলের অবরোধের কারণে গাজায় দেখা দেয় ভয়াবহ মানবিক সংকট—খাদ্য ও ওষুধের অভাবে মৃত্যুর মিছিল দীর্ঘ হয়েছে। যুদ্ধবিরতি কার্যকর হলে মানবিক সহায়তা দ্রুত পুনরায় শুরু হবে বলে আশা করছেন স্থানীয়রা।
এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সামাজিকমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে জানিয়েছেন, গাজা যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তির বিষয়ে তাঁর প্রস্তাবিত ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনার প্রথম ধাপ বাস্তবায়নে সম্মত হয়েছে ইসরাইল ও হামাস।
ট্রাম্পের নেতৃত্বে এই শান্তি উদ্যোগকে অনেক বিশ্লেষক “দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধের অবসানের একটি বিরল সুযোগ” হিসেবে দেখছেন। তবে তারা সতর্ক করেছেন—চুক্তির বাস্তবায়ন নির্ভর করবে দুই পক্ষের রাজনৈতিক সদিচ্ছা ও আন্তর্জাতিক তদারকির ওপর।
দীর্ঘ সংঘাত, দুর্ভিক্ষ ও অবরোধের পর এই যুদ্ধবিরতি গাজার মানুষের জন্য নতুন আশার বার্তা—যেখানে রক্তের বদলে আবার জীবন ফিরিয়ে আনার প্রত্যাশা করছে সবাই।
আপনার মতামত লিখুন