জার্মানির সাম্প্রতিক এক জনমত জরিপে দেখা গেছে, অর্ধেকের বেশি নাগরিক অবিলম্বে ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার পক্ষে। তবে সরকার বলছে, এই পদক্ষেপ নেওয়া হবে কেবল দ্বিরাষ্ট্র সমাধানের চূড়ান্ত ধাপে।
জার্মান সাপ্তাহিক ইন্টারন্যাশনাল পলিটিক্স–এর জন্য ফরসা নামের এক জরিপ সংস্থা পরিচালিত জনমত জরিপে ৫৪% অংশগ্রহণকারী "হ্যাঁ" বলেছেন প্রশ্নে — “জার্মানির কি এখনই ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া উচিত?”। বিরোধিতা করেছেন মাত্র ৩১%।
তথ্য অনুযায়ী, দেশের পশ্চিমাঞ্চলে এই সমর্থনের হার ৫৩%, আর পূর্বাঞ্চলে ৫৯%।
বর্তমান জার্মান সরকার মনে করে, ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়া উচিত দ্বিরাষ্ট্র সমাধানের পথে চূড়ান্ত ধাপ হিসেবে, যা এখনো বাস্তবায়িত হয়নি।
এই দাবির পেছনে প্রেক্ষাপট হলো, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তায় ইসরায়েলের গাজায় চলমান গণহত্যা, যা আন্তর্জাতিক আহ্বান ও আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের নির্দেশ অমান্য করে চলছে।
গত জুলাইয়ের শেষ দিকে ফ্রান্স, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডসহ ১৫টি পশ্চিমা দেশ এক যৌথ বিবৃতিতে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি ও গাজায় যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছে। এর আগে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দেন, সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের আগে ইসরায়েল যদি গাজায় পরিস্থিতি পরিবর্তনে বাস্তব পদক্ষেপ না নেয়, তবে যুক্তরাজ্য ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেবে।
ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁও ২৪ জুলাই ঘোষণা করেন, সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘ অধিবেশনে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে।