ইস্তানবুলে প্রকাশিত একাধিক আরব দেশের সরকারি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, যুক্তরাজ্য যদি সেপ্টেম্বরে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়, তবে এটি হবে আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার পথে একটি বড় অগ্রগতি।
কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, এই ঘোষণা জাতিসংঘ সনদ ও আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী যথাযথ এবং এটি ফিলিস্তিনিদের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকারে সমর্থন। কাতার আরও জানায়, অন্যান্য দেশগুলোকেও এখন একই পথে হাঁটা উচিত।
কুয়েত একে "গুরুত্বপূর্ণ ও যুগান্তকারী পদক্ষেপ" বলে অভিহিত করেছে, যা ১৯৬৭ সালের সীমারেখার ভিত্তিতে পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের প্রচেষ্টায় সহায়ক হবে।
সৌদি আরব ও ফিলিস্তিনও যৌথভাবে এই ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছে। ফিলিস্তিনের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ মুস্তাফা নিউইয়র্কে ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে এই উদ্যোগকে বাস্তবায়নের ওপর জোর দেন এবং বলেন, "ইসরায়েল যুদ্ধ ও দখলদারির মাধ্যমে দুই রাষ্ট্র সমাধানকে ধ্বংস করছে।"
২০২৪ সালের মে ও জুনে স্পেন, আয়ারল্যান্ড, নরওয়ে ও স্লোভেনিয়া ইতোমধ্যে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। এখন পর্যন্ত জাতিসংঘের ১৯৩ সদস্য দেশের মধ্যে ১৪৮টি দেশ ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।
নিউইয়র্কে সদ্য সমাপ্ত দুই রাষ্ট্র সমাধান বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে (সৌদি ও ফ্রান্সের নেতৃত্বে) ফিলিস্তিনের পূর্ণ রাষ্ট্র স্বীকৃতি, গাজা থেকে ইসরায়েলের প্রত্যাহার এবং মানবিক যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানানো হয়। যুক্তরাষ্ট্র ওই সম্মেলনে অনুপস্থিত ছিল।
প্রসঙ্গত, ৭ অক্টোবর ২০২৩ থেকে ইসরায়েল গাজায় যে সামরিক অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে, তাকে আরব দেশগুলো গণহত্যা হিসেবে অভিহিত করেছে। এতে ২ লক্ষ ৬ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত বা আহত হয়েছে, অধিকাংশই শিশু ও নারী। হাজার হাজার নিখোঁজ, লক্ষাধিক গৃহহীন এবং দুর্ভিক্ষে বহু প্রাণহানি ঘটেছে।