ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূত ইউসি শেলির বিরুদ্ধে "নৈতিক অসঙ্গতির" অভিযোগে সংযুক্ত আরব আমিরাত অসন্তুষ্ট। তারা আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু না বললেও, একাধিক অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমে রাষ্ট্রদূতের অপসারণ চাচ্ছে—বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি মিডিয়া।
ইসরায়েলের প্রভাবশালী দৈনিক ইয়েদিয়োত আহরোনোত ও চ্যানেল ১২-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আমিরাত সরকার আনুষ্ঠানিক কোনো বিবৃতি না দিলেও ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূত ইউসি শেলিকে প্রত্যাহারের স্পষ্ট বার্তা দিয়েছে।
শেলিকে সাম্প্রতিক কোনো সরকারি বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি, এবং তার সঙ্গে কূটনৈতিক স্তরে যোগাযোগ কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। একে আমিরাতের ‘শান্তভাবে অপসারণের কৌশল’ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
চ্যানেল ১২ জানায়, শেলি কয়েক মাস আগে একটি পানশালায় ইসরায়েলি নাগরিকদের সঙ্গে ‘অশোভন আচরণে’ লিপ্ত হন। ওই আচরণ কূটনৈতিক মর্যাদার পরিপন্থী ছিল এবং তা আমিরাত প্রশাসনের দৃষ্টিতে অসম্মানজনক—এমনটাই দাবি করা হয়েছে তিনটি পৃথক সূত্রে।
ইউসি শেলি ২০২৪ সালের নভেম্বর থেকে আবুধাবিতে রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর কার্যালয়ের সাবেক মহাপরিচালকও ছিলেন।
এদিকে ইসরায়েল ও আমিরাত ২০২০ সালে স্বাক্ষরিত "আব্রাহাম চুক্তির" পর থেকে সম্পর্ক জোরদারের কথা বললেও সাম্প্রতিক ঘটনায় স্পষ্ট যে কূটনৈতিক সম্পর্কের নীচে কিছুটা ফাটল ধরেছে।
গত বছর জুনে, ইসরায়েল ১০০ কেজি খেজুর (সাথে বিচিসহ) আমিরাতে পাঠাতে দেয়নি, যদিও তা বিক্রির উদ্দেশ্যে নয়, বরং দূতাবাসে ব্যবহারের জন্য ছিল। বিষয়টি নিয়েও দুই দেশের মধ্যে টানাপোড়েন সৃষ্টি হয়।
এখনো পর্যন্ত আমিরাত সরকার এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেয়নি, তবে কূটনৈতিক মহলে এটিকে রাষ্ট্রদূত শেলির কার্যত বিদায়ের ইঙ্গিত হিসেবেই দেখা হচ্ছে।