গাজার সরকারি তথ্যমতে, গত ১৪ দিনে প্রয়োজনীয় ৮৪০০ ত্রাণবাহী ট্রাকের বদলে প্রবেশ করেছে মাত্র ১২১০টি—যা মোট চাহিদার ১৪ শতাংশ। অধিকাংশ ট্রাক ইসরায়েলি নীতিজনিত নিরাপত্তাহীনতায় লুটের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ।
গাজার সরকারি তথ্য কার্যালয় রোববার জানিয়েছে, চলমান অবরোধ ও যুদ্ধের মধ্যে গত দুই সপ্তাহে প্রবেশ করেছে মাত্র ১২১০ ত্রাণবাহী ট্রাক, যেখানে চাহিদা ছিল ৮৪০০। অর্থাৎ প্রয়োজনের ৮৬ শতাংশ ত্রাণ পৌঁছায়নি।
সংস্থাটি অভিযোগ করেছে, ইসরায়েল সচেতনভাবে সীমান্ত বন্ধ ও ত্রাণ প্রবেশে বাধা দিয়ে ‘ক্ষুধা ও বিশৃঙ্খলা’ নীতি বাস্তবায়ন করছে। অধিকাংশ ট্রাক লুট ও হামলার শিকার হয়েছে, যা সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ আরও বাড়িয়েছে।
তথ্যমতে, গাজার ২৪ লাখ মানুষের জন্য প্রতিদিন অন্তত ৬০০ ট্রাক ত্রাণ প্রয়োজন, বিশেষত খাদ্য, শিশুদের দুধ ও জরুরি ওষুধ। জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি সতর্ক করে বলেছে, গাজার এক-তৃতীয়াংশ মানুষ কয়েকদিন ধরে খাবার পায়নি।
ইসরায়েল ২ মার্চ ২০২৫ থেকে সব সীমান্ত বন্ধ রেখেছে, ফলে বিপুলসংখ্যক ত্রাণবাহী ট্রাক সীমান্তে আটকে আছে। ৭ অক্টোবর ২০২৩ থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েলি আগ্রাসনে এখন পর্যন্ত ৬১ হাজার ৪৩০ জন নিহত ও ১ লাখ ৫৩ হাজার ২১৩ জন আহত হয়েছেন, যাদের বেশিরভাগই শিশু ও নারী। হাজারো মানুষ নিখোঁজ এবং লাখো মানুষ বাস্তুচ্যুত।