চোরাচালান প্রতিরোধে দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম ব্যস্ত পর্যটন শহর কক্সবাজারে প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্র থেকে আনা অত্যাধুনিক স্ক্যানার বসানো হলো আইকনিক রেলস্টেশনে। যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এটি বড় পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
কক্সবাজারের আইকনিক রেলস্টেশনে মাদক ও অস্ত্র চোরাচালান প্রতিরোধে যুক্তরাষ্ট্রের 'Astrophysics' ব্র্যান্ডের অত্যাধুনিক লাগেজ স্ক্যানার বসানো হয়েছে। ৪ আগস্ট দুপুর থেকে এই যন্ত্রের মাধ্যমে ঢাকাগামী 'কক্সবাজার এক্সপ্রেস'-এর আট শতাধিক যাত্রীর ব্যাগ ও লাগেজ স্ক্যান করা হয়।
পূর্বে ব্যাগ হাত দিয়ে তল্লাশি করা হতো এবং ডগ স্কোয়াডও ব্যবহার করা হতো। তবে প্রযুক্তির অভাবে যাত্রীদের হয়রানির অভিযোগ ছিল। প্রাথমিক সাড়া ইতিবাচক—নিরাপত্তার পাশাপাশি যাত্রীরা পাচ্ছেন ঝামেলামুক্ত অভিজ্ঞতা।
আইকনিক স্টেশনটি নির্মিত হয় ২৯ একর জায়গায়, ছয়তলা ভবনসহ ২৩৬ কোটি টাকা ব্যয়ে। ২০২৩ সালে উদ্বোধন হলেও এখনো পুরোপুরি হস্তান্তর হয়নি রেল কর্তৃপক্ষের কাছে। ফলে বেশ কিছু পরিষেবা (যেমন লিফট, তথ্যকেন্দ্র, শপিং মল, কনফারেন্স হল) এখনো চালু হয়নি।
রেলওয়ের কর্মকর্তারা জানান, সেপ্টেম্বরের মধ্যে স্টেশন ভবন হস্তান্তরের পর সব সুবিধা চালু করা হবে। এদিকে স্ক্যানার চালুর মাধ্যমে কক্সবাজারে দীর্ঘদিনের নিরাপত্তা ঘাটতির অবসান ঘটলো বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।
রেলওয়ে টিকিট কালেক্টর শান্ত বড়ুয়ার ভাষ্য, মাদক ও অস্ত্র চোরাচালান বেড়ে যাওয়ায় স্ক্যানারটি জরুরি ছিল। এখন যাত্রীদেরকে ট্রেন ছাড়ার কমপক্ষে আধাঘণ্টা আগে স্টেশনে উপস্থিত হতে বলা হচ্ছে।
মন্তব্য করুন