কানাডা সরকার ঘোষণা করেছে যে, ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে তারা আর ইসরায়েলে কোনো অস্ত্র বা সামরিক সরঞ্জাম রপ্তানি করছে না। চারটি বেসরকারি সংস্থার সাম্প্রতিক অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এ বক্তব্য দেয় তারা।
কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী অনিতা আনন্দ শনিবার এক বিবৃতিতে জানান, "কানাডা ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে ইসরায়েলে সামরিক পণ্য রপ্তানির সব নতুন অনুমোদন বাতিল করেছে এবং পূর্বের সব অনুমতিও স্থগিত রয়েছে।" তিনি বলেন, এসব পদক্ষেপের ফলে ইসরায়েলের গাজায় চালানো হামলায় কানাডীয় অস্ত্র ব্যবহারের সুযোগই নেই।
চারটি এনজিও—ওয়ার অ্যাফটার ওয়ার্ল্ড, প্যালেস্টিনিয়ান ইয়ুথ মুভমেন্ট, কানাডিয়ান ফর জাস্টিস অ্যান্ড পিস ইন দ্য মিডল ইস্ট, ও ইন্ডিপেন্ডেন্ট জিউইশ ভয়েসেস—মিলে ২৯ জুলাই এক রিপোর্টে দাবি করে, কানাডা এখনো ইসরায়েলে সামরিক যন্ত্রাংশ পাঠাচ্ছে। এতে ইসরায়েলি ট্যাক্স কর্তৃপক্ষের কিছু তথ্য তুলে ধরা হয়।
এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে কানাডা জানায়, উল্লেখিত সামগ্রীগুলোর অনেকগুলোই মূলত খেলাধুলার জন্য ব্যবহৃত পেইন্টবল গুলি, যা বাস্তব অস্ত্র বা গোলাবারুদের আওতায় পড়ে না।
আনন্দ বলেন, “কানাডার তৈরি অস্ত্র গাজায় যুদ্ধ উসকে দিতে ব্যবহার হতে পারে না, এটি আইনের মাধ্যমে নিশ্চিত করা হয়েছে। কেউ এ আইন ভাঙলে তার বিরুদ্ধে ফৌজদারি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
তিনি আরও জানান, ২০২৪ সালে ইসরায়েলে কোনো মর্টার শেল (বিস্ফোরক গোলা) সরবরাহ করা হয়নি, সরাসরি বা পরোক্ষভাবে নয়।
এদিকে ইসরায়েলি আগ্রাসনে গাজায় ইতোমধ্যে প্রাণ হারিয়েছে ও আহত হয়েছে ২ লাখ ৯ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি, যাদের বেশিরভাগই শিশু ও নারী। নিখোঁজের সংখ্যা ৯ হাজার ছাড়িয়েছে, আর লাখো মানুষ গৃহহীন। দুর্ভিক্ষে মারা গেছে বহু মানুষ।
মন্তব্য করুন