জুলাই ঘোষণাপত্রে ১৯৪৭ থেকে সাম্প্রতিক রাজনৈতিক দমন-পীড়ন পর্যন্ত বহু গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক ঘটনার উপেক্ষার অভিযোগ তুলেছে সাধারণ আলেম সমাজ। তারা জানিয়েছে, এই অপূর্ণ দলিল ইতিহাস বিকৃতির একটি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র এবং পূর্ণাঙ্গ সত্য স্বীকৃতি ছাড়া তা গ্রহণযোগ্য নয়।
৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থান দিবসে পাঠিত ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’কে ইতিহাসের একটি সূচনা হিসেবে স্বাগত জানালেও, এর অপূর্ণতা ও বিকৃতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সাধারণ আলেম সমাজ। তাদের মতে, পূর্ববাংলার দীর্ঘ উপনিবেশবিরোধী সংগ্রাম, ২০১৩ সালের শাপলা গণহত্যা, ২০২১ সালের মোদিবিরোধী আন্দোলনে হত্যাকাণ্ড, এবং আলেম সমাজের ওপর গুম-খুন ও বিচারিক হত্যার মতো গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ঘোষণাপত্রে উপেক্ষিত হয়েছে।
২৫ জানুয়ারি ২০২৫-এ তারা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে লিখিত প্রস্তাবে শহীদ ও আহতদের স্বীকৃতি, পুনর্বাসন, নেতৃত্বের স্বীকৃতি, দৃশ্যমান বিচার, সংবিধান পুনর্লিখনের জন্য গণপরিষদ গঠন ও ফ্যাসিবাদী কাঠামো বিলোপের দাবিও জানিয়েছিল। আলেম সমাজের মতে, ঘোষণাপত্র কোনো গোষ্ঠীর একক স্বীকৃতির বিষয় নয়, বরং বৃহৎ জনগোষ্ঠীর ত্যাগ ও প্রতিরোধের দলিল হতে হবে।
তারা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, ইতিহাস বিকৃত বা অসম্পূর্ণভাবে উপস্থাপিত হলে তা কখনোই জনগণ ও আলেম সমাজ মেনে নেবে না।