জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আলেম সমাজ ও মাদরাসা ছাত্রদের ভূমিকা ছিল অগ্রগণ্য—এমন দাবি জানিয়ে জাতীয় ইমাম পরিষদ হুঁশিয়ারি দিয়েছে, ঘোষণাপত্রে তাদের অবদান উপেক্ষিত হলে তা মানা হবে না। শহীদদের স্মরণে আয়োজিত এক দোয়া মাহফিলে এই বক্তব্য দেন সংগঠনের শীর্ষস্থানীয় নেতারা।
রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরে আয়োজিত এক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে জাতীয় ইমাম পরিষদের মহাসচিব মুফতী আ ফ ম আকরাম হুসাইন বলেন, “জুলাই অভ্যুত্থানে যাঁরা জীবন উৎসর্গ করেছেন, তাঁদের স্মৃতিকে সম্মান জানাই। তাঁদের রক্তের বদৌলতে দেশ এখন শান্তির পথে।”
তিনি সাফ জানিয়ে দেন—জুলাই সনদে আলেম ও মাদরাসা ছাত্রদের অবদান উপেক্ষিত হলে তা প্রত্যাখ্যান করা হবে।
সভায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয় ইমাম পরিষদ ঢাকা মহানগরের সভাপতি মুফতী আল আমীন। প্রধান অতিথি ছিলেন সংগঠনের সভাপতি মুফতী আব্দুল্লাহ ইয়াহইয়া।
আরও বক্তব্য দেন মহাসচিব মুফতী আকরাম হুসাইন, যুগ্ম মহাসচিব মুফতী জাকির বিল্লাহ, সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতী আব্দুস সালাম, ঢাকা জেলা সভাপতি মুফতী আমানুল্লাহ বসন্তপুরী, সহ সভাপতি মাওলানা শফিউদ্দীন জিহাদী এবং অনেকে।
বক্তারা বলেন, “জুলাই সনদ কেবল রাজনৈতিক দল বা নেতা-কেন্দ্রিক নয়, এটি ত্যাগী মানুষদের রক্তের ফসল।” তাঁরা শহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং দেশের সব মসজিদে বাদ আসর দোয়ার আয়োজনের আহ্বান জানান।