আফগান সরকার এই পদক্ষেপকে শুধু বিপজ্জনকই নয়, বরং গভীর উদ্বেগের কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছে। কাবুল আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক শক্তিধর দেশগুলোকে তাদের আইনগত ও নৈতিক দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানিয়েছে, যাতে গাজায় রক্তক্ষয়ী পরিস্থিতি আরও না বাড়ে এবং মানবিক সহায়তা দ্রুত পৌঁছানো যায়।
আফগানিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, ইসরায়েলের দখল পরিকল্পনা অবিলম্বে বন্ধ না হলে এটি “যুদ্ধের বিস্তার ও ফিলিস্তিনি জনগণের জন্য ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়” ডেকে আনবে। মন্ত্রণালয় সতর্ক করেছে যে, গাজায় বর্তমানে যে মানবিক সংকট চলছে, তা এই পদক্ষেপের ফলে আরও মারাত্মক ও রক্তক্ষয়ী হয়ে উঠতে পারে।
কাবুল বিশেষভাবে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রভাবশালী পক্ষ ও আঞ্চলিক দেশগুলোকে আহ্বান জানিয়েছে, যেন তারা এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় তাদের আইনগত ও নৈতিক দায়িত্ব পালন করে। তারা বলেছে, দ্রুত যুদ্ধবিরতির ব্যবস্থা এবং গাজায় মানবিক সহায়তা প্রবেশের সুযোগ নিশ্চিত করা জরুরি।
বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়, ইসরায়েলি সরকার প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর প্রস্তাব অনুমোদন করেছে, যার অধীনে গাজা উপত্যকার পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। এই পরিকল্পনা ঘোষণার পর জাতিসংঘসহ কয়েকটি দেশ উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং পরিকল্পনাটি বাস্তবায়ন না করার আহ্বান জানিয়েছে।