বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও যুক্তরাষ্ট্রের নেভাডা ন্যাশনাল গার্ডের মধ্যে অনুষ্ঠিত "টাইগার লাইটনিং-২০২৫" মহড়া সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। এই মহড়াকে দুই দেশের নিরাপত্তা ও কৌশলগত অংশীদারত্বের একটি প্রতীক হিসেবে বর্ণনা করেছেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসন।
সিলেটের জালালাবাদ সেনানিবাসে অনুষ্ঠিত সপ্তাহব্যাপী সামরিক মহড়ার সমাপনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসন। তিনি বলেন, "টাইগার লাইটনিং মহড়াটি শুধু কৌশলগত প্রশিক্ষণ নয়, বরং বঙ্গোপসাগর ও ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষায় আমাদের যৌথ অঙ্গীকারের প্রতীক।"
২৪ জুলাই শুরু হওয়া এই মহড়ায় যুক্তরাষ্ট্রের নেভাডা ন্যাশনাল গার্ডের ৬৬ জন এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্যারা কমান্ডো ব্রিগেডের ১০০ জন সদস্য অংশগ্রহণ করেন। তারা সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে কৌশল, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও মানবিক সহায়তার অনুশীলন করেন।
জ্যাকবসন জানান, "বাংলাদেশ জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বিশ্বে শীর্ষস্থানীয়, মানেও উচ্চ। এমনকি এই মিশনে বাংলাদেশের ১৮০০ নারী সেনাসদস্যও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন।"
এ মহড়াকে ভবিষ্যৎ সহযোগিতার ভিত্তি বলে আখ্যায়িত করেন তিনি। তিনি জানান, এই মহড়ার ধারাবাহিকতা রক্ষা করে চলতি বছরে "টাইগার শার্ক" (স্পেশাল ফোর্স ও নৌবাহিনী) এবং "প্যাসিফিক অ্যাঞ্জেল" (বিমান বাহিনী) মহড়াও অনুষ্ঠিত হবে।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন ১৭ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল এ এস এম রিদওয়ানুর রহমান এবং প্যারা-কমান্ডো ব্রিগেডের প্রধান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইমরুল হাসান। প্রশিক্ষণের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন ইউএস মেজর উইস্টিসেন ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মেজর মাহমুদুল হাসান।
সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ দুই দেশের উচ্চপর্যায়ের সামরিক কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।